দু-চার কড়ির বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কবিদের কথায় হিন্দুরা আর একই বৃন্তে দুইটি কুসুম মানতে রাজী নই ।

বাজারী আনন্দ পত্রিকায় হেডলাইন “জুনেইদ কে গো মাংস রাখার সন্দেহে পিটিয়ে মারল হিন্দুত্ববাদীরা”….

ছিঃ ছিঃ এসব কি চলছে দেশে, একটা গরুর থেকে মানুষের প্রান কেড়ে নিল এরা, এই মোদী আর যোগীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দিল….

ট্রেনে বাসে সেকুলাররা বাজারী আনন্দ পড়ে, এবিপি আনন্দ দেখে এমনটাই আলোচনা করছে, এর সাথে জনগনের কাছে সমর্থন আদায় করার জন্য সাথে জিএসটিকে মিলিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে বেশ গলা ফাটাচ্ছে….

সেই কুলাঙ্গারদের বলছি, পশ্চিমবঙ্গে বাস করে তোদের হরিয়ানার জুনেদের জন্য প্রান কাঁদে, উত্তরপ্রদেশের দাদরীর একলাখ আহমেদের জন্য প্রান কাঁদে, প্যালেষ্টাইনের গাজার অত্যাচারিত মুসলিমদের জন্য প্রান কাঁদে অথচ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মল্লারপুরের ইন্দ্রজিৎ দত্ত, খড়্গপুরের রোহিত তাঁতি, ধূলাগড়, কালিয়াচকের হিন্দুদের জন্য কি প্রান কাঁদে না?
জানি তোরা এসব ঘটনা গুজব বলে চালিয়ে দিস, কারন তোরা মুসলিমদের ভয় পাস তাই হিন্দুদের হয়ে কথা বলতে তোরা ভয় করিস ।

পশ্চিমবঙ্গের চুথিয়া কতগুলো মিডিয়া ও কতগুলো দোগলা সাংবাদিক আছে যারা সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই বলে মুসলিমদের সব দোষ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্ত যদি কোনো মুসলিমের মৃত্যু হিন্দুদের হাতে হয় তখন সেই মৃত ব্যাক্তি ধর্ম টেনে আনে ।
সেই কুলাঙ্গার চুথিয়া সাংবাদিকদের বলছি, মুসলিম মরলে তোরা যখন ধর্ম টেনে আনিস তখন এবার থেকে মুসলিমদের হাতে হিন্দু, খ্রীষ্টান, ইহুদী, বুদ্ধ, জৈন, শিখ যেই মরুক না কেন খবরের কাগজে, টিভিতে হেডলাইন করে দেখাতে পারবি কি মুসলিমের হাতে ৫০ জন হিন্দুর মৃত্যু….
জানি তোদের এতো দম নেই, কারন তোদের মাথা ইসলামিক সংগঠনগুলির কাছে বিক্রি হয়ে আছে….

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের যতই ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করুন না কেন আপনারা, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা ইসলামিক আগ্রাসনের আঁচ পেয়ে নিজেরাই নিজেরা বুঝতে শিখেছে তাই আপনাদের মত দু-চার কড়ির বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কবিদের কথায় হিন্দুরা আর একই বৃন্তে দুইটি কুসুম মানতে রাজী নই ।

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা জাগতে শুরু করেছে সেটা কি আপনারা দেখতে পাননি, নাকি হিন্দুদের জাগতে দেখে আপনাদেরর ফাটতে শুরু করেছে?