হযরত মুহাম্মদ ইহুদী শিশুদের হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলো। সৌদিও আজ সেই পথে হাটছে।

বেশির ভাগ মুসলমানই সৌদি আরবকে তাদের বাপের দেশ মনে করে। তাদের পূর্ব পুরুষ আরব থেকে হাঁটতে হাঁটতে এই দেশে চলে এসেছিলো…। তাই ৯০ ভাগ মুসলমানের বাপের দেশের নিন্দা করতে কেউ মুখ খুলে না। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, নিপীড়ন নিয়ে বাম সেক্যুলার জাতীয়তাবাদী দল সংগঠন মানববন্ধন সেমিনার করলেও সৌদি ফেরত ধর্ষিতা শ্রমজীবী নারীদের যে ঢল নেমেছে সেই বিষয়ে একই মুখগুলো চুপ করে থাকে এ কারণেই। ‘মুর্তাজা কুরেইরিস’ যদি একজন সুন্নী মুসলমান হতো আর সে যদি ভারত, বার্মা, আমেরিকা, ইউরোপ কিংবা ইজরাইলের নাগরিক হতো তাহলে এতক্ষণে টকশোতে সলিমুল্লাহ-কলিমুল্লাহ গলার রগ ফুলিয়ে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনিয়ে দিতো…।

মাত্র ১৩ বছর বয়েসে মুর্তাজা কুরেইরিস গ্রেফতার হয় সৌদি পুলিশের হাতে। শিয়া সম্প্রদায়ের এই বালক সৌদিতে অসুন্নিদের অমানবিক জীবনযাপন, বৈষম্য নিয়ে সাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদী এক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিলো। ২০১১ সালে গ্রেফতার হওয়া ‘মুর্তাজা কুরেইরিস’ এখন ১৮ বছরের যুবক। কিন্তু ১৩ বছরের এক নাবালকের কথিত ‘অপরাধ’ কেমন করে এতখানি বড় হতে পারে যে তাকে এখন মৃত্যুদন্ড দিতে চাচ্ছে সৌদি আরব? মানবাধিকার সংস্থাগুলো মুর্তাজা কুরেইরিস মুক্তি দিতে বললেও সৌদি সরকারের কাছে সে প্রাপ্তবয়স্ক একজন অপরাধী। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না সৌদি আরব ইসলামিক শরীয়া আইনে চলে। হযরত মুহাম্মদ ইহুদী শিশুদের হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলো। বণু কুরাইজা গোত্রের সকল ‘সাবালক পুরুষকে’ হত্যার অনুমোদন দেয়ার মানদন্ড ছিলো ‘নিম্মাঙ্গে চুল গজিয়েছে’ এমন সকল বালক ও শিশুরাও। অর্থ্যাৎ ১২-১৩ বছরের বলকদের ইসলাম ‘পুরুষ’ মনে করে। তাই ১৩ বছরের ‘মুর্তাজা কুরেইরিস একজন পুরুষ। সৌদি আরব ১২ বছর থেকে যে কোন বালকের করা অপরাধকে অপরাধ হিসেবে গোণ্য করা হয়।

আমাদের দেশী মানবাধিকার কন্ঠগুলো সৌদি তথা ইসলামিক বিশ্বের বর্বরতা বিরুদ্ধে বালুতে মুখ লুকায়। তাদের আগ্রহ ইজরাইল ভারত বার্মা ইউরোপ আমেরিকার দিকে। কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে ‘নামাজের ঘর’ থাকলে সৌদি আব্বাজানদের উপর কথা বলার মানসিক দৃঢতা থাকে না। আর মুসলিম জাতীয়তাবাদী সলিমুল্লাহ-কলিমুল্লাহরা তাদের জাতিসত্ত্বার টানেই সৌদি আব্বাদের উপর কথা বলবে না-এটাই স্বাভাবিক!
Susupto Pathok