রোহিঙ্গা সমস্যার অন্তরালে………�
দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের শেষলগ্নে বার্মার আরাকান স্টেটের রোহিঙ্গা সমস্যাটি রোহিঙ্গা নামের জনগোষ্ঠীর দ্বারাই সুত্রপাত হয়েছিল।
বৃটিশদের ধারনা ছিল আরাকান স্টেটে জাপানীদের আগমন বা জয়কে স্বাগত জানাতে পারে সেখানের বৌদ্ধ অদিবাসীরা। সেই ধারনার আলোকে বৃটিশরা ১০ মাইলের একটা বাফার জোন নিদৃষ্ট করে সেখানের অভিবাসি মুসলমান রোহিঙ্গাদের লেলিয়ে দেয় বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে। কথিত আছে মাত্র ১ সপ্তাহের রোহিঙ্গা নৃশংষতায় প্রায় ২০ হাজার বৌদ্ধ নির্বিচারে গনহত্যার শিকার হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বৌদ্ধদের এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ও একই নৃশংষতার শিকার হয় বৌদ্ধদের দ্বারা। জাতিগত বিরোধের সুত্রপাত সেই থেকে।
দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের রনদামামা শেষ হলেও আরাকানের এই দুই উপজাতির শত্রুতা থেকেই যায়। বৃটিশরা অখন্ড বার্মার স্বাধিনতা দিয়ে চলে যাবার পর আরাকানের বৌদ্ধরা বার্মা থেকে পৃথক রাস্ট্র গঠনের জন্য আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠা করে বার্মিজ আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। পক্ষন্তরে রোহিঙ্গারা স্বাধীন আরাকান রাস্ট্র গঠনের জন্য মুজাহেদিন বাহিনী গড়ে তোলে। দুইপক্ষেরই কমন শত্রু বার্মীজ আর্মীর বিরুদ্ধে তারা যতনা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,তার চাইতে অধিক যুদ্ধ তারা নিজেদের মধ্যেই করেছে। তাদের এই জাতিগত বিরোধে বার্মা কোন পক্ষ অবলম্বন করেনি, যদিও তাদের উভয়েরই রনসজ্জা ছিল বার্মা থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার। একপর্যায়ে বোদ্ধদের আরাকান আর্মীর বৃহদাংশ বার্মীজ আর্মীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষনা করলেও রোহিঙ্গা মুজাহেদীনরা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। ফলশ্রুতিতে বার্মার সামরিক যান্তা তাদের দেশে শান্তিপুর্নভাবে বসবাসরত কামেইন ও হুই মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদান করলেও বৈরী রোহিঙ্গাদের তা দিতে অস্বিকার করে�
সর্বশেষ ২০১২ সালে রোহিঙ্গা এলাকায় এক বৌদ্ধতরুনী রোহিঙ্গাদের হাতে গনধর্ষন ও হত্যার শিকার হওয়ার পর রোহিঙ্গা মুসলমানেরা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধ ও সরকারী দমন পীড়নের শিকার হয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। অবস্য রোহিঙ্গাদের এই আত্মবিনাশী কর্মকান্ডের শুরু হয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই এর নীলনকশা ( বার্মার আরাকান স্টেটের একাংশ ও বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার অংশবিশেষ নিয়ে বৃহত্তর আরাকিস্তান) বাস্তবায়নে তাদের প্রতক্ষ মদত,ট্রেনিং ও তত্বাবধানে যার অর্থায়ন হচ্ছে সৌদী ও কাতার থেকে।
Rezaul Manik