সূর্য সেনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, এবং সেজন্যই ফাঁসির পরে তাঁর দেহ আত্মীয় পরিজন সহকর্মী কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি, চট্টগ্রাম জেল থেকে জাহাজে তুলে দেহটা সোজা বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আমার দাদামশাই চট্টগ্রামের লোক ছিলেন, এবং সূর্য সেনের সহযোগী ছিলেন উনিশশো ত্রিশে। স্বাধীনতা সংগ্রামীর একটা তাম্রপত্র ছিল দেখেছিলাম। আমি বলতে চাইছি, সূর্য সেন সম্পর্কে আমার একটা স্টেক আছে। আমার মাতুলবংশ চট্টগ্রামের বৈদ্য।
সূর্য সেন মৃত্যু থেকে জেগে উঠে কি বলবেন সেটা ভাবতে গিয়ে আমি এক রাত ঘুমোতে পারিনি, ছটফট করেছি। ফলে সূর্য সেনের শেষ রাত্রি নিয়ে লেখা নাটক এখনও অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
মা কালী শক্তি দিচ্ছেন, নইলে এ লেখা আমার কম্ম নয়। কমলকুমার যেমন একবার বলেছিলেন, সাধ্য কি লিখি একা একা, আসলে তো ঠাকুর রামকৃষ্ণ আর আমি দুজনে মিলে লিখছি।