বুদ্ধিজীবীরা ঘুম থেকে উঠেছে, গর্ত থেকে মুখ বার করছে। এবার হয়তো রাস্তায় দেখতে পাওয়া যাবে।

সোজাসাপ্টা অমিত শাহ
  অসম থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে – এই ১০০% মিথ্যা বাক্যটি জামাতি, হেফাজতি ও তাদের ধামাধরারা রটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফায়দা লুঠতে চাইছে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী অমিত শাহ গতকাল (৩১/০৭/২০১৮) প্রেস কনফারেন্সে স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন –

১. যে সকল ব্যক্তি নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে, জীবন রক্ষা করতে, ধর্ম রক্ষা করতে এই দেশে এসেছেন তারা শরণার্থী।
২. যারা রোজগার বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে অবৈধ ভাবে এই দেশে এসেছেন তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী।
৩. বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং অন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলি।
৪. রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার ব্যাপারেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক এই বিরোধীদলগুলি।
৫. যে কেউ আমাদের দেশে এসে বাস করতে আরম্ভ করে দেবে এই ভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না, এই ব্যবস্থা রাষ্ট্র সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক।
৬. ১৯৭১-এ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কি বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী?
৭. ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
৮. প্রাক্তন গৃহমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন।
৯. সরকারে থাকলে একরকম কথা আর বিরোধী থাকতে আরেকরকম কথা আপনারা দেশের সামনে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।
১০. মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে NRC প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হচ্ছে।
১১. আপনারা কি তবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এবং আপনাদেরই পূর্বসূরি নেতৃত্বের বিরোধিতা করছেন?

  বাঙালি হিন্দু স্বাগত।