নোট বাতিলের পর ৯৯% টাকা ব্যাংকে জমা পড়ায় বিরোধীরা সোশাল মিডিয়াতে অনবরত কুৎসা রটাচ্ছে। তাই এই লেখাটি দিলাম। ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের আট তারিখে দেশ জুড়ে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা, জাল টাকা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তথ্য অনুসারে ৯৯% পুরানো নোটের টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। এই পরিসংখ্যানে বিরোধীরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে অতি উৎসাহিত হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। আর তাদের সাথে কিছু হলুদ মিডিয়া জনসাধারনকে ঘন্টা খানেক কুমন্ত্র দিচ্ছে। নোট বাতিলের বাস্তব চিত্র গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের পেশ করা রিপোর্টে ধরা পড়েছে। আসুন বাস্তব চিত্রটা একবার দেখে নেওয়া যাক।
১) নোট বাতিলের কারণে ১৮ লক্ষ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হয়েছে।
২) নোট বাতিলের সময়ে জমা দেওয়া ২.৮৯ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে তদন্ত চলছে।
৩) লেনদেন সংক্রান্ত ৫.৫৬ লক্ষ নতুন মামলা চালু হয়েছে।
৪) রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ৫৬ লক্ষ নতুন কর দাতা যুক্ত হয়েছে নোট বাতিলের কারণে।
৫) নগদ ব্যবসায়ীরা এখন প্রায় সকলেই কর দিচ্ছে। ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪.৭ শতাংশ। আগে যা ছিল ৯.৯ শতাংশ।
৬) ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্স আদায় বেড়েছে ৪১.৭৯ শতাংশ।
৭) ব্যাংকে তিন লক্ষ কোটি টাকা আমানত জমা পড়েছে।
৮) ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬ শতাংশ।
৯) এক কোটির বেশি শ্রমিক ইপিএফ এবং ইএসআইসির আওতায় এসেছে।
১০) ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার অনৈতিক অনৈতিক লেনদেনে ধরা পড়েছে।
১১) ২৯,২১৩ কোটি টাকার অপ্রকাশিত আয় সামনে এসেছে। ১২) নোট বাতিলের কারণে বহু বেনামি কোম্পানির নাম সামনে এসেছে। ২.১ লক্ষ কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।
১৩) এই ধরণের বিভিন্ন কোম্পানির
৮০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
১৪) নোট বাতিলের কারণেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন জমা শুরু হয়েছে। যা কালো টাকার কারবারিদের পর্যুদস্ত করতে অনেকটাই সহায়ক হয়েছে। এই পরিসংখ্যান BJP তৈরি করে নি।
এটি গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের পেশ করা রিপোর্ট। বিরোধীদের মুখোশ খুলতে এবং তাদের কুৎসার যোগ্য জবাব দিতে লেখাটি।