বাংলাদেশী সোমাকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার আশা ক্ষীণ বলে মন্তব্য করে অস্ট্রেলিয় বিচারপতি বলেন।

বাংলাদেশী সোমাকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার আশা ক্ষীণ বলে মন্তব্য করে অস্ট্রেলিয় বিচারপতি বলেন।

বাংলাদেশী সোমাকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার আশা ক্ষীণ বলে মন্তব্য করে অস্ট্রেলিয় বিচারপতি বলেন, ‘সোমা ভেবেছিলো তার হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি মারা যাবেন। এ নিয়ে তার কোনও অনুশোচনাবোধ নেই, জিহাদি মতাদর্শ থেকে সরে আসতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে সে’।

মাননীয় বিচারপতি আপনি কি জানেন ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্মের বয়স কত? পাঁচ হাজার বছর ধরে হিন্দুরা নানা রকম দেবদেবীতে বিশ্বাস করে আসছে।  পৃথিবীতে সাড়ে চার হাজার ধর্ম এখনো টিকে আছে। আপনি কি আফ্রিকার জুলুদের গিয়ে বুঝাতে পারবেন, বাপু হে পৃথিবীটা কচ্ছপের উপর নেই…। ওরা এটা বিশ্বাস করে। আপনি কি কোন হিন্দুকে বুঝাতে পারবেন হনুমানের পক্ষে সূর্যকে বগলদাবা করা সম্ভব নয়। পিঁপড়া মানুষের মত কথা বলতে পারে (কুরআন ২৭:১৮) এমন কথা কেবল মাত্র ধর্ম বিশ্বাসের কারণে পরমাণু বিজ্ঞানী পর্যন্ত মুখ বুজে মেনে নেয়। একজন বিজ্ঞ বিচারপতিসহ আপনাদের সকলকে বুঝতে হবে, সোমা একটি সন্ত্রাসী ধর্মে বিশ্বাসী। এই ধর্মে সাড়ে চারশো জিহাদের আয়াত লেখা আছে এবং এসব সশস্ত্র হামলাকে সাধারণ নামাজ-রোজার চেয়ে উপরে রাখা হয়েছে। সোমা যে ধর্মে বিশ্বাস করে সেখানে যদি সন্ন্যাসীনি হয়ে সমাজ সংসার ত্যাগ করে নির্জন বাসকে মোক্ষম বলত তাহলে সে সব কিছুর মোহ ত্যাগ করে সেটাই করতে চাইত। যদি তার ধর্ম হেমলক পান করে মৃত্যুকে স্বর্গ লাভ বলে মনে করত তাহলে সে অবলীলায় সেটা পান করত। ধার্মীকদের মানসিকতা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সোমা বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশে বাস করে অস্ট্রেলিয়া যাবার সুযোগ পেয়েছিলো। এই তো সেদিন কত বাংলাদেশী অবৈধভাবে ইটালি যেতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরল। আমাদের দেশের গরীব মানুষ অমানুষিক পরিশ্রম করতে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায়। যাদের মোটামুটি পয়সা আছে তারা কোন প্রকারে ইউরোপে যাবার চেষ্টা করে। সেখানে সোমা অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মাত্র নয় দিনের মাথায় একজন ‘কাফেরের’ উপর প্রতিশোধ নিতে তাকে ছুরি চালায়। দেশে তার ছোট বোন যে কিনা আরেক জিহাদী ছিলো, পুলিশ যখন সোমার বিষয়ে তাদের বাড়িতে কথা বলতে যায় তখন সোমার ছোট বোন সুমনা পুলিশকে আক্রমণ করে হত্যা করতে চেয়েছিলো। নিশ্চত বিপদ জেনে, ক্যারিয়ার ধ্বংস হবে জেনে, নিশ্চত মৃত্যুর আশংকা থাকার পরও সোমাদের মত মেয়েরা হিংস্র হয়ে উঠে কেবলমাত্র তার ধর্ম বিশ্বাসের কারণে। সোমার ধর্ম বিশ্বাসের নাম ‘ইসলাম’। সোমাকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে ইসলাম। কুরআন হাদিসের মধ্যে কেমন করে আল্লাহ দুনিয়াতে একজন খলিফা নির্বাচন করে কাফেরদের হাত থেকে শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আল্লার শাসন কায়েম করতে হবে তার উপর বিস্তারিত বর্ণনা আছে। এরকম একটি ধর্মকে সন্ত্রাসী ধর্ম ঘোষণা করতে আর কত মানুষের প্রাণ যেতে হবে? আর কত মানুষ সন্ত্রাসী হলে পরে এই বিশ্ব কঠর হতে বাধ্য হবে? বাংলাদেশর আসাদুজ্জামান নূরের মত সংস্কৃতিবান ভদ্রজনরা যখন ইসলামের সন্ত্রাসের দায় ইহুদীদের উপর চাপান, ২২ ঘন্টা রোজা রেখে খেলা মুশফিকদের নিউজ গদগদ হয়ে শেয়ার করেন তখন আশাহত হয়ে নিশ্চিত হই আরো শত শত সোমার মত ঠান্ডা মাথার সন্ত্রাসী জন্ম নিবে প্রবল ইসলাম অনুরাগের কারণে।…

অস্ট্রেলিয় বিচারপতি তার রায়ে সোমার উদ্দেশ্যে শেষ যে মন্তব্য করেছেন সেই বাক্যগুলো পৃথিবীর সমস্ত ধার্মীক মুসলিমদের উদ্দেশ্যেই দিকে দিকে প্রচারিত হোক। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে আপনি পুলিশকে বলেছেন যে আইএস খলিফার নির্দেশ পেয়েই আপনি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন। আপনার কর্ম ও কথা অস্ট্রেলীয় কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। কিন্তু তারা (আইএস) আপনাকে শহীদ বানাতে পারেননি। আপনাকে ইসলামের আলোকবর্তিকা বানাতে পারেনি তারা। জান্নাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে সবুজ ডানাও দিতে পারেনি। তারা আপনাকে সাধারণ একজন অপরাধী বানাতে পেরেছে’।…
-Susupto Pathok