এককালে যে ভারতবর্ষ গান্ধার থেকে ব্রহ্মদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তা আজ ছোট হতে, হতে এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।

একটা ছোট্ট গল্প বলি ….৷

এক পন্ডিত একবার জঙ্গলের পথে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ পথিমধ্যে এক ব্যাধের সঙ্গে দেখা হয় ৷ ব্যাধ তাকে বলে, “পন্ডিত মশাই ওই পথে যাবেন না ওই দিকে ব্যাঘ্র আছে” ৷ পন্ডিত কর্ণপাত করলেন না ৷ তখন ব্যাধ পিছন থেকে বললেন যে, “পন্ডিত মশাই ব্যাঘ্র কি জিনিস আপনি কী জানেন না?”

পন্ডিত রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উত্তর দিলেন,… “খুব ভাল করে জানি… বি যুক্ত আ পূর্বক ঘ্রা ধাতুর অ “৷ পণ্ডিতের মুখে এই উক্তি শুনে ব্যাধ হতবাক ৷

পন্ডিত নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চললেন ৷ কিছুক্ষণ পর ব্যাঘ্র এসে তাকে বধ করল ৷ মৃত্যু কালে পণ্ডিতের জ্ঞান হল যে অতিরিক্ত শাস্ত্র পাঠ করলে মানুষের শাস্ত্রজ্ঞান বাড়ে কিন্তু কাণ্ডজ্ঞান লুপ্ত হয় ৷ – ঠিক আজকের ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুর মত…। রামকৃষ্ণ , চৈতন্য পড়ে এরা দিব্যজ্ঞানী হয়েছে কিন্তু কাণ্ডজ্ঞান লুপ্ত হয়েছে ৷

এককালে যে ভারতবর্ষ গান্ধার থেকে ব্রহ্মদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তা আজ ছোট হতে, হতে এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তা অনুভব করে না ৷ কেন বাংলাদেশ ও পাকিস্থান থেকে হিন্দু সভ্যতা শেষের পথে,… তা অনুধাবন করতে চেষ্টা করে না ৷

কারন তারাও যে মাত্রাতিরিক্ত দিব্যজ্ঞানী, কান্ডজ্ঞানী নয় ৷