এই রাভানারী দাস এখন আরব জাহানে সনাতনের আলো ছড়াচ্ছেন ! 

তিনি ছিলেন সাবেক ফিলিস্থিনি যোদ্ধা। ইয়াসির আরাফাতের PLO এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কিন্তু তাদের অনেক কর্মকান্ড বিশেষ করে মানুষ হত্যা ভালো না লাগায় যুদ্ধ শিবির ছেড়ে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি… নিয়ে জার্মানিতে যান। যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায় তিনি কিছু প্রশ্নের জবাব খুজছিলেন যার জবাব আজো মেলেনি।তিনি নিয়মিত কোরান পাঠ করতেন। কিন্তু সেই কোরান তাকে দিতে পারলনা তার প্রশ্নের জবাব। এই কারণে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।এই হতাশা তাকে শেষ করে দিচ্ছে। শুরু করলেন মদ্য পান। একদিন জার্মানির এক স্থানীয় বারে (পানশালা ) গিয়ে ড্রিংক করতে লাগলেন। এক পর্যায়ে কারো ফেলে যাওয়া একটি ম্যাগাজিন পেলেন যার নাম ছিল “Back to Godhead”. তিনি এত ড্রিংক করেছেন যে ম্যাগাজিনটি কি তা পড়তে পারলেন না। একাকী বাসায় যেতে এমন কি হাটতে অক্ষম । তাই বার মালিক তাকে বাসায় পৌঁছে দিলেন। কিন্তু ম্যাগাজিনটি ফেলেননি। সুস্থ্য হওয়ার পর 
তিনি এটি পড়তে লাগলেন। এই ম্যাগাজিনে তিনি খুঁজে পেতে শুরু করলেন তার সব প্রশ্নের উত্তর। ম্যাগাজিনটি থেকে পেলেন স্থানীয় ইস্কন এর ঠিকানা। একদিন চলে এলেন স্থানীয় জার্মানি ইস্কন মন্দিরে। কথা বললেন মন্দিরের স্বামীজির সঙ্গে এবং ইস্কনের সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। কিন্তু মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, গায়ে ইসলামী পাঞ্জাবিসহ মুসলিম ড্রেস থাকার জন্য মুসলিম মৌলবাদীদের ভয়ে স্বামীজি রাজি হলেন না। বেচারা ব্যর্থ হয়ে বাসায় চলে এলেন। নতুন বুদ্ধি করে আবার গেলেন ইস্কন মন্দিরে।মন্দিরে গিয়ে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দাড়ি সেভ করে বসে রইলেন।কেউ আর বাথরুমে যেতে পারে না। একজন ইস্কন সদস্য এসে দরজায় নাড়া দিয়ে খুলার কথা বললে তিনি উত্তর দিলেন “আপনার স্বামিজীকে ডাকেন। একটি স্বর্তে আমি দরজা খুলবো।” স্বামীজি এলে তিনি বললেন “স্বামীজি, আমি দরজা খুলবো যদি আমাকে ইস্কনের সদস্য করে আপনাদের সঙ্গে থাকতে দেন। ” অনেক চিন্তা করে স্বামীজি রাজি হয়ে গেলেন। তার পর থেকে ইস্কন মন্দিরই হলো তার ঠিকানা।মুসলিম নাম বদল করে নতুন নাম নিলেন রাভানারী দাস। যে ধর্ম তার জীবনকে বদলে দিলো তার উপর বাপক পড়াশুনা শুরু করলেন। আরবিতে অনুবাদ করলেন প্রভুপাদের বই সহ সনাতন ধর্মের অনেক বই।এই রাভানারী দাস এখন আরব জাহানে সনাতনের আলো ছড়াচ্ছেন ! 

Scroll to Top