তা এই নাপাক স্থানে কি ঈদের নামাজ আদায় জায়েজ হবে?

এবার হজ্ব করছে প্রায় বিশ্ব লাখ মুসল্লি! প্রতিবারের মতো এবারও হজ্বে তারা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন শুধুমাত্র মুসলমানদের সুখ-সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য। অন্য বিশ্বাস ও দর্শনের মানুষদের জন্য নয়, যা সাধারণত অন্য ধর্মালম্বীরা করে থাকে।
এখানে কোন প্রকার বর্ণবাদী আচরণ বা সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পেলে আপনি হয়ে যাবেন উল্টো বর্ণবাদী! একটি বিশেষ ধর্ম বিদ্বেষী ও আরেকটি বিশেষ ধর্মের মানুষ!

এবারের হজ্বে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল সৌদি সরকার। মুসল্লিদের এই নিরাপত্তা ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সমর্থন করি। কারণ সম্প্রতি মক্কা ও হজ্বের নিরাপত্তার ঘাটতি ও সেখানে হুমকি প্রদান দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি ও নিরাপত্তার ঘাটতি হয়েছে একদল মুসলমান মানুষদের জন্যই।
বাংলাদেশেও এবারের জাতীয় ঈদগায়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবে প্রায় লাখখানেক মুসল্লি। এই পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও একদল মুসলমানের হাত থেকে অন্য মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য নেওয়া হয়েছে।
না এখানেও আপনি এই ধরণের সত্যি কথা বললে সেটা বর্ণবাদী আচরণ হয়ে যাবে, সেই ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ পাবে! তখন আপনি তাদের কাছে অন্য কোন ধর্মের পাচাটা মানুষ হয়ে উঠবেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে কুকুর হারাম। কুকুরের স্পর্শ বা কুকুরের স্পর্শ করা সব কিছুই নাপাক আর হারাম। কিন্তু ঈদগা ময়দানের নিরাপত্তার জন্য সেই নাপাক কুকুরই আসল ভরসা! নিরাপত্তার খাতিরে ময়দানের প্রতিটি ইঞ্চি নাপাক করে দিয়েছে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কুকুরের দল। তা এই নাপাক স্থানে কি ঈদের নামাজ আদায় জায়েজ হবে? এছাড়া আল্লাহকে টপকে হাজি ও মুসল্লিদের জন্য চার কি পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি আল্লাহর ক্ষমতাকে অপমান করা নয়?