প্রগতিশীলতার ভেক ধরা এই ঘরের শত্রু বিভীষণ দের বর্জন করা এখন সময়ের দাবী।

Collected Post

সতীদাহ প্রথা, বহুবছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তবু দেখা যায় কলকাতার টিভি সিরিয়ালে সতীদাহপ্রথা নিয়ে অনেক খোঁচাখুঁচি করা হয়।

অনেকে হয়তো ভাবেন তারা খুব প্রগতিশীল? তারা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে? তারা খুব ননারীবান্ধব? সেটা ভুল। আসলে কলকাতার অভিনেতা-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক এদের বেশিরভাগই হিন্দুধর্ম বিরুধী মমতার দলদাস। এরা সকলেই মমতার উচ্ছিষ্ঠভোগী কুকুর, মমতাকে যেভাবে খুশী করা যায় ঠিক সেভাবেই এরা কাজ করে, সিরিয়াল -অনুষ্ঠান এসব বানায়। বৌদির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক, শালিকার সাথে জামাইবাবুর অবৈধ সম্পর্ক, মাতৃসমা বৌদিকে সেক্স সিম্বল হিশেবে উপস্থাপন করা, হিন্দুর মেয়ের সাথে মুসলমানের ছেলের সাথে প্রেম,  অকারণে হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক এবং অশ্লীল ভাবে উপস্থাপন করা, শিব লিঙ্গমকে পুরুষাঙ্গ হিশেবে উপস্থাপন করা ইত্যাদি হচ্ছে ইচ্ছেকৃতভাবে হিন্দুদের ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত করা। আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অবস্থাটা দেখুন একবার, এগুলো নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। যেন তাদের রুচি মেনেই এগুলো তৈরি হচ্ছে।

এইসব অভিনেতা অভিনেত্রী, পরিচালকরা যদি সত্যি প্রগতিশীল হতো তাহলে তারা হিন্দু সমাজে চলমান উচু নীচু জাতপ্রথার বিরুদ্ধে কাজ করতো, উচু নীচু জিইয়ে রাখার উদ্দেশ্যে সুড়সুড়ি দিতো না। বহু আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সতীদাহ প্রথা নিয়ে সুড়সুড়ি দিতো না। টিভি সিরিয়ালগুলো নারীকে এভাবে পণ্য বানাতো না।

তাদের আরেকটি ভন্ডামী লক্ষ্য করবেন, সিরিয়ালগুলোতে দেখবেন শুধু ব্যানার্জি, চ্যাটার্জি, চৌধুরী পরিবারগুলো, যেন কলকাতায় আর কোন টাইটেলের মানুষ নেই, শুধু ব্যানার্জি-চ্যাটার্জিরা বাস করে, এখানেও সূক্ষ্মভাবে জাতপ্রথাকে প্রমোট করা হয়।

প্রগতিশীলতার ভেক ধরা এই ঘরের শত্রু বিভীষণ দের বর্জন করা এখন সময়ের দাবী।