পৃথিবীতে একমাত্র মুসলমানদের অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অধিকার আছে।

ময়মনসিংহ পলিটেকনিকের অনিক সরকার নামের এক শিক্ষার্থীকে তারই সহপাঠীরা মারধোর করে অধ্যক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে ইসলামের নবীকে কটুক্তি করার অভিযোগে। অধ্যক্ষ পুলিশ ডেকে অনিক সরকারকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তার পবিত্র দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।
পৃথিবীতে একমাত্র মুসলমানদের অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অধিকার আছে। যেমন কুরআনে আছে  “ইহুদি খ্রিস্টানরা তাদের কিতাব বিকৃত করে ফেলেছে “- কুরআনের ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রতি প্রমাণহীন এই কটুক্তি নিয়ে ওয়াজ বয়ান সব করা যাবে।

কিন্তু মুহাম্মাদ ১১টা বিবি আর দুইখান দাসী রাখতেন এই কথা বললে সেটা নবী নিয়ে কটুক্তি হয়ে যাবে!  এই তথ্য তো নবীর উপর লেখা ইসলামিক সোর্স সিরাতুন নবী, সহি হাদীস দিয়ে স্বীকৃত। কিন্তু যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে মারা হয়নি ইসলামের এই কথার সোর্স কি? কোটি কোটি খ্রিস্টান বিশ্বাস করে এটা। এখন যদি তারা এটাকে তাদের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি হিসেবে ধরে নেয়?  মুসলমানরা হলে নিতো। জাতিসংঘে গিয়ে কান্নাকাটি করে বাইবেল সংশোধন করিয়ে ছাড়ত। কিন্তু খ্রিস্টান ইহুদিরা ধর্ম নিয়ে আর মাথা ঘামায় না। খ্রিস্টান অধুষিত দেশে গিয়ে জাকির নায়েক,  আহমেদ দিদার তাই খ্রিস্টান বাইবেল ইহুদি তাওরাত নিয়ে কুরআনের কটুক্তি আবৃত্তি করে আসলেও কোন ইহুদি খ্রিস্টানের অনুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হয় না।

এ এক আজব অবস্থা! ইসলামের নবী আয়েশাকে তার ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন এটা সমস্ত সহি হাদীস দ্বারা স্বীকৃত অথচ এটাকে কেউ শিশুবিবাহ বললেই কটুক্তি বলে মারধোর করতে হবে! মামলা জেল জরিমানা হয়ে যাবে। আমাদের বিচারপতিরা কি তাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুভূতির কাছে?  যখন তাদের কাছে এই মামলাগুলো যায় তখন কি তারা প্রশ্ন করতে পারে না, সাফিয়াকে নবী গণিমত হিসেবে নিজের ভাগে পেয়েছিলেন এবং তাকে বিয়ে করেন। মৃত মা বাবার রক্তাক্ত নিথর দেহের সামনে কোন মেয়ে সেইদিনই বিয়ে করতে পারে না। 
আর ঘাতক যখন সেই লোকটিই হোন কেমন করে তাকে মেয়েটি বিয়ে করতে পারে? তারমানে মেয়েটির বাসর হয়েছিল জোরজবরদস্তি করে?  এটাকে কি বলে সহজ বাংলায়? হাদীস সিরাতের তথ্যকে তাহলে সামনে কটুক্তি হিসেবে ধরা হবে নাকি ?  এই সহজ প্রশ্নটি করতে আমাদের আর কত পথ পাড়ি দিতে হবে?