খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কারক হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, কেন বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা শিখার? উনিশ শতকের গোড়ার দিকের কথা। গ্রামে কলেরা-মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে পরিচিতদের অনেকেই। প্রাণ বাঁচাতে লোকজন পালাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে। ঘরে ঘরে আহাজারী, পড়ে আছে লাশ। সৎকারের অভাবে শবদেহগুলো অবহেলায় পড়ে আছে। শুনা যাচ্ছে তীব্র পিপাসার্ত কলেরা বোগীদের পানির জন্য আর্তনাদ। প্রিয়জনরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যাতে তাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি পানি স্পর্শ না করতে পারে। প্রয়োজনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে! এসব ছিল সে-সময়কার কলেরা নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র!
এটি হচ্ছে জামালপুর জেলার ঝিনাই নদীর অববাহিকায় ঘোষেরপাড়া নামক প্রত্যন্ত গ্রামের তথ্যচিত্র। গ্রামটি এখনও বহির্বিশ্ব থেকে মোটামুটি বিচ্ছিন্ন। প্রযুক্তির যুগেও গ্রামটি বিদ্যুৎ ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এখনও সেখানে যেতে হয় পায়ে হেঁটে। গত ২০০ বছরে কলেরায় মিলিয়ন মিলিয়ন লোক প্রাণ হারিয়েছে। যদিও বর্তমানে খাবার স্যালাইন ও উন্নত পয়ঃনিষ্কানের কারণে কলেরায় মৃত্যর হার অনেকাংশে কমে গেছে, তথাপি WHO’র তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষের বেশী লোক মারা যায়। আমাদের দেশে সম্ভবত এমন কেউ নেই যিনি কলেরায় আক্রান্ত হননি। কলেরা ব্যবস্থাপনায় খাবার স্যালাইন আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রাণ রক্ষা পাচ্ছে। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এই প্রাণ রক্ষাকারী।
স্যালাইনের আবিষ্কারক কে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ার সময় এই প্রশ্নটি মাঝে মাঝে মানসপটে নাড়া দিত। সবার মতো আমিও মনে করতাম হাখালীর কলেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি থেকে খাবার স্যালাইন আবিষ্কার হয়েছে। জানতে ইচ্ছা করত আবিষ্কারের নেপথ্যে ব্যক্তিটি আসলে কে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে পরবর্তীতে আইসিডিডিআরবি’র সহকর্মীদেরকে জিজ্ঞাসা করে কোন স্পষ্ট জবাব পাইনি। অবাক করা বিষয় হচ্ছে যার আবিষ্কার আমাদের সমাজের দৃশ্যপট বদলিয়ে দিল, কিন্তু কেউ তার পরিচয়ও বলতে পারছে না! আমরা কেমন জানি অকৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম না?
২০০১ সালে আইসিডিডিআরবি’কে কলেরা গবেষণার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিল গেটস গণস্বাস্থ্য আওয়ার্ড দেয়া হয়। প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ঢাকা আইসিডিডিআরবি সেন্টারের মতো মতলব সেন্টারেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠান শেষে আওয়ার্ডটিকে নিয়ে হয় ফটোসেশন। তৎকালীন ডিরেক্টর ডেভিট স্যাক ডায়রিয়া গবেষণা নিয়ে বক্তব্য দিলেন। মতলব সেন্টারের (সেখানে খাবার স্যালাইনের মাঠ পর্যায়ে প্রথম ট্রায়াল হয়েছিল) অবদানের কথা শুনলাম। কিন্তু প্রকৃত আবিষ্কারকটি অগোচরেই রয়ে গেল। ব্যথাতুর হৃদয়ে ল্যাবে ফিরে এলাম। বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও জ্ঞান আহরণের অত্যন্ত সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে উইকিপিডিয়া। তন্ন তন্ন করে অনেক খোঁজ করেও এ সম্পর্কে তথ্য উদ্ধার করতে পারিনি। প্রবাস জীবনে ল্যাবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই বিষয়টি নিয়ে ইন্টার্নেটে গুগল সার্চ করতাম। একদিন হঠাৎ করে একটি লিঙ্ক পেলাম। সেটির সূত্র ধরে
আগাতে আগাতে বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল Lancet-এ এ-সম্পর্কিত তথ্য পেলাম!
‘খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা’র আবিষ্কারককে আবিষ্কার করলাম!
Chatterjee HN (Lancet, 1953 Nov 2;2(6795):1063)
Abstract: Control of the vomiting symptom
of cholera was attempted by treatment with avomine followed by
rehydration. In back-to-back cholera epidemic years in India, 59 cases
and 127 cases in 1952 and 1953, respectively, were treated with avomine
(25 mg; 14 mg of promethazine base and 11 mg of 8-chlorotheophyllin e);
vomiting was often checked with use of only 1 tablet, although up to 6
tablets were administered in 1 case. Because vomiting was easily
controlled by avomine, oral rehydration was possible, and the fluid replacement solution used was 4 gm of sodium chloride, 25 gm of glucose and 1000 ml of water. To
check diarrhea, which avomine does not do, these cases were given the
leaf juice of an Indian plant, Coleus (for info, Neem leaf).
যুগে যুগে নাম জানা-অজানা অনেকেই কলেরা প্রতিরোধে কাজ করে গেছেন। তবে বর্তমানে খাবার স্যালাইনের ফর্মুলার আবিষ্কারককে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। গ্লোকজ ট্রাসপোর্টের গবেষণার উপর ভিত্তি করে কলকাতার (ভারত) ডাক্তার হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কার করেন যা জনস্বাস্থ গবেষণার বিখ্যাত জার্নাল Lance-এ ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি আরো কমপক্ষে কলেরা সম্পর্কিত পাঁচটি জার্নাল পেপার প্রকাশ করেন। তাঁর এই অনবদ্য আবিষ্কারকে অস্বীকার করার মূলে বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা জড়িত থাকতে পারে বলে ভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি (ICDDRB)-তে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা প্রায় কই ফর্মুলা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেন।
মাঠ পর্যায়ে এর কার্যকারিতা গবেষণা করে আইসিডিডিআরবি খাবার স্যালাইনকে কলেরার ন্যতম ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। ১৯৫৩ সালের গবেষণা পত্রটি পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট এলামনাইদের জানানো উচিত। তাহলে শিক্ষকরা অন্তত ক্লাসে পড়ানোর সময় এ বিষয়টি আলোকপাত করতে পারেন। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের DUMAA (Dhaka University Microbiologists Alumni Association), GMA (Graduate Microbiologists Association), ইয়াহু গ্রুপ, BD researchers ইয়াহুগ্রুপ, NFB (News From Bangladesh) ও সদালাপ নামক বাংলা ই-জার্নালে ইমেল দিলাম (ইমেল আইডি মুছে দেয়া হয়েছে)।
From: sorowar
To: [email protected]; GMA ; DUMAA ; Shodalap Editor; [email protected]
Sent: Fri Jan 16 05:51:34 2009
Subject: Who discovered saline (ORS) for cholera/diarrhoea treatment??
Dear fellow conscience citizens of the global village,
As a microbiologist and former employee of ICDDRB, my curious mind
always used to ask “who discovered the ORS (oral rehydration saline) for
diarrhoea management?” while working at ICDDRB I inquired senior
fellows/scientists about this issue. But the answer was always
disappointing. When ICDDRB was celebrating the Gates Award for life
saving discovery of ORS, I thought, this time, I would learn the fact.
But my curiosity was shattered.
Finally, I have discovered
the discoverer of ORS who first successfully treated dirarrheal patients
and published his ground-breaking simple recipe in the Lancet in 1953.
Shockingly, he was almost forgotten until the publication of the
history of ORS in medical history (Medical History, 1994, 38: 363-397).
It dedicates only a single paragraph and writes:
“It is generally agreed that racism or the lack of a “scientific” rationale prevented the widespread adoption of his work”
But 15 years later, most of the credit goes to Nalin and Cash who
were the first to demonstrate oral therapy as a practical therapeutic
alternative to parenteral therapy in April 1968 based on field trial,
performed at ICDDRB, Matlab, Chandpur , Bangladesh . They have got all
the accolades worldwide.
Even Wikipedia did not spare
a single line about Hemendra Nath Chatterjee (A bangalee from Calcutta,
west Bengal) who first formulated and demonstrated the effectiveness
ORS for diarrhea management.
Same thing is true for Sir Jagadish Chandra Bose who was not credited
for discovery of radio communication for long time. He might not be
honored in the world for that discovery, but at least we know about this
story and respect him. According to Wikipedia:
“Bose’s place in history has now been re-evaluated, and he is credited
with the invention of the first wireless detection device and the
discovery of millimetre length electromagnetic waves and considered a
pioneer in the field of biophysics”
Alas! Hemendra Nath Chatterjee
is not even remembered, let alone honored. It would be ungrateful and
unethical if we don’t pay tribute to him.How should we pay tribute to Hemendra Nath Chatterjee?
His name should be placed in the text book in our country in the relevant area. In the University (esp. in Microbiology department), his discovery should be discussed. More importantly, ICDDRB must acknowledge his contribution along with other contributors, as it is famous for ORS research.
Regards,
Sorowar, Singapore
Note: please find below the abstract of Chatterjee’s work
ইমেলটি পাঠানোর পর কিছু ব্যক্তিগত ইমেল পেলাম যা পড়ে প্রচণ্ড মন খারাপ হয়ে গেল। আমাকে দোষারোপ করা হলো এবং সাথে সাথে ইঙ্গিতে আইসিডিডিআরবি স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগও আনা হলো। প্রসংগত বলে রাখা উচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ ইক্রোবায়োলজিস্টদের একটা বড় অংশ আইসিডিডিআরবি’র সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত।
এরকম বিষণ্ণ অবস্থায় একটি ইমেল পেলাম যা পুরো আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ডে কর্মরত বিজ্ঞানী ড. আফজাল চৌধুরী ইমেলের সাথে একমত প্রকাশ করে আমার মেইলটি আইসিডিডিআরবি’র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা Jean Sack-কে ফরওয়ার্ড করে জানতে চান যে আইসিডিডিআরবি’তে কাজ করা সত্ত্বেও তিনিও এ বিষয়টি মিস করেছেন। Jean Sack এর প্রতিউত্তর ইমেলটি ঘরোয়া বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রূপ দেয়। এই ইমেইল লোচনায় কলেরা গবেষণায় বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানীদেরকেও (যেমন David Nalin, Richard Cash যা আমার প্রথম ইমেইলে উল্লেখিত ছিল) যুক্ত করা হয়।
From: Jean Sack
To: Brad Sack ; David A Sack ; Balakrish Nair
Cc: Bert Hirschhorn ; David Nalin ; richard cash ; Rosario Davison
Sent: Friday, January 16, 2009 4:44:59 PM
Subject: Fw: [gma_2100] Who discovered saline (ORS) for cholera/diarrhea treatment??
This is not a new controversy. I can’t remember talking to Sorowar in Dhaka about
it, however. I remember hearing about this paper from a Calcutta
scientist during our research for the Smriti book but also that this
work by Hemendra Nath Chatterjee was never properly credited nor
expanded beyond his first small clinical trials. Brad, when you were in
Calcutta your group was also working on ORS – did you know Dr.
Chatterjee? Krish, what is Chatterjee’s scientific credibility and fame now in West Bengal?
I wonder if the 1953 Lancet article influenced Bert Hirschhorn’s work
on composition of the ORS during those field trials run by Cash and
Nalin? I’m copying you all and hoping you can clarify.
Would one of you care to respond to Afzal here in Maryland and to
Sorowar in Singapore? They are fair-minded people and would accurately
post your insights to the group, I’m sure!
Unfortunately, in the scramble for “credit” we
sometimes fail to thank all of those who worked on (and many failed) on
a simple way to save lives from diarrhea dehydration. Most basic scientific discoveries don’t go back to one person’s efforts but are the result of consultations (like
those at the 1960s scientific conference in San Francisco that inspired
further research on both sides of the Bengal border). In fact, perhaps controversies like this one will stir up the research community
to respond to the high death toll currently from cholera in benighted
Zimababwe where ORS was not being used for the especially virulent
strain of cholera. Intellectual blame or credit doesn’t excuse us from
continuing to save lives today! ………. (unrelated part deleted)
Jean C. Sack, MLS
Jean Sack এর মেইলের ফলশ্রুতিতে ১৯৬০’র দশকের Norbert Hirschhorn মহাখালী কলেরা রিসার্চ ল্যাব (যা বর্তমানে আইসিসিডিডিআরবি
নামে পরিচিত) কর্মরত বিজ্ঞানী প্রতিউত্তর দেন। Norbert Hirschhorn খাবার স্যালাইন প্রতিষ্ঠাকরণের জন্য বিশ্ববরেন্য বিজ্ঞানী হিসেবে রিচিত।
From: Jean Sack
Sent: Friday, January 16, 2009 10:20 AM
To: Chowdhury, Afzal R.; sorowar
Subject: Fw: [gma_2100] Who discovered saline (ORS) for cholera/diarrhea treatment??
Here is the first response from one of the CRL lab persons in the 1960s who now lives in London. He sent his insights to everyone involved except you two!! Sorry but I’m a connector so here it is almost direct:
Jean C. Sack, MLS
—– Forwarded Message —-
From: Norbert Hirschhorn
To: Jean Sack ; Brad Sack ; David A Sack ; Balakrish Nair
Cc: David Nalin ; richard cash ; Rosario Davison ; david sachar ; david
sachar ; william greenough ; william greenough ; norbert hirschhorn ;
Qais Al-Awqati
Sent: Friday, January 16, 2009 10:10:19 AM
Subject: Re: [gma_2100] Who dicovered saline (ORS) for cholera/diarrhea treatment??
Our initial work in the Cholera Hospital, 1965-67, was based on a)
David Sachar’s discovery that, electrophysiologically, the human with
cholera could absorb glucose and sodium; and b) an understanding why Bob
Phillips and his crew went so wrong in supplying concentrated salt and
sugar (to ‘cure’ the ‘poisoned’ sodium pump, Bob’s favorite theory of
cholera). I hadn’t heard of Chatterjee’s work then.
Josh Ruxin wrote all this up in a splendid monograph, attached. He
also mentions Qais Al-Awqati who invented the method on his own during a
cholera epidemic in Baghdad in 1966, based on reading of the literature
in gut physiology of glucose-sodium transport (Qais is Robert F. Loeb
Professor of Medicine at Columbia University College of Physicians and
Surgeons).
cheers,
Norbert Hirschhorn MD
Jean Sack এর ইমেলে উল্লেখিত “The scramble for credit” এবং “Most basic scientific discoveries don’t go back to one person’s efforts but are the result of consultations” এর উপর ভিত্তি করে আমি নিন্মোক্ত উত্তর দেই। আমি তার সাথে একমত।
কিন্তু চ্যাটার্জীর ক্ষেত্রে য়রিয়া ব্যবস্থাপনায় অবদানের জন্য নামটিও পর্যন্ত কেন শুনলাম না?
From: Sorowar Hossain
Subject: RE: Who discovered saline (ORS) for cholera/diarrhea treatment??
To: “GMA” , “DUMAA”
Cc: “Jean Sack” “Brad Sack” “David A Sack, Balakrish Nair
Date: Wednesday, January 21, 2009, 4:39 AM
It’s not a matter of emotionalism; it’s a matter of rationalism. As a
human being, I felt mentally betrayed. That’s why; my tiny effort was
to share my very personal feelings to a tiny community of Bangladesh. On international perspective, Chatterjee’s fate already been decided, this could not be reversed.
Questioning Chatterjee’s “scientific rationale” would eventually discredit the prestigious Journal, Lancet.
Where there is an opportunity, I love to highlight the immense
contribution of ICDDRB for global health. I did work there only for one
year. I don’t know most the people in the email thread which included
all those great contributors in the establishment of ORS and cholera
research. I want my former institute to be more honored and famed. Acknowledging Chatterjee’s contribution along other contributors would surely increase the reputation of ICDDRB.
Giving credit those who deserve the credit is very important to make a better civilization.
It acts as a driving force for the future generation. With the bliss of
mass media and internet, many forgotten contributors of our human
civilization are now resurfacing. We are learning anew about their
dedication, contribution and sacrifice. For instance, one of the
greatest contributors in physics recently been rediscovered: Ibn al Haytham (BBC). We,
as researchers in someway are contributing to the humanity. Would it be
wise or logical to say that our research findings should be published
without mentioning the name of the contributors?
Regards,
Sorowar Hossain, National University of Singapore
Jean Sack আমার দ্বিতীয় ইমেইলের প্রতিউত্তর দিলেন এভাবে-
From: Jean Sack
Subject: Not betrayed at all
To: “Sorowar Hossain”
Cc: “Balakrish Nair”
Date: Wednesday, January 21, 2009, 5:50 AM
Sorowar, thanks for your responses. I feel a bit sorry for the
listserv microbiologists who had to wade through our e-mail exchanges. Apparently
Chatterjee was a wonderful experimenter who mixed his concept of
rehydration (very close to the biological standards used in UNICEF’s
ORS) with all sorts of other concoctions in this Lancet-published
work. No one to this day quite can figure out what he did use, in fact,
because one natural plant was misnamed. So, scientifically, his paper
was just the opening of many new ways of looking at cholera treatment
with only some of his methods repeatable in his time. I haven’t heard
yet from Balakrish Nair who could more fairly give us reflections on Chatterjee’s impact.
As you know, ICDDR,B does try “new” interventions (the rice-based
ORS, neem leaf concoctions, zinc for better antibody rebuilding
following disease, artemesian + antibiotics for malaria) but also the
protocals attempt to measure the results independently of other
variables. I think Chatterjee would have enjoyed working with your
colleagues there but he might have had a problem with the scientific
review committees and the ethical review committees that we have in
place now.
I’m very glad to have participated in this conversation! The fact that this grandfather of cholera treatment experiments died
without a Gates Global Health Award is sad but it doesn’t diminish the
human value of his attempts to save the lives of those he treated for
cholera! Communicating the proven and simple methods of life-saving
remains a problem today. Your
postings may indeed result in a better flow of knowledge that would make
Chatterjee and his Bengal and Western colleagues glad!
Jean C. Sack, MLS
Jean Sack তার মেইলে Balakrish Nair এর নাম উল্লেখ করে এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। এমনও হতে পারে যে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রসংগত, Balakrish Nair কলেরা গবেষণায় একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী (ভারতীয়)। তিনি বাংলাদেশের আইসিসিডিডিআরবি’র Laboratory Sciences Division (LSD) এর ডিরেক্টর পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীর জন্মভূমি কলকতার National Institute of Cholera & Enteric Diseases-এ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। আন্তজার্তিক পর্যায়ে হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীর ভাগ্য আগেই লিখা হয়ে গেছে।
এটা আর পরিবর্তনীয় নয়। আমার বিবেকের তাড়ণায় সচেতনতা গড়ে তোলার এটি ছিল ক্ষুদ্র প্রয়াস। ইমেল করার আগে ধীরে সুস্থে চিন্তা করে পোষ্ট করেছি কেননা এতে দেশে লোভনীয় ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। জানি না আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কতদূর সফল হয়েছে। অন্তত ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মানসিক শান্তি পাই। মেইল চালাচালির প্রায় বছর দুয়েক পরে গুগুল সার্চ করতেই দেখি হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী’র প্রোফাইল উইকিপিডিয়াতে চলে এসেছে (দেখুন Hemendra Nath Chatterjee)। ডায়রিয়ার স্যালাইন তৈরীর ইতিহাসও আপডেট করে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে (দেখুন History of oral rehydration therapy)। এই মহতী উদ্যেগ বাংলাদেশের তরুন সমাজের পক্ষ থেকেই করা হয়েছে।
এখন যে কেউ ইন্টার্নেট সার্চ দিয়ে কলেরা সম্পর্কে জানতে চাইলে হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীর অবদানের কথাও জেনে যাবে। দেশের পত্রিকাওয়ালারা এ সমস্ত বিষয়ে কর্ণপাতও করতে চান না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। গরীব দেশগুলোতে সাংবাদিকদের উপর সহজে প্রভাব বিস্তার করা যায়। এসম্পর্কে এখানে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। ব্লগের তরুন সমাজই পারে সমাজ তথা দেশের সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে। দলমত নির্বিশেষে দেশের তরুন ব্লগাররা সঠিক সময়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে, যা বাস্তবিকই আশার আলো দেখায়। রিসার্চ কমিউনিটি, এমনকি স্বদেশী ও বিদেশী কেউই হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীকে যথোপযুক্ত সন্মান না দিলেও আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব।
বাংলা উকিপিডিয়া-
হেমেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী যিনি প্রথম ডায়রিয়া জাতীয় রোগ যেমন কলেরা, আমাশয় প্রতিকারে খাবার স্যালাইনের উদ্ভাবন করেন। ১৯৫৩ সালে কলকাতায় তিনি একটি হাসপাতালে তিনি প্রথম তার প্রস্তাবিত খাবার স্যালাইন কলেরা প্রতিকারে ব্যবহার করেন এবং সফল হন। তার গবেষণা পত্র ১৯৫৩ সালে বিখ্যাত জার্নাল ল্যানসেট এ প্রকাশিত হয়। ১৯৫৩ সালে তিনি কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
লেখাটি আরো বিস্তারীত পড়তে এখানে যেতে পারেন।
আর পড়ুন…
সতীদাহ কি হিন্দু ধর্মের প্রথা, বাল্য বিবাহ ও রাত্রীকালীন বিবাহের উৎপত্তির কারণ কি?
আপনি জানেন কি, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু বিয়ে কেন রাতের অন্ধকারে দেয়া হয়?