বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারত তার নিজস্ব স্বাক্ষর রেখে এসেছে। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে ভারতীয় ধাতুবিদগণ দিল্লির লৌহস্তম্ভটি নির্মাণ করেন। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ গ্রন্থে সেযুগের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিকতাবাদ প্রস্তাবনার ১০০০ বছর আগেই ভারতীয় গণিতবিদ তথা জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট প্রাচীন বিশ্বধারণার ভ্রান্ততা প্রমাণ করেছিলেন।
প্রাচীন বিশ্বে একমাত্র ভারতেই গড়ে উঠেছিল হীরের খনি। ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের অন্যতম বলে বিবেচিত হন। ১৯২৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন ভারতীয় পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন।
স্বাধীনোত্তর ভারতকে একটি দরিদ্র রাষ্ট্র বলে বিবেচনা করা হলেও,
স্বাধীনতা অর্জনের পাঁচ দশকের মধ্যেই এই দেশ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষিণ
এশিয়ার এক মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সাক্ষরতার হার ও কৃষি উৎপাদন
বৃদ্ধি এবং নগরকেন্দ্রের উদ্ভব ভারতের এই প্রযুক্তিগত উত্থানের কারণ। ১৯৭৫
সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টের উৎক্ষেপন, তার পূর্ববর্তী বছরে স্মাইলিং বুদ্ধ
নামে এক ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষণ, দূরসংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,
পারমানবিক চুল্লি ও হোমি জাহাঙ্গির ভাবা পরিচালিত বিএআরসি-এর মতো
গবেষণাকেন্দ্রের বিকাশ ভারতের উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য বলে বিবেচিত
হয়।[১৪২]
লো-আর্থ, মেরু ও জিওস্টেশনারি কক্ষপথে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের এক দেশীয়
প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ভারত। এএসএলভি, পিএসএলভি, জিএসএলভি ও সর্বোপরি ইনস্যাট কৃত্রিম উপগ্রহ সিরিজগুলি ভারতের সফল মহাকাশ-কর্মসূচির স্বাক্ষর। ২০০৮ সালে চাঁদের মাটিতে অবতীর্ণ হয় প্রথম ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-১।
দেশীয় বিমানশক্তির ক্ষেত্রে বৈকল্পিক শক্তি হিসেবে অ্যাডভান্সড লাইট
হেলিকপ্টার ও এলসিএ তেজস-এর নাম করা যায়। লারসেন অ্যান্ড টাব্রো,
ডিএফএল-এর মতো কোম্পানিগুলির সাহায্যে আবাসন ও পরিকাঠামো শিল্পেও ভারত আজ
উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর। আরো
দেখুন উত্তরটা সংক্ষিপ্ত,কিন্তু ভয়ঙ্কর। কেন হারিয়ে গেলেন …
২০০৩ সালে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং তৈরি করে ভারতের প্রথম সুপারকম্পিউটার পরম পদ্ম। এটি পৃথিবীর দ্রুততম সুপারকম্পিউটারগুলির অন্যতম।[১৪৩] ১৯৯০-এর দশকে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় এক অগ্রণী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে বিশ্বের মঞ্চে উপস্থাপিত করে। বর্তমানে আই বি এম, মাইক্রোসফট, সিসকো সিস্টেমস, ইনফোসিস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, উইপ্রো ও অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলি ভারতের বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই প্রভৃতি শহরে তাদের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে।
- ভারতীয় মহাদেশে মহিলা বিজ্ঞানীদের আবদারন…………..
- বৈদিক জগতে পদার্থ বিজ্ঞান……………………….
- দার্শনিকদের নাগার্জুন…………………………..
- বাঙালি রাজনৈতিক নেতা, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক অর…
- বাঙালি চিন্তাবিদ এবং সাহিত্যিক রাজনারায়ণ বসু……..
- উপমহাদেশের বিজ্ঞ ও বাস্তবজ্ঞান সম্পন্ন দার্শনিক ‘চ…
- বাঙালি ইতিহাসবিদ আর, সি, মজুমদার (রমেশচন্দ্র মজুমদ…
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও সংস্কৃত পন্ডিত ……………
- কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয় বা সুভাষিত রত্নকোষ একটি সংস্কৃ…
- ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতো দেখা হয় তাকে …
- বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা-গবেষক…
- বাংলার সহজিয়া মননে মহাত্মা শ্রী রাধারমণ…………..
- বাঙ্গালী প্রথম বিশ্বকোষ রচয়িতা, প্রত্নতত্ত্ববিদ, …
- ভূতত্ত্ববিদ্ প্রমথনাথ বসু…………………..
সুত্র……….
- Brown, Judith M. (১৯৯৪)। Modern India: The Origins of an Asian Democracy। Oxford and New York: Oxford University Press। xiii, 474। আইএসবিএন 0198731132।
- Kulke, Hermann; Dietmar Rothermund (২০০৪)। A History of India। 4th edition। Routledge। xii, 448। আইএসবিএন 0415329205।
|coauthors=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Metcalf, Barbara; Thomas R. Metcalf (২০০৬)। A Concise History of Modern India (Cambridge Concise Histories)। Cambridge and New York: Cambridge University Press। xxxiii, 372। আইএসবিএন 0521682258।
|coauthors=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Spear, Percival (১৯৯০)। A History of India 2। New Delhi and London: Penguin Books। পৃ: 298। আইএসবিএন 0140138366।
- Stein, Burton (২০০১)। A History of India। New Delhi and Oxford: Oxford University Press। xiv, 432। আইএসবিএন 0195654463।
- Thapar, Romila (১৯৯০)। A History of India 1। New Delhi and London: Penguin Books। পৃ: 384। আইএসবিএন 0140138358।
- Wolpert, Stanley (২০০৩)। A New History of India। Oxford and New York: Oxford University Press। পৃ: 544। আইএসবিএন 0195166787।