সরস্বতী পূজা উপলক্ষে কিছু কথা, জীবন যা শেখায় না, শিখতে হয়। অনলাইনে ও অফলাইনে মা সরস্বতীর প্রতিমা তৈরীর শ্লীলতা-অশ্লীলতা নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই।
সরস্বতীপূজা
সরস্বতীপূজা
পয়গম্বর আর দিগম্বর শব্দ দুটি শুনতে কাছাকাছি হলেও এর অর্থ কিন্তু একদম ই আলাদা।পয়গম্বর অর্থ হল মেসেঞ্জার,যিনি স্রষ্টা থেকে প্রতিদিন মেসেজ এনে এনে দেন।এটা আব্রাহামিক ধারণা, বৈদিক সভ্যতায় এর কোন স্থান নেই।
অপরদিকে দিগম্বর অর্থ হল নগ্ন বা আকাশের মত বিস্তৃত যে,যার কোন বাঁধন নেই এমন।যেমন কোন যোগী,পূণ্যাত্মা ব্যাক্তি।ইনারা মেসেঞ্জার নন,ইনারা সংসারে থেকেও সংসারের সকল বন্ধন থেকে অম্বরের ন্যায় মুক্ত।
ইনারা মেসেজ আনেন না,ইনারা নিজেই হন শিক্ষক।ইনারা আদেশ দেন না যে “আসমানের উপর বসে থাকা তিনি এই আদেশ দিয়েছেন,এটাই করতে হবে নাহলে অনন্তকাল দোজখে তেলে ভাজা করা হবে।
” ইনারা আমাদের উপদেশ দেন,শিক্ষা দেন,কিছু চাপিয়ে দেন না।কিন্তু চাপিয়ে দেয়া হয়নি বলেই সেই স্বাধীনতাকে নিজের বিকৃত চরিত্র প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা অন্যায়।বৈদিক সভ্যতার শিক্ষা এই যে আপনি যা নিজের বেলায় হজম করতে পারেন না তা অন্যের বেলায় করার অধিকার আপনার নেই।
আপনি নিজের মা,বোনকে উপদেশ দিবেন অমুক পোশাক না পড়তে,অমুক সময় পর বাইরে না যেতে আর হিন্দু সমাজ যে দেবীকে মায়ের মত সম্বোধন করে তার প্রতিমা আপনি সাজাবেন ঠিক তার উল্টোভাবে এটা অধর্ম। আর এই ধরনের লোকেরাই, “আপনাদের নজর খারাপ,আপনারা সবকিছু নেগেটিভভাবে দেখেন কেন” এসব বলে নিজেদের অধর্মকে ঢাকতে চায়।
আগে নিজের জীবনে নিজের আপনজনের উপর এই পোশাক প্রয়োগ করে দেখান।দেখাতে পারলে তারপর নাহয় আপনি মায়ের প্রতিমাও এভাবে গড়বেন। আর নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে না পারলে সমাজের সকল হিন্দুকে এসব প্রতিমা বানিয়ে লজ্জিত করবেন না।
সাবধান,হিন্দু সমাজ কিন্তু ধীরে ধীরে জেগে উঠছে,এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মার কিন্তু একটাও মাটিতে পড়বেনা!
বসন্ত পঞ্চমীতে পরমাত্মা সকলের জ্ঞান অর্জনের সামর্থ্য দান করবেন এই প্রার্থনা রইল।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক