শরতকালীন মূর্তি ভাঙা উৎসব শুরু!!!!

বাংলাদেশের জন্য গুলশান হামলার এক বছর পালন করাকে ‘মাছের মার পুত্র শোক’ বললে কি অন্যায় হবে? গুলশানে আলাদা করে এমন কি ঘটেছিল যে বাংলাদেশ শোকেমুহ্যমান হয়ে পড়বে? যদি গত তিন-চারদিনের খবর দেই তাহলে প্রথমেই আসবে চবি’র নয়ন চন্দ্র মজুমদারের নাম। সুলতানা কামালের পক্ষালম্বণ করে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে তার নিজ ইউনিয়ন সন্তোষপুরের তৌহদী জনতা তাকে পিটিয়ে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। বেধড়ক পিটুনি খেয়ে অজ্ঞান নয়নের ছবিটি ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত করে পোস্টের সঙ্গে দিয়ে দিলাম। অন্যদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে সেটেলার বাঙালীরা সম্মিলিতভাবে পাহাড়িদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এদিকে আবহাওয়া চেঞ্জ হবার মত করে এবছর শরতকালীন মূর্তি ভাংচুর উৎসবও আগেভাগে শুরু হয়ে গেছে। কালিয়াকৈরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৮টি প্রতিমা ভাংচুরের মাধ্যমে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে…।

গুলশানের হলি আর্টিজানে সেদিন আসলে কি ঘটেছিল? কয়েকজন তরুণ যারা আইএস সমর্থক বা সদস্য, কিংবা দেশী জেএমবি বা আনসারুল্লাহর কর্মী। জাকির নায়েক, রাজ্বাক বিন ইউসুফ, তারেক মুনায়েম দ্বারা অনুপ্রাণিত। এরা জসিমউদ্দিন রাহমানি দ্বারা জিহাদে নিযুক্ত সক্রিয় মুজাহিদ ছিল যারা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরায় জিহাদী হামলা চালিয়ে দেশী বিদেশী কাস্টমারদের হত্যা করেছিল। তাদের দাবী ছিল, নিহতরা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু অথবা এরা ইসলাম সম্মতভাবে জীবন পরিচালিত করত না কিংবা ইসলামী শাসন কায়েমের জন্য এরা ছিল শ্রেণীশত্রু…।

ডিয়ার বাংলাদেশ, ‘জিহাদী বই’ জিনিসটা কি একটু বলবেন? প্রায়ই শুনি আপনার পুলিশ বাহিনী এসব বই আটক করে। পড়ে দেখেছেন কখনও? হিন্দুদের মূর্তি যারা ভাঙ্গতে যায় তারা কি মূর্তি ভেঙ্গে তার ভেতর থেকে সোনারূপা পায়? কখনো জেনেছেন তারা ঠিক কিসের লোভে মূর্তিপুজায় আঘাত করতে যায়? যে লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসাকে সনদ দিয়ে দিলেন একবার তাদের সেলেবাসের সঙ্গে আপনার পুলিশ বাহিনীর হাতে আটককৃত ‘জিহাদী বইগুলোর’ সঙ্গে একটু মিলিয়ে দেখবেন কি?