কথায় বলে ,” নিজের বাবা খেতে পায় না সাইঁবাবার ভজনা করে “!
নিজের সংস্কৃতি আক্রান্ত অবহেলিত কলুষযুক্ত তাকে শুদ্ধ বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা নেই অন্যের সংস্কৃতি ঘটা করে পালন করা হচ্ছে ! এটাকেই স্বামীজীর ভাষায় বলে দাসসুলভ দুর্বলতা !
আর দুদিন পরেই 25 শে ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ! খ্রিস্টান ধর্মের সব থেকে বড় উৎসব ! সেখানে হিন্দুদের হ্যাংলামি কেন ? কেক খাওয়া আমাদের সংস্কৃতি নয় অথচ হিন্দুরাই পরম আদরে সেদিন কেক খাবেই এবং প্রমাণ করবে যে তারা প্রকৃতই ‘ মেকলের ভাবশিষ্য !
রামকৃষ্ণ মিশনে ঘটা করে যীশুর পুজো হয় ! স্বামী বিবেকানন্দ যীশুকে শ্রদ্ধা করতেন ঠিকই কিন্তু কখনও যীশুকে পুজো করার কথা বলেন নি ! বরং খ্রিস্টান পাদ্রীদের কটাক্ষ করেছেন তাদের ধর্মান্তরকরণের জন্যে ! খ্রিস্টান পাদ্রীরা আজও হিন্দুদের মধ্যে নানান কৌশলে ধর্মান্তর করনের কাজ করে চলেছে আর সেই কারণেই আজ মিজোরাম নাগাল্যান্ড এই রাজ্যগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় ! এগুলোকে প্রতিহত না করে প্রতিকার না করে যদি যীশুর ভজনা করি তাহলে তো বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই আরও উৎসাহিত হবে !
সম্পর্ক সমানে সমানে হয় ! তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম যীশু ভজনা অন্যায় নয় কিন্তু প্রশ্ন একটাই যে আমরা যীশু ভজনা করি কিন্তু যীশুর লোকেরা কি তাদের গির্জায় শ্রীরামকৃষ্ণের পুজো করে ? তা যদি হয় তবে আমিও যীশুর পুজো করতে প্রস্তুত !
” এই পরানুবাদ পরানুকরণ পরমুখোপেক্ষা এই দাসসুলভ দুর্বলতা এই ঘৃণিত জঘন্য নিষ্ঠুরতা এই মাত্র সম্বল করে তুমি উচ্চঅধিকার লাভ করিবে ?” ……..স্বামীজীর কথা যদি স্বামীজীর তৈরী প্রতিষ্ঠানই না মেনে চলে তাহলে বুঝতে হবে হিন্দু সমাজের আত্মসম্মানবোধ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে !
আমি স্বাভিমানী হিন্দু ! অন্যকে শ্রদ্ধা ততক্ষণ করব যতক্ষণ সে আমাকে একই পরিমাণে শ্রদ্ধা করবে ! মানুষ যখন তার আত্মসম্মানের চেয়ে জীবনের মূল্য স্বার্থের মূল্যকে বেশি প্রাধান্য দেবে জানবে সে আর মানুষ নেই সে চলমান শ্মশান মাত্র !