যে রহিম মিঞাঁ…. ,
আঙ্গুল উঁচিয়ে আমার কমরেড বন্ধুদের একসময় বলেছিল – “তোমাদের কেউ কেউ এবার তলে তলে ওদের ভোট দিলেও দিতে পারো, কিন্তু ত্রিপুরার সব জায়গায় আমাদের কথা হয়ে গেছে, আমরা এবার সব একজোট, ওদের রুখতেই হবে”। নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া কমরেডরা ছিল সব নির্বাক !
সেই লতিফ মিঞাঁ এখন নতুন গজিয়ে উঠা গেরুয়া অফিসটা আলো করে বসে থাকে, সঙ্গে থাকে একসময় লুটেপুটে খাওয়া আঁশটে গন্ধের প্রাক্তন কংগ্রেসী বাবুল রায়রা।
পাড়ার মাঝখানে মাত্র কয়েক ঘর লতিফ মিঞাঁরা। কয়েকবছর আগেও কুরবানীটা হত একটু আড়ালে, ছিল যেন কিছু সঙ্কোচও।
কিন্তু এবার…?
এবার দেখেছিলাম, দল বেঁধে একেবারে হৈ হৈ করে মালা পরিয়ে আশপাশের সবাইকে সন্ত্রস্ত করে অবলা প্রানীটাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে …. । শরীরি ভাষায় ফুটে উঠেছিল চ্যালেঞ্জ – “পারলে আটকা”। পুরো এলাকায় মাত্র কয়েক ঘরের সে চ্যালেঞ্জ, এলাকার সবার উদ্দেশ্যে !
ঐ দলের সামনে ছিল যে রমজান আলি….,
ঐ গেরুয়া অফিসটাতে রোজ পা ঝুলিয়ে বসে থাকে। সঙ্গে থাকে চীনা আফিমের নেশায় বুঁদ ঢুলু ঢুলু চোখের প্রাক্তন কমরেড হাবুল পালরা।
লতিফ আর রমজানরা বাবুল আর হাবুলদের সঙ্গে নিয়ে বসে বসে দিনরাত ফন্দি আঁটে, ঐ আমলে সব সুবিধা পাওয়া এই বস্তীর মণিরুলদের কিভাবে এই আমলে আরো সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায়, আর কিভাবে মণিলালদের সব সুবিধা কেড়ে নেওয়া যায়!
আমি অন্ধকার থেকে সেদিকে তাকিয়ে থাকি নির্মিশেষ, আর গুন গুন করে গাই –
“.. আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি,
আর একা একা কত কথা বলি।
কেউ কি আমার কথা বোঝে?
আমি তো কিছুই বুঝি না.. ” !
(সংগৃহীত)