পাকিস্তানের এক অভিনেত্রী তার বিয়ের দেনমোহর হিসেবে স্বামীর কাছে ৫ ওয়াক্ত নামাজ চাইলেন। অর্থ্যাৎ তিনি দেনমোহর হিসেবে তার স্বামী যেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন সেটা স্বামীর কাছে চেয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানী বোরখা পড়া নারী সাংবাদিকের নিউজ বেরিয়েছিলো। কালো তালেবানী বোরখা পড়ে নারী টিভি সাংবাদিকরা আবার ‘বোরখাওয়ালী সাংবাদিক সংঘ’ গঠনও করেছে। এইসব নিউজ বাংলাদেশের নিউজ সাইটগুলো প্রচার করা তাদের ইসলামিক দায় দায়িত্ব বলে মনে করে। বাংলাদেশের সরকারী বড় বড় পদে কিছু মহিলা বসে আছেন ইনারাও সবাই মাথা চুল ঢাকা হিজাবী পর্দানশীল নারী। স্বভাবতই প্রশ্ন আসা উচিত, যেহেতু উনারা ইসলামকে সুচারুভাবে অনুসরণ করেন কাজেই তাদের এই চাকরি বাকরি তকখানি ইসলাম সম্মত? মাথা চুল ঢেকে পুরুষদের সঙ্গে চাকরি করা যাবে এটা ইসলামের কোথায় বলা আছে? ইসলামের কোথায় বলা আছে একজন মুমিন পুরুষের ‘বস’ হতে পারবে কোন মহিলা? তাহলে যেসব মহিলা মুসলিম পর্দানশীল নারী সেজে বড় চেয়ারে বসে লাঞ্চ টাইমে অফিসে নামাজ সেরে বাকীদের নামাজের নছিয়ত করেন, পুরুষ কর্মীদের বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেন- এগুলোর কোনটা্ ইসলাম অনুমোদন করে? বাংলাদেশে যদি পরিপূর্ণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে তাদের এই চাকরি বাকরির কোন অধিকার থাকবে কি? এমন একটা মুফতি মাওলানা এনে বলাতে পারবেন আপনার এইসব কাজকারবারকে ১০০ ভাগ ইসলাম সম্মত বলবে? একবার একজন মহিলাকে এসব প্রশ্ন করাতে তিন হযরত খাদিজার উদাহরণ দেখিয়েছিলেন। সেই মহিলা জানেই না, খাদিজা স্বাধীন ছিলেন জাহেলিয়াতের যুগে। মুহাম্মদ তখন ২৫ বছরের যুবক। ৪০ বছর বয়সের আগে মুহাম্মদ ইসলামের ডাক দেন নাই। খাদিজা স্বাধীন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং পুরুষ কর্মচারী দিয়ে ব্যবসা চালাতে ইসলাম পূর্ব যুগে। সেই খাদিজার দোহাই দিয়ে ইসলামে কোন কিছু যে হালাল করা যায় না এগুলো এইসব মহিলাকে কে বুঝাবে?
পাকিস্তানের যেসব মহিলা বোরখাওয়ারী সাংবাদিক সংঘ করেছে তারা এটার করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছে, ‘জার্নালিজমেও ইসলামের আদর্শ মেনে চলুক মুসলিম নারীরা’ এটাই তারা চান। আসলে তাদের প্রয়োজন মোল্লা ওমরের মত কেউ যে এসে এদের পাছায় বেত মেরে ঘরের বাইরে আসার মজা বের করে দিবে। এরা সাংবাদিকতায় ইসলামের আদর্শ আনতে চায় অথচ ইসলাম নারীদের এরকম পেশাকে কোনভাবেই অনুমোদন করে না! এত হিপোক্রেসি কেন মুসলিমদের মধ্যে? দেনমোহরের হিসেবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ চাওয়া মহিলা কি জানে দেনমোহর হচ্ছে বিয়ের রাতে পুরুষের মহিলার যোনি ক্রয় করে নেয়া। এই দেনমোহর দেয়া ছাড়া কেউ স্ত্রীর যোনি পেতে পারবে না। কিছু না থাকলে অন্তত একটা সুরা মুখস্ত বলে সেটা কিনে নিতে হবে। হযরত আলী ফাতেমার ইয়েকে হালাল করেছিলেন তার যুদ্ধপোশাক বিনিময়ে! এসব যে একজন নারীর জন্য কতখানি গ্লাণিকর সেসব মুসলিম নারীরা কবে বুঝতে শিখবে? যে মহিলা তার স্বামীকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে এত ছলচাতুরী করেন তিনি কি ইসলামী শরীয়তের পুরুষের ৪ বিয়েকে মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন? তার স্বামীর আরো স্ত্রী থাকবে, হালাল দাসী থাকবে- এমন একটা সংসার কি তিনি কল্পনাতেও আশ্রয় দিতে পারেন?