সিদিকুল্লারা ভারতীয় আইন না মানার সাহস পায় কোথা থেকে ?

সিদিকুল্লারা ভারতীয় আইন না মানার সাহস পায় কোথা থেকে ?
————————————————————————
‘৪২ সালে গান্ধী বুড়ো ভারত ছাড়ো (Quit India) আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলো । 

এর উত্তরে কমুনিষ্ট পার্টি শ্লোগান তুলেছিল “আগে দেশ ভাগ হবে, তারপর দেশ স্বাধীন হবে”; Divide and Quit. পার্টির ইস্তাহারে তারা ঘােষণা করলো: “একমাত্র কমুনিষ্ট পার্টিই মুসলমানের পাকিস্তান দাবিকে সঙ্গত বলে মনে করে ; এবং দাবি আদায়ের জন্য কংগ্রেস-কমুনিষ্ট-মুসলিম লীগের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানায়।” (The Communist Party is the only party that recognises Muslim’s demand for Pakistan as just and calls the league to achieve the fundamental goal of Pakistan through united struggle of the Congress, Muslim League and the Comminists.) | তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সেকুলাঙ্গার কংগ্রেস-কমুনিষ্ট আর ধর্মান্ধ মুসলিম লীগের ষড়যন্ত্রে এই ভারতীয় উপমহাদেশ খণ্ডিত হলো । এই ষড়যন্ত্রের ফলে কেবল পঃ পাকিস্তানেই প্রায় ২৫ লক্ষ হিন্দু-শিখ বলি হলো । এরপর ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বিধ্বংসী সন্ত্রাসে লক্ষ লক্ষ হিন্দু নর-নারী লাঞ্ছিত উৎপীড়িত, ধর্ষিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে পঃ বাংলায় আশ্রয় নিলো । পশ্চিমবঙ্গে আওয়াজ উঠলো : যত সংখ্যক হিন্দু পূঃবঙ্গ হতে বিতাড়িত হয়েছে, সেই সংখ্যক মুসলমানকে পূঃবঙ্গে পাঠিয়ে হিন্দু উদ্বাস্তুদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হােক, যেমন হয়েছে পাঞ্জাবে। এর উত্তরে খণ্ডিত ভারতের লম্পট শ্রেষ্ঠ প্রথম প্রধান মন্ত্রী গেয়ে উঠলো সেকুলার ভারতে এই মানুষ বিনিময় অসম্ভব ! লম্পট নেহেরু তৎক্ষণাৎ এ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়কে নির্দেশ দিলো পূর্ব বঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় না দিতে । পাঠক, একবার ভাবুন এই লম্পটের মানবিকতা ! কাতারে কাতারে মানুষ রক্তাক্ত, ধর্ষিত, লুন্ঠিত হয়ে আসছে প্রাণ বাঁচাতে আর লম্পট তাদের মুখের উপরে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিতে বলছে । বাহ্! রে ! এই নাহলে সেকুলাঙ্গার প্রধানমন্ত্রী ? সেদিনের খণ্ডিত ভারতে গান্ধী বুড়োর সেকুলাঙ্গার জাতীয় আদর্শ আর লম্পট নেহরুর চরম নিষ্ঠুরতায় যত অসহায় মানুষ বিপন্ন হয়েছিল, তার জবাব কে দেবে ?
জনসংখ্যা বিনিময়ের প্রসঙ্গে , কংগ্রেসের সেকুলাঙ্গার নেতৃত্বের কান্ডজ্ঞানহীনতা দেখে আম্বেদকর মন্তব্য করেছিল : ‘তাদের তুরস্ক—গ্রীস বুলগেরিয়ার ইতিহাস পড়া উচিৎ। এই সকল দেশ লােক বিনিময়ের মাধ্যমেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেয়েছিল। কাজটি কিন্তু মােটেই সহজ ছিল না। মােট ২ কোটি মানুষকে এক দেশ হতে অন্য দেশে স্থানান্তরিত করতে হয়। ক্ষুদ্র দেশ যা পারে—উপমহাদেশ তুল্য বিশাল ভারত তা পারবে না কেন ?’ রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরও এই ব্যাপারে একদম নিষ্ক্রিয় ছিল ! লােক বিনিময়ের প্রসঙ্গে গান্ধীর বক্তব্য ছিল :“লােক বিনিময়ের কথা আমি ভাবিতেই পারি । আমি মনে করি উহা সম্পূর্ণ অসম্ভব প্রস্তাব। যিনি যে প্রদেশেই থাকুননা কেন, হিন্দুই হউন আর মুসলমানই হউন অথবা আর কোন ধর্মে বিশ্বাসী হউন, তিনি ভারতবাসী।” আহারে, উপমহাদেশের মুসলমান ! এরা সহস্র কণ্ঠে সকল সময়ে জানান দিয়েছে সেই সুদূর অতীত থেকেই যে, তারা মুসলমান, এক আলাদা জাতি ,ভারতীয় নয়। তারা ভারতের অনুগত ভারতীয় নয়, তারা পশ্চিম এশিয়ার মুসলমান দেশগুলোর প্রতি অনুগত । এতো কিছুর পরও কেউ যখন বলে, মুসলমান ভারতীয়, তখন সেই সেকুলাঙ্গারদের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের ভাষায় বলতে হয় : “তার মস্তিষ্কের সুস্থতা সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার সঙ্গত কারণ আছে ।” যা হোক পাঠক,এই সেকুলাঙ্গারদের চক্রান্তে জনসখ্যা বিনিময় হল না। সাড়ে তিন কোটি মুসলমানকে এদেশে রেখে দেওয়া হল। ভারত আজ জেহাদীদের অভয়ারণ্য। গান্ধী বুড়োর সার্টিফিকেট বলে সকল মুসলমান ভারতীয় আর তাই কাশ্মীরে লক্ষ মুসলমানের শ্লোগান দেয় :“জিয়ে জিয়ে পাকিস্তান, তেরি জান, মেরি জান। পাকিস্তান পাকিস্তান। আমরা পাকিস্তানি, পাকিস্তান আমাদের। ইসলাম ধর্ম আমাদের একসূত্রে গ্রথিত করেছে।” পাঠক, আজকের ভারতে এর পরিনাম কি ? কাশ্মীরে হিন্দুদের উপর হয়েছে ব্যাপক নির্যাতন, আর ভয়াবহ ইসলামি সন্ত্রাসে কাশ্মীরের তিন লক্ষ হিন্দু স্বদেশে উদ্বাস্তু হয়েছিল । তাদের স্থান হয়েছিল জম্মুর সরকারি শরণার্থী শিবিরে। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের একদল সাংবাদিক আসে ভারতে। তারা জম্মুতে কাশ্মীরি হিন্দু ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করে। পাক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ৪৫ বছর বয়স্ক জনৈক শরণার্থী কিভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে এবং কেন তাদের পালিয়ে আসতে হয়েছে তার বর্ণনা দেয় : “আমাদের প্রতিবেশী মুসলমানদের শ্লোগান ছিল খুবই ভীতিপ্রদ। তারা বলত আমরা চাই পণ্ডিতদের বাদ দিয়ে তাদের রমনীদের নিয়ে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করতে ।” (A 45 years old Bank Official pointed the atmosphere of terror, that forced his family to flee Tanmong ….. ‘The Chants of some of our neighbours were terrifying” They would say, we want Kashmir to be with Pakistan without the Pundits, but with their women—Hindustan Times, 5.10.2005)।
আমরা ভারতীয়, ভারত একটি মহান সেকুলার দেশ । এদেশের মসনদে বসতে হলে মুসলমান তোষণ করতে হয়, যারা সহস্র কণ্ঠে সকল সময়ে জানান দিয়েছে সেই সুদূর অতীত থেকেই যে, তারা মুসলমান, এক আলাদা জাতি ,ভারতীয় নয়। তারা ভারতের অনুগত ভারতীয় নয়, তারা পশ্চিম এশিয়ার মুসলমান দেশগুলোর প্রতি অনুগত আর তাই আজকে পিসির দলের সিদিকুল্লারা ভারতীয় তিন তালাক আইন মানবেনা বলে হুংকার ছাড়তে সাহস পায়…………