পশ্চিমবঙ্গের জন্ম ইতিহাসটাকে এত যত্ন করে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যে আজকের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী বাঙ্গালি এক শিকড়বিহীন "বাম বিশ্বমানবে" রূপান্তরিত হয়ে জিহাদির জয়গানে তোলপাড় করে ফেলছে।

১৯৪৭ এর ১৫ ই আগষ্ট আমার দেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস একই সঙ্গে বরিশালে আমার বাবার প্রথম পরাধীনতা দিবস ছিলো, এই ভয়ঙ্কর সত্যটা আমার মাথা থেকে কোনদিনও মুছে যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের জন্ম ইতিহাসটাকে এত যত্ন করে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যে আজকের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী বাঙ্গালি এক শিকড়বিহীন “বাম বিশ্বমানবে” রূপান্তরিত হয়ে জিহাদির জয়গানে তোলপাড় করে ফেলছে স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটি, সাংস্কৃতিক মঞ্চ, টিভির পর্দা, খবরের কাগজের সম্পাদকীয়। আর এর বাইরে কিছু দোদুল্যমান বাঙ্গালি আছেন, যারা আবার তাদের রক্ষার সমস্ত ভার তাদের বাবালোকনাথ শ্রীমোদীজীর উপর ছেড়ে দিয়ে বাড়ির বিছানায় চিৎপাত হয়ে শুয়ে শুয়ে, সোসাল মিডিয়া তোলপাড় করছেন। বাস্তবের মাটিতে পা এই দুই পক্ষের কারুরই নেই।

তবে বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে কে দাঁড়িয়ে আছে?

বাংলার বাস্তবের মাটিতে পা রয়েছে জিহাদি শক্তির। গত ৭০ বছর ধরে তারা ধীরে কিন্তু অপ্রতিরোধ্য গতিতে তাদের শিকড় শক্ত করেছে এই মাটিতে। পশ্চিমবঙ্গের জন্মের একমাত্র কারন ছিলো বাংলার অমুসলিম জনসংখ্যার জন্য পৃথক হোমল্যান্ড। তাদের জমি, সংস্কৃতি ও ধর্মাচরণের সুরক্ষা। অথচ জন্মের পর থেকেই এই প্রাথমিক শর্ত উপেক্ষিত হতে শুরু করে। খুন, ধর্ষণ, জেনোসাইড, এথনিক্ ক্লিংজিং এর বিভীষিকাময় বাস্তবকে মুহুর্তে ভুলে যেতে চেয়েছিলাম আমরা। বালিতে মুখ গুঁজে আমাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রকরা যেন চেঁচিয়ে বলে উঠেছিলেন সমস্বরে — ও সব দুঃস্বপ্ন ছিলো, ওগুলো ভুলে যেতে চাই। তাই The Great Calcutta Killing এ নিহত হাজার হাজার নিরীহ হিন্দুর জন্য কোন মেমোরিয়াল তৈরী হয়নি আমাদের “কল্লোলিনী তিলোত্তমা” এই কলকাতা শহরে।

যে জাতি আত্মঘাতী, স্বয়ং ঈশ্বরও তাকে বাঁচাতে পারেন না। ১৯৪৭ এ যে শক্তি চারাগাছ মাত্র ছিলো, আজ সে বিষবৃক্ষ গ্রাস করতে আসছে আপনার ভিটা, মাটি, মেয়ে। এ পাপ আমাদেরই। এই সন্মিলিত পাপের বোঝায় যেন ধ্বংস হয়ে যায় শিক্ষিত বাঙ্গালি, বুদ্ধিজীবী বাঙ্গালি, বিশ্বমানব বাঙ্গালি, রাজনৈতিক বাঙ্গালির দল।

নতুন বাংলা জন্ম নিক। জন্ম নিক, দুলে বাগদীর বাংলা। বাগদী রাজা আবার ছিনিয়ে নিক বালিয়া বাসন্তি। ডঙ্কার তালে আবার যুদ্ধে যাক মতুয়া সেনারা,  মল্লরাজার ডোম সেনাপতিরা হুঙ্কার ছাড়ুক রাঢ় বঙ্গে। বাংলার  সিঁধু কানহুরা আবার শাণ দিক তাদের তীরের ফলায়। নতুন বাংলা আসুক আদি সনাতনী সেনাদের হাত ধরেই। চওড়া কাঁধ, মেদহীন কৃষ্ণবর্ণ দেহ, চোখে তাদের আগুন, হাতে শানিত অস্ত্রের ঝংকারে কেঁপে উঠুক বাংলার আকাশ। লক্ষ কন্ঠে আওয়াজ উঠুক……..

  “এ মাটি আমার মাটি, মাটির দখল ছাড়ছিনা।
জিহাদ তুমি যতই করো, তোমার কাছে হারছিনা।”