কেন স্বাধীনতার কিছুদিনের মধ্যেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরল? যে ইতিহাস হয়নি জানা।

৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর প্রানের বিনিময়ে ৪ লক্ষ নারীর ইজ্জত ও ১৮ হাজার ভারতীয় সেনার জীবনের বিনিময়ে ৯২ হাজার পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পন |
জন্ম নিল নতূন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানী জেল থেকে মুক্ত মুজিব।লন্ডন থেকে দিল্লী হয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেই ঘোষনা :

“বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র”।তার কয়েকদিনের মধ্যেই হুকুমের সুরে ফতেহা দিলেন “এক মাসের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।”

স্বাধীনতার কিছুদিনের মধ্যেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরল। ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অরুন্ধতি ঘোষ মুজিবের সাথে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে যান।মুজিব দুইঘন্টা তাকে ঘরের বাইরে বসিয়ে রেখেছিল।ঐ সময় সেক্রেটারিয়েটের কর্মীরা অরুন্ধতিকে হেনস্থা ও ভারতীয় ইনফরমেশন অফিস ভাঙ্গচুর চালায়।

পূর্বপাকিস্তান ত্যাগ করার আগে পাকসেনারা পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করেছিল।তারা সমস্ত পুল,রাস্তাঘাট,অট্টালিকা ধ্বংস করে ।ভারত সরকার মালপত্র সরবরাহ করে নিজের খরচে ভারতীয় ইনজিনিয়ার এবং দক্ষ কর্মীদের কাজে লাগিয়ে পদ্মার উপরে ব্রীজ তৈরী করে দেয়। সেই ব্রীজ উদ্ধবোধন করতে এসেছিল মুজিব। হেলিকপ্টারে সঙ্গী ছিল ব্রিটিশ হাইকমিশনার। সিটখালি থাকা স্বত্তেও ভারতীয় হাই কমিশনার স্থান পায়নি ! ব্রিজ তৈরী শেষে ইনজিনিয়াররা যখন দেশে ফিরছে তখন স্থানীয় মুসলমানরা তাদের চড়থাপ্পড় মেরে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে তাদের বিদায় সংবর্ধনা জানায়। ট্রেনে ফেরার পথে স্থানীয় মুসলমানরা সমস্ত যন্ত্রপাতি লুঠ করে নেয়।

যুদ্ধের সময় পাক সেনারা রমনা কালী মন্দিরের উপরের অংশ কামানের গোলা দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।মুজিব দেশে ফিরে নির্দেশ দেওয়ার পরে, পৌর কর্মীরা  বুলডোজার দিয়ে বাকি অংশ গুঁড়ো করে দেয় এবং মন্দিরের সমস্ত জমি বাজেয়াপ্ত করে। নেপালরাজ মন্দিরের পুনঃনির্মানের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকারকে কিন্তু  সেই টাকার হদিস  মেলেনি !

মন্দির পুনর্নিমানের দাবী নিয়ে জগন্নাথ হলের এক ছাত্র প্রতিনিধিদল মুজিবের সাথে দেখা করতে গেলে সে তাদের বসতে পর্যন্ত বলেনি। বলেছিল: মন্দির নির্মান করে কি হবে ? মদ খাবার আড্ডা হবে ?

মন্দির ভাঁড় মে যাক ! কিন্তু মানুষটার মানসিকতা ?