অর্থ ও সাহায্যের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তর।

এতদিন ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর করলেও এবার খ্রিস্টান মিশনারীর যীশুর সেলসম্যানদের মত লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরে নেমেছে উগ্রবাদী মুসলিমরা!!!!!!

এতদিন শুধু লোভ দেখিয়ে খ্রিস্টান মিশনারীরাই খ্রিস্টান বানিয়ে পল্টি মারল!!এবার তাতে যোগ হলো মুসলিমেরাও!!!!

যদিও উগ্রবাদী মুসলিমরা আগে জাহান্নামের ভয়!!গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার ভয়!!হয় মুসলিম হও নয়তো হত্যা করবো!!!এভাবেই ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর চালাতো!!!!!

কিন্তু এবার ধর্মান্তরে নেমেছে লোভ দেখিয়ে,

নিখরচায় পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়া, আশ্রয় দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গরিব ঘরের বাচ্চাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আছে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সিদ্দিকি । পুলিশ সূত্রের খবর, ভদ্রাচলম, মেহবুবনগর, খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গলের প্রত্যন্ত গ্রাম, গ্রামাঞ্চলের বাবা-মায়েদের টোপ দিয়ে সিদ্দিকি, তার সঙ্গীরা বোঝাত, তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা, থাকাখাওয়ার সুযোগ পাবে, কোনও পয়সা লাগবে না। এসিপি (মালকাজগিরি) জি সন্দীপ বলেন, ওরা বাচ্চাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত, যদিও নাম বদল করত না। ওদের উর্দু, আরবি পড়ানো হত। যত বেশি সম্ভব বাচ্চার ধর্ম বদল করা লক্ষ্য ছিল ওদের।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগ পাওয়ার পর মৌলা এলাকার একটি স্বীকৃতিহীন স্কুল থেকে সাতটি মেয়ে সহ ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সি ১৭ টি বাচ্চাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।

সূত্রঃ
http://abpananda.abplive.in/india-news/poor-kids-lured-with-free-educationconverted-to-islam-9-held-bjp-seeks-explanation-from-trs-government-407446

এবার আমরা হিন্দুরা কি করবো??
এই যীশুর সেলসম্যান ও শান্তির দূতেদের লোভ দেখানো ধর্মান্তর থেকে হিন্দুদের বাঁচাতে কি করা উচিত??

আসুন জানি,

অর্থ ও সাহায্যের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তর-

♦যেভাবে করা হয়ে থাকে-
এ কাজটির জন্য সাধারণত গরীব হিন্দুদের টার্গেট করা হয়।আমাদের হিন্দু সমাজে বহু গরীব হিন্দু আছে তাদের অর্থ,সাহায্য,চিকিৎসা,
ঘরবাড়ি ইত্যাদি বানানোর লোভ দেখিয়ে করা হয় ধর্মান্তরিত।এ কাজগুলো বেশীরভাগ খ্রিস্টান মিশনারীরা আর এখন মুসলিম ধর্মব্যবসায়ীরা করে থাকে।মানবতার আড়ালে ধর্মান্তরের বিনিময়ে সাহায্য করে!

♦আমরা যা করি-
আমরা কিছুই করিনা! কারণ আমরা হিন্দুরা জানিই না যে নীরবে কত লক্ষ লক্ষ গরীব হিন্দু,আদিবাসী হিন্দু ধর্মান্তরিত হয়ে যাচ্ছে!বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল,ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এদের কর্মকাণ্ড এতটাই প্রকট যে আজ ওই এলাকাগুলো খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ!এবার মুসলিমরাও এই কৌশল শুরু করলো!!

♦আমাদের যা করা উচিত-
*হিন্দু সংগঠনগুলোর উচিত
১।বিভিন্ন এলাকায় গরীব ও পিছিয়ে পড়া হিন্দু চিহ্নিত করে তাদের সাহায্য করা!
২।ঋণ প্রদান,গরু/হাঁস/মুরগি কিনে দেয়া!কখনো রিকশা বা ঠ্যালা কিনে দেয়া!
৩।বেকার হিন্দু যুবকদের প্রশিক্ষণসহ কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া,হিন্দু যুবতীদের সেলাই প্রশিক্ষন দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দেয়া।
৪।গরীব হিন্দু বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য মেধাবৃত্তি প্রদান।
সর্বোপরি এমনভাবে সাহায্য করা যাতে ওই গরীব হিন্দুরা সাবলম্বী হতে পারে।হিন্দুদের আয়ের ব্যবস্থা হয়।
আর সর্বশেষ হিন্দুদেরকে সনাতন হিন্দু ধর্মজ্ঞান দেয়া যাতে কেউ টাকার লোভ /উল্টাপাল্টা মিথ্যাচার করে ধর্মান্তরিত না করতে পারে।
*হিন্দু পেজ ও গ্রুপের যা করা উচিত
১।গরীব হিন্দুদের সাহায্যের আহবান জানিয়ে পোস্ট করা
২।ধর্মান্তরের বিনিময়ে সাহায্যকারীদের মুখোশ খুলে দেয়া আর এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করা।
*হিন্দুদের যা করা উচিত-
১।প্রত্যেক সাধারণ হিন্দুর উচিত আশেপাশের গরীব হিন্দুদের সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করা।আপনি হয়তো মধ্যবিত্ত হিন্দু! ভাবছেন কি করে গরীব হিন্দুকে সাহায্য করবেন?
আরে দাদা আপনি আপনার বাসার/দোকানের কাজের লোক হিসেবে কোন গরীব হিন্দুকে নিয়োগ দিন।বা কোন হিন্দুকে চারটি হাঁস/মুরগি/রিকশা/সেলাই মেশিন কিনে দিন।দান হিসেবে না পারেন ঋণ হিসেবে দিন।পরে হয় গরীব হিন্দুটি আয় করে আপনার ঋণ শোধ করবে!
২।আপনি কি ধনী হিন্দু?লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পূজো হয় আপনার বাড়িতে?দম্ভভরে গল্প করেন লোকেদের মাঝে?
ওকে দাদা ভালো।তবে আপনি কি জানেন মা বিশ্বজননী।মায়ের পূজার পাশাপাশি মায়ের সন্তানদের সাহায্য করলে মা আরো বেশী খুশি হবেন।আপনি নিজেই একটি হিন্দু সংগঠন হয়ে উঠতে পারেন,সাহায্য করতে পারেন অসংখ্য হিন্দুকে।
আপনি হয়তো পূজা এলে কয়েকশো গরীব হিন্দুদের মাঝে শাড়ি,কাপড় খাবার দেন।কিন্তু দাদা এই শাড়ি,কাপড় থেকে কিন্তু কোন আয় আসছে না আর এগুলো কদিন পর নষ্ট হয়ে যাবে এর থেকে আপনি সংখ্যায় কম হলেও কিছু হিন্দুকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করুন।হাঁস,মুরগি,গরু,ছাগল,সেলাই মেশিন, রিকশা,সিএনজি ইত্যাদি কিনে দিন যাতে ওটা থেকে গরীব হিন্দুরা আত্মনির্ভরশীল হয়।গরীব মেধাবী হিন্দু শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার খরচ দিয়ে সাহায্যও করতে পারেন।কাজের লোক,ড্রাইভার হিসেবেও কোন গরীব হিন্দুকে নিয়োগ দিতে পারেন।
আর হিন্দুদের ধর্মজ্ঞানী করতে গীতাদান করতে পারেন।

পরিশেষে বলতে চাই,আমরা সেই গর্বিত হিন্দু যারা কোন লোভ বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর করি না।সনাতন ধর্মে লোক ফিরে আসে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্ত্বিকতার জোরে,সত্যের জোরে,অস্তিত্বের জোরে।

আমি গর্বিত আমি সনাতনী হিন্দু।

আমরা ধর্ম প্রচার করি তবে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নয়, প্রেমের মাধ্যমে. 💜
.আমরা ধর্ম প্রচার করি রক্তের গঙ্গা সৃষ্টি করে নয়, আনন্দময় অশ্রুধারায়. . .
আমরা ধর্ম প্রচার করি অন্য ধর্মাবলম্বীদের শত্রু ভেবে নয়, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে. . .👬আমরা ধর্ম প্রচার করি অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভেঙে নয়, হৃদয়ে মন্দির গড়ার মাধ্যমে. . . l
আমরা ঈশ্বরকে ভয় পাবার চেয়ে ভালোবাসতে বলি বেশি, কেননা ভালোবাসাই পারে মুক্তি দিতে; ভয় পারে না. . .
আমরা তো মানবতা লঙ্ঘনের কোন কাজ করি না।

তাহলে লজ্জা কিসের নিজেকে সর্বসমক্ষে সনাতনী বলে পরিচয় দিতে?
✍✍✍✍✍✍ হ্যাঁ ✍✍✍✍✍✍✍
আমি গর্বিত আমি সনাতনী হিন্দু.✍✍✍✍✍

পবিত্র বেদ সকলকেই অমৃতের পুত্র বলে আখ্যা দিয়েছে।

বৃহদারন্যক উপনিষদ বলেছে ,”সর্বে গচ্ছন্তু সুখিন ভবন্তু,সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,সর্বে সন্তু নিরাময়া” অর্থাত্ জগতের সকল প্রানী সুখি হোক,সকলের মঙ্গল হোক,সকলে নিরাময় লাভ করুক।

মনুসংহিতা বলেছে,”যে ব্যক্তি কোন প্রানীর ক্ষতি করেনা,সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করে সে অশেষ শান্তি লাভ করে”(Manu 5.46)

গীতায় যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,”হে অর্জুন,যিনি পরের সুখ ও দুঃখকে নিজের সুখ দুঃখের সাথে সমভাব দেখেন তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী”(Gita 6/32)
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি ওঁ

Vashudhaiva kutumbakam
বিশ্বের সকলে এক পরিবার।