“রিজিয়া কি?”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
******আমার লেখা পরবর্তী বই (এডিটিং চলছে-ওয়েবসাইটে দেবো) “হিন্দুরাজাদের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম” এর ‘জেহাদ ও রিজিয়া’ পরিচ্ছেদের কিছু অংশ*********************
আরবী ভাষায় ‘রিজিয়া’ নামে একটি শব্দ আছে। এটি একটি পদ্ধতি যা কি না ব্যাবহৃত হয় শুধু মাত্র একটি দেশ দখল করার জন্য এবং সেই বিজিত দেশের মানুষের, তাদের নিজষ্ব জীবন যাত্রা প্রনালী, ভাষা, আচার ব্যবহার, উপাসনা পদ্ধতি এমনকি তাদের সহজাত চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা পরিবর্তন করে এক সম্পুর্ন নতুন সমাজ (অসামাজিক) ব্যবস্থা, নতুন জীবন যাত্রা প্রনালী (ভোগবাদী) এবং নতুন মানসিকতার (পরমত অসহিষ্ণূ হিংসাবৃত্তি ) প্রচলন করা যায়।
এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগের পর বিজিত দেশের মানুষ জন এক নতুন মানুষে ( ভালো কি মন্দ সেটা বোঝা মুশকিল) পরিবর্তিত হয়। তারা তাদের আগের জীবন যাত্রা, আগের ভাষা, আগের সংষ্কৃতি, আগের ধর্ম সব ভুলে যায় । শধু ভুলে যায় সেটাই সব নয়, আগের সব কিছুকে ঘৃনা করতে শেখে এবং সেই ঘৃনা এক বিজাতীয় ঘৃনা যার মাত্রা মনুষ্যত্বের বাইরে চলে যায়।
একমাত্র আরবী ছাড়া ‘রিজিয়া’ শব্দের সমার্থক কোনো শব্দ পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষাতে নেই। এমনকি ব্রিটিশ এনসাইক্লোপিডিয়াতে ও নেই। আরব দেশেই এর সৃষ্টি। এর সফল প্রয়োগ শুরু হয় মদিনার ‘বানু কুরাইজা’ (ইহুদী) জাতির ধংস এবং তাদের পুর্বতন জীবন যাত্রা, মত ও পথ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। তারপর এই পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশে এর সফল প্রয়োগ হয়েছে। Military strategy হিসাবে এর তুলনা নেই।
শুধু উপনিবেশ তৈরী করাই নয়, সম্পুর্ন ভাবে নিজের মত ও পথের সংগে একাত্ম করে নেওয়ার এক মোক্ষম উপায় এই ‘রিজিয়া’।