অবশেষে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ঘরে ফেরা।

অবশেষে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ঘরে ফেরা

19 শে জানুয়ারী 1990, ভারতীয় ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়ন করার ভয়াবহ দিন। যেদিন জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে এক সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। তারপর 27 বছর পেরিয়ে গেছে। অনেকেই নিদারুণ দুঃখের সাথে উদ্বাস্তু শিবিরে কোনো রকমে বেঁচে আছে।

আমাদের মিডিয়া এদের নিয়ে মাতামাতি করেনি কখনো। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠদের হয়ে কথা বললে সাম্প্রদায়িক তকমা পেতে হয়। বুরহান ওয়ানির জন্য চোখের জল ফেলার লোকের অভাব হয়নি। 500 টাকায় পাথর ছোঁড়ার লোকের অভাব হয় না। সার্জিকাল স্ট্রাইক কি সত্যিই হয়েছিল, চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে ব্যস্ত থাকে সবাই। প্রধানমন্ত্রী মোদী জি কেনো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরীফকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, তার তদন্ত হয় সব মহলে। মোদী জির সমালোচনা বেশি হয়, কিন্তু পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতার আলোচনা অত জোরদার হয় না। এরাই এক বারও 27 বছরে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ঘরে ফেরা নিয়ে কথা বলেনি। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের পিডিপি বিজেপি সরকারের মুণ্ডুপাত করে গেছে আদা জল খেয়ে।

ঠিক 27 বছর পর এই পিডিপি বিজেপি সরকার একটি Resolution পাস করেছে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। তাতে ঘর ছাড়া কাশ্মীরী পণ্ডিত, শিখ ও অন্য সব জাতির নিরাপদে ফেরার কথা ঘোষণা করা হয়। বিরোধী পক্ষ ওমর আবদুল্লাও সমর্থন করেছে।

বহু পুরানো একটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা শুরু হয়েছে অবশেষে। নিঃসন্দেহে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় যার সাথে অসংখ্য মানুষের নিরাপত্তা, ভবিষ্যত ও আবেগ জড়িয়ে আছে। কিন্তু তবুও সেই অর্থে এই অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ খবর জায়গা পায়নি। যারা সমালোচনা করতে ভালবাসে তারা স্বাভাবিক ভাবেই প্রশংসা করতে পারে না। এটাই পৃথিবীর নিয়ম।