গ্যারেজের দিকে টার্ন নিতেই ব্রেক কষতে হল। একটা গাড়ি বেরোচ্ছে। ব্র্যাণ্ড নিউ বি এম ডাব্লিউ। ড্রাইভিং সিটে বসা লোকটাকে চিনতে পারল।সোমালিয়ান। মাত্র বছর তিনেক আগে রেফিউজি হিসেবে এ পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সরকার থেকে যা যা সুবিধা পাওয়ার কথা সবই ভোগ করে। তিন তিনটে বৌ আর গোটা ছয় সাত বাচ্চা কাচ্চা। সবার জন্যই ভিন্ন ভিন্ন অনুদান। এদের জন্য নরওয়ে সরকার সত্যিই উদার হাতে খরচ করে। তাই বলে তিন বছরের মধ্যে বি এম ডাব্লিউ ! তাও আবার এত দামী মডেলের ! দ্বিতীয় প্রজন্ম হয়েও শাহিল এখনও টেসলা-র উপরে কিছু ভাবতেই পারেনা। কে যেন সেদিন বলছিল লোকটা নাকি ড্রাগের ব্যবসা করে। নির্ঘাত বেশ জমিয়ে ফেলেছে।নিছক পেডলার হিসেবে এই লাইফ স্টাইল মেইন্টেইন করা অসম্ভব। যা রটছে খুব একটা মিথ্যে নয়। গ্রনল্যান্ডটা সত্যিই অপরাধের পীঠস্থান হয়ে উঠছে। অসলো শহরে যত ক্রাইম হয় তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখানেই ঘটে। কালো চামড়ার মানুষ কি সত্যিই বেশি অপরাধপ্রবণ ? প্রশ্নটা ইদানীং খুব ভাবায়। কিন্তু শাহিলও তো কালো। স্ক্যানডিনেভিয়ানদের চোখে অন্তত তাই। কিন্তু ওর তো কোনো অপরাধ করার ইচ্ছে জাগেনা। নির্ধারিত জায়গায় গাড়িটা পার্ক করেও যেন স্বস্তি পেলনা। বাড়ি, গাড়ি, আসবাব, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদির জন্য না হয় নির্ধারিত কিছু জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া যায়। পরিস্থিতি বদলে গেলে স্থানান্তরও ঘটানো যায় অতি সহজেই। কিন্তু মানুষ ? তার জন্য কোনো সুনির্দিস্ট জায়গা আছে কি ? শরীরটির জন্য না হয় একটি স্থান ঠিক করে দেওয়া হল, কিন্তু মন ? তাকে তো বায়বীয়ও বলা যাবেনা, বিমূর্ততার চরম সীমা ছুঁয়ে তার বেড়ে ওঠা। তবু তার স্থান আছে, স্থানান্তরও আছে। তার চেয়েও অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ হল স্থানচ্যুতি, যা দেহটিকেও বিপন্ন করতে দ্বিধাবোধ করেনা। কফি মেশিনে ক্যাপস্যুল ঢুকিয়ে শাহিল আবার অন্যমনস্ক হয়ে গেল। কাপের বাইরে ছিটকে পড়া কফি মুছে নিয়ে ভাবল মেইল বক্স চেক করবে। পরমুহূর্তেই মনে পড়ল কিছু পুরনো প্রোগ্রামের ভিডিও সেভ করে রেখেছে। আগে সেভাবে দেখা হয়ে ওঠেনি। শাহিল ইদানীং একটু বেশি করেই ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ভাবছে। শিল্প, সাহিত্যের প্রতি বরাবরের আগ্রহ। কিন্তু আজকাল সব কিছু ছাপিয়ে উঠছে ধর্ম। ধর্মের মত প্রাচীন একটি প্রতীতি আধুনিক আর্থ সামাজিক ব্যবস্থাকেও যে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, সিরিয়া আর ইরাক জুড়ে আইসিসের উত্থান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কফিতে চুমুক দিতে দিতে স্মার্ট টিভির রিমোটটা টিপে দিল।
অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই কিশোরী —সাবিনা সেলিমোভিচ, সামরা কেসিনোভিচ ! পনের ষোল বছর বয়সী এই দুটি মেয়ে ইউরোপ থেকে টার্কি হয়ে সুদূর সিরিয়াতে পৌঁছে গিয়েছিল।উদ্দেশ্য একটিই—আইসিসে যোগদান। ২০১৪ সালের এই দুঃসাহসিক পলায়ন শাহিলকে এখনও বিস্মিত করে। ওদের ছবি আগেও দেখেছে। তথাকথিত গোঁড়া হিজাবী নয়। বেশ ভূষায় রীতিমত স্মার্ট। কি এমন ঘটেছিল যা ওদের জীবনটাকেই এভাবে বদলে দিল ! একে কি বলা যায় ? মনের স্থানান্তর না স্থানচ্যুতি ? বসনিয়ান যুদ্ধের সময় ওদের পরিবার অস্ট্রিয়াতে পালিয়ে আসে। সময়টা ১৯৯০ এর আশে পাশে। তারপর সে দেশেই থেকে যায়। এই দুটি মুসলিম পরিবারেই সাবিনা এবং সামরার জন্ম। সাবিনার জন্ম ১৯৯৯, সামরার ১৯৯৭। অর্থাৎ তথাকথিত আধুনিক একটি রাষ্ট্রেই ওদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। পড়াশোনাও ঠিকঠাক চলছিল। একদিন ভিয়েনার একটি মসজিদে কোনো এক ইমামের সংস্পর্শে আসে। তাঁর উপদেশ এবং তত্ত্বাবধানে বেশ কিছুদিন ইসলামের পাঠ নেয়। জিহাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেট থেকেও সংগ্রহ করে।এপ্রিল, ২০১৪ তে ওরা দুজন একসঙ্গে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। তখনও কেউ কল্পনাও করতে পারেনি ওরা এমন করতে পারে। দুজনের জীবন যাপনও আপাতভাবে খুব স্বাভাবিক ছিল। ভিডিওটিতে ওদের ঘরের ছবিও বেশ ডিটেলে দেখা যাচ্ছে। সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা জামা কাপড়, বালিশ ও বিছানা। টেডি বিয়ারও আছে। তবে ওরা কেন এভাবে পালালো ? বাবা মার জন্য রেখে যাওয়া চিঠিতে কিভাবে এত অনায়াসে লিখল—আমাদের খোঁজ কোরো না। আমরা আল্লার জন্য লড়ব এবং মরব। সিরিয়াতে পৌঁছনো মাত্র ওরা আইসিস জঙ্গীদের ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ওদের আপাদমস্তক বোরখা আবৃত ছবি দেখা যায়। এসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে তোলা এই সব ছবি ওরা নিজেরাই আপলোড করে। শুধু তাই নয়, আইসিস-এর খপ্পর থেকে পালিয়ে আসা এক তিউনিসীয় নারী জানায় ওরা দুজনেই চেচেন জঙ্গীদের বিয়ে করেছে। জঙ্গীরা মহা আনন্দে সামরাকে পোস্টার গার্ল হিসেবে ব্যবহার করে। যাতে অন্য নারীরাও আইসিসে যোগদান করে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অন্য নারীদের মত ওদেরও যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হল । সদ্য যোগদান করা যুবকদের, শারীরিক ক্ষিদে মেটানোর জন্যই ওদের ব্যবহার করা হত। স্বপ্নের দেশটা যে আসলে এক ভয়াবহ নরক, সাবিনা এবং সামরা দুজনেই বুঝতে পারল। পালিয়ে আসার চেষ্টাও করল। কিন্তু ততদিনে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ২০১৫-এর শেষ ভাগে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সামরা ধরা পড়ে গেল। জঙ্গিরা তাকে পিটিয়েই মেরে ফেলল। আর সাবিনা মারা গেল যুদ্ধের সময়। আইসিস ঘাঁটিতে আমেরিকার বোমা বর্ষণ।
কেবল সাবিনা, সামরা নয়, ৫৫০ জনেরও বেশি ইউরোপিয়ান নারী আইসিসে যোগ দিয়েছিল। অর্থাৎ সমস্ত ইউরোপিয়ান রিক্রুটের শতকরা আঠের ভাগ। এছাড়াও ইউরোপের মাটিতে বসেই হোয়াইট উইডো বলে খ্যাত স্যালি জোনস আইসিসের হয়ে রিক্রুট করতেন।তাঁর প্রচেষ্টায় কত তরুণ তরুনী যে জিহাদী শিবিরে নাম লিখিয়েছে ইয়ত্তা নেই।ব্রিটিশ মুসলিম মোহম্মদ এমওয়াজি যেভাবে জিহাদি জন হয়ে উঠেছিল, তা এক কথায় অভাবনীয়। বিশুদ্ধ উচ্চারণে ইংরেজি বলা এই ছাত্রটি পরবর্তীতে যে এমন নৃশংস ঘাতক হয়ে উঠবে কে ভেবেছিল ! কুয়েতে জন্ম নেওয়া এই সন্ত্রাসবাদী ছ বছর বয়সে বাবা মা-র সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসে। সেখানেই তার ছাত্রজীবন। স্কুলের পড়া শেষ করে ওয়েস্টমিন্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং ইনফর্মেশন সিসটেমস নিয়ে বি এস সি করে। তারপর একটি আই টি কোম্পানীতে কর্মজীবনের সূত্রপাত। সুদক্ষ কর্মী হিসেবে সুনামও অর্জন করে। আচমকাই একদিন উধাও হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আইসিসের আপলোড করা একটি শিরচ্ছেদের ভিডিওতে তাকে দেখা যায়। সে সগর্বে নিজের পরিচয়ও জানায়। ব্রিটিশ এক্সেন্টে ইংরেজি বলা এই সন্ত্রাসবাদীকে মিডিয়া জিহাদি জন বলে ডাকতে শুরু করে। প্রায় চল্লিশ জন মানুষকে সে এই একই কায়দায় হত্যা করে। এর পর আরও অনেক হত্যার ভিডিওতে তাকে দেখা যায়। ২০১৫ নাগাদ আমেরিকার ড্রোন হামলায় তার মৃত্যু হয়।তবে অনেকেই মনে করেন মোহম্মদ এমওয়াজি ওরফে জিহাদি জন এখনও বেঁচে আছে।
বিস্ময় বাঁধ মানে না ! ইসলামে কি সত্যিই যাদু আছে ! এ কেমন সম্মোহনী ক্ষমতা ! পরলোকে বাহাত্তরটি হুর প্রাপ্তি ঘটবে নিছক এই আশাতেই কি সবাই এমন জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে ? ব্যাপারটা এত লঘু করে দেখা কি ঠিক হবে ? এই প্রলোভন তো পুরুষদের জন্য। তবে সাবিনা, সামরার মত শত শত ইউরোপিয়ান নারীও কেন সিরিয়ার দিকে ছুটে গেল ? ধর্ম না এডভেঞ্চার ? নাকি স্বপ্নের শরিয়া ভুবন ওদের হাতছানি দিয়েছিল ? ভুলে গেলে চলবে না এরা কেউই তৃতীয় বিশ্বের অশিক্ষিত নারী নয়। বিশ্বের সমস্ত মুসলিম কি আইসিসকে সমর্থন করে ? অবশ্যই না। শাহিল নিজেই তার প্রমাণ। সম্পূর্ণ বিপরীত ছবিও আছে। প্যালেস্টাইনের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের প্রতিষ্ঠাতা হাসান ইউসেফের পুত্র মোসাব হাসান ইউসেফের মত টেররিস্ট ১৯৯০ সালে ইসলাম পরিত্যাগ করে ইজরায়েলে চলে আসেন। শুধু তাই নয়। বেশ কিছু সম্ভাব্য আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কে আগাম তথ্য ফাঁস করে দিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচান। এই কট্টর সন্ত্রাসবাদী ১৯৯৯ সালে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে আমেরিকায় চলে যান। সন অফ হামাস নামে একটি বইও লিখে ফেলেন। সোচ্চারে বলেন হামাসের নৃশংসতা তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। কেবল ইহুদী নয়, ওরা স্বজাতীকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু ইজরায়েল কি কম নৃশংস ? ওদের সেনাবাহিনীও তো নিষ্ঠুরভাবে শত শত প্যালেস্টাইনবাসীকে হত্যা করে। শিশুরাও ছাড় পায়না। এসব কি নিছক ধর্ম ? রাজনীতি নয় ? নইলে সৌদি আরব তার সাম্প্রতিক কর্মসূচীতে কেন হজ বাবদ উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে চাইছে ?
সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। সেন্টার টেবিলের উপর রাখা কফির পাত্রটা অনেক আগেই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। টিভিটা বন্ধ করে জানালার দিকে হেঁটে গেল। স্নো ফল বন্ধ। বিশাল একটা চাঁদ উঠেছে। আকেরসেলভার উপরে মেঘ। বিকেলের আলো মেখে নিয়ে ওস্প্রে, হ্যাজেল গ্রাউজ, কালো ঠোঁটের লুন পাখি সবাই একে একে ফিরে গেছে। কি অপরূপ এই অসলো। ফিওর্ডসের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা ছবির মত বাড়ি ঘর। দেবতার মত মানুষ। শিক্ষিত, অমায়িক, ভদ্র। না খেতে পাওয়া মানুষ নেই। দম বন্ধ করা জন সংখ্যা নেই, দৃশ্য দূষণ নেই, দুর্নীতিও বিরল। সবার জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব কিছুই বিনা মূল্যে। এমনকি শরণার্থীরাও রাজার হালে আছে। না, এখানে ধর্মের কোনো আস্ফালন নেই। এখানকার মুসলমানরাও অন্য রকম। গোঁড়ামি নেই বললেই চলে। অজ্ঞান করে কোরবানির নিয়ম মুসলিম সম্প্রদায় হাসিমুখেই মেনে নিয়েছেন। যেহেতু হার্ট বন্ধ না হলে প্রাণিটিকে জীবন্ত বলা যায়। হালাল / কোরবানির সময় কসাইখানাতে ইমাম চলে যান। তিনি যথোচিত মন্ত্র উচ্চারণ করে নির্ধারিত প্রাণিগুলির গলায় আলতো করে ছুরি ছুঁইয়ে দেন। তারপর মেকানাইজড পদ্ধতিতেই হত্যা করা হয়। শরণার্থীদের জন্য সপ্তাহে প্রায় ত্রিশ ঘন্টা ইন্টিগ্রেশনের ক্লাস। নরওয়েজিয়ান মূল্যবোধের শিক্ষা । তাই সহজেই ওরা মূলস্রোতে সামিল হতে পারে। না, এদেশে অন্তত সন্ত্রাসবাদী হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল শাহিল। শুধু রঞ্জনার জন্যই মন খারাপ করে। কবে যে ওকে নিজের দেশে পৌঁছে দিতে পারবে ! শাহিলের এদেশটাই বেশি ভাল লাগে। কিন্তু রঞ্জনার জন্য করতে পারেনা এমন কোনো কাজই নেই। বাবা মা নির্ঘাত বাধা দেবে। সে দেখা যাবে। কিন্তু ও তো আর ফোন করল না। মেসেজও নেই। হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে। এবার বরং ডিনার করে নেওয়া যাক। কিচেনের দিকে এগোতেই মাথাটা কেমন করে উঠল। সেই যন্ত্রণাটা ! পড়েই যাচ্ছিল প্রায়। শেষ মুহূর্তে দেওয়ালটা ধরে ফেলল। সব কিছু কেমন ধোঁয়াটে। মেঝের উপরেই বসে পড়ল। জলের বোতলটার দিকে হাত বাড়াতেই মনে হল আঙুলে কোনো সাড় নেই। শরীরটা যেন অবশ হয়ে আসছে। কোনো কিছুই যেন আর নিয়ন্ত্রণে নেই। সকাল, বিকেল, সন্ধে, রাত্রি সব কিছু যেন এক লহমায় পিছলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর, দেওয়াল ধরেই আবার উঠে দাঁড়াল। বেশ খানিকটা জল খাওয়ার পর একটু রিলিফ। আজই প্রথম নয়, মাস খানেকের উপর এমন হচ্ছে। প্রথম প্রথম শুধু বমি বমি ভাব। হজমের সমস্যা ভেবে গুরুত্ব দেয়নি।তারপর মাথাব্যথা শুরু হল। কথা বলতে বলতে হঠাত আটকে যাওয়া। ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া হয়না। রোগী দেখার চাপ । এছাড়াও হসপিটালের নানা রকম কাজ কর্ম। ব্যাপক চাপ। হাজার হলেও শরীর। যন্ত্র তো নয়। কদিন খুব রাত জাগা হয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহেই বেশ কিছু টেস্ট করিয়েছে। আজ কালের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়ার কথা। রাতের খাওয়া কোনোমতে সেরে নিয়ে রঞ্জনাকে একটা গুড নাইট মেসেজ। বিছানায় যাওয়ার আগে দু পেগ রেড ওয়াইন। ।দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। তবে আজ আর রাত করবে না। ক্রমশ বড় হতে থাকা চাঁদের দিকে তাকিয়ে বেড রুমের শেষ আলোটাও নিভিয়ে দিল।
Write By Debasis Laha