হিন্দু বিয়ে

আপনি জানেন কি, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু বিয়ে কেন রাতের অন্ধকারে দেয়া হয়?

হিন্দু বিয়ে : আপনি জানেন কি, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু কেন রাতের অন্ধকারে বিয়ে দেয়া হয়? সুলতান নাসিরুউদ্দিনের সেনাপতি উলুঘ খাঁ হিমালয়ের পাদদেশে গাড়োয়াল অঞ্চলে গিয়ে সৈন্যদের হুকুম দিয়েছিল- যে একটা জ্যান্ত কাফের ধরে আনতে পারবে সে দু টাকা আর যে কাফেরের কাটা মুন্ডু আনতে পারবে সে এক টাকা পাবে।

ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো মুসলমানরা কাফেরের খোঁজে চতুর্দিকে বের হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২০ দিন ধরে সেই হত্যা কান্ড চলতে থাকে। কাটা মানুষের মাথা ও কবন্ধের (মাথা হীন দেহ) স্তুপ পাহাড়ের সমান উঁচু হয়ে যায়,…. এই ইতিহাস ভারতের সেকু হিন্দুরা কেমন করে ভুলে যেতে বলেন?

এদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস-দাসী হিসেবে কাবুল, কান্দাহার, গজনী, বাগদাদ এমনকি সুদুর দামাস্কাসে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ক্রীতদাসের হাটে বিক্রয় হতে থাকলো। সুন্দরী হিন্দু নারীরা মুসলমানদের লালসার শিকারে পরিণত হতে থাকলো।

উজির নাজিররা নিজেরা হিন্দু কন্যা জোর করে ধরে আনতে লাগলো, কিছু নিজেরা রেখে কিছু সম্রাটের জন্য উপহার পাঠিয়ে কিছু মিনা বাজারে বিক্রী করে ভারতবর্ষে যে হাহাকার সৃষ্টি করেছিল তা ভারতীয় সেকু, মাকুরা কি করে ভুলতে বলেন ?

আগে হিন্দু সমাজের মেয়েরা ঘোমটা কাকে বলে জানতো না । মুসলমানদের লালসার হাত হতে রক্ষা পাবার জন্যই  হিন্দু নারীদের ঘোমটার প্রচলন শুরু হয়। অনেকেরই জানা নেই যে, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু মেয়েদের কেন রাতের অন্ধকারে বিয়ে দেয়া হয়। কোন বৈদিক যজ্ঞই রাত্রে করার নিয়ম নেই ।

হিন্দু-সমাজে-বাল্যবিবাহ-ও-রাত্রিকালীন-বিবাহের-উৎপত্তির-কারণ
হিন্দু-সমাজে-বাল্যবিবাহ-ও-রাত্রিকালীন-বিবাহের-উৎপত্তির-কারণ

দিনের আলো থাকতে থাকতেই যজ্ঞ শেষ করার বিধি, তা সত্ত্বেও উত্তর ভারতে ও বাংলায় কেন রাতে যজ্ঞ করা হয় এবং বর রাতে কনের বাড়ীতে যাওয়ার নিয়ম হলো। কারণ রাতের অন্ধকারে কুমারী কন্যাকে পাত্রস্থ করে মুসলমানদের অগোচরে শ্বশুর বাড়ী পাঠিয়ে দেবার জন্যই এই বিধি প্রচলিত হয়। পক্ষান্তরে দাক্ষিণোত্যে মুসলমানদের অনুপ্রবেশ কম হওয়ায় আজও দিনের আলোতেই সেখানে বিবাহ অনুষ্টান ও যজ্ঞ সম্পন্ন করা হয়।

মুসলমান শাসকরা তো বটেই, তাদের অনুচররা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলমানরা সিন্ধুকী (গুপ্তচর) লাগিয়ে হিন্দুর ঘরের সুন্দরী মেয়েদের খোঁজ খবর নিতো এবং গায়ের জোরে তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে লুটের মালে পরিণত করতো।

এ ব্যাপারে ড: রমেশ চন্দ্র মজুমদার লিখেছেন, “দীনেশ চন্দ্র সেন হিন্দু মুসলমানের প্রীতির সম্বন্ধে উচ্ছাসিত ভাষায় প্রশংসা করেছেন। কিন্তু তিনিও লিখেছেন যে , মুসলমান রাজা  ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন সিন্ধুকী (গুপ্তচর) লাগিয়ে ক্রমাগত সুন্দরী হিন্দু ললনাদের অপহরণ করেছেন।

ষোড়শ শতাব্দীতে ময়মনসিংহের জঙ্গলবাড়ীর দেওয়ানগণ এবং শ্রীহট্টের বানিয়াচঙ্গের দেওয়ানগণ এই রূপে শত শত হিন্দু কন্যাকে যে বল পূর্বক বিয়ে করেছিলেন তার অবধি নাই। ঢাকার শাঁখারী বাজারের গোপন কুঠুরী ঘর তৈরীর পিছনেও এই ট্রাজেডি বিদ্যমান তা আপনারা সবাই জানেন।

সুলতান নাসিরুউদ্দিনের সেনাপতি উলুঘ খাঁ হিমালয়ের পাদদেশে গাড়োয়াল অঞ্চলে গিয়ে সৈন্যদের হুকুম দিয়েছিল- যে একটা জ্যান্ত কাফের ধরে আনতে পারবে সে দু টাকা আর যে কাফেরের কাটা মুন্ডু আনতে পারবে সে এক টাকা পাবে।

ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো মুসলমানরা কাফেরের খোঁজে চতুর্দিকে বের হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২০ দিন ধরে সেই হত্যা কান্ড চলতে থাকে। কাটা মানুষের মাথা ও কবন্ধের (মাথা হীন দেহ) স্তুপ পাহাড়ের সমান উঁচু হয়ে যায়,…. এই ইতিহাস ভারতের সেকু হিন্দুরা কেমন করে ভুলে যেতে বলেন?

এদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস-দাসী হিসেবে কাবুল, কান্দাহার, গজনী, বাগদাদ এমনকি সুদুর দামাস্কাসে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ক্রীতদাসের হাটে বিক্রয় হতে থাকলো। সুন্দরী হিন্দু নারীরা মুসলমানদের লালসার শিকারে পরিণত হতে থাকলো।

উজির নাজিররা নিজেরা হিন্দু কন্যা জোর করে ধরে আনতে লাগলো, কিছু নিজেরা রেখে কিছু সম্রাটের জন্য উপহার পাঠিয়ে কিছু মিনা বাজারে বিক্রী করে ভারতবর্ষে যে হাহাকার সৃষ্টি করেছিল তা ভারতীয় সেকু, মাকুরা কি করে ভুলতে বলেন ?

আগে হিন্দু সমাজের মেয়েরা ঘোমটা কাকে বলে জানতো না । মুসলমানদের লালসার হাত হতে রক্ষা পাবার জন্যই  হিন্দু নারীদের ঘোমটার প্রচলন শুরু হয়। অনেকেরই জানা নেই যে, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু মেয়েদের কেন রাতের অন্ধকারে বিয়ে দেয়া হয়। কোন বৈদিক যজ্ঞই রাত্রে করার নিয়ম নেই ।

দিনের আলো থাকতে থাকতেই যজ্ঞ শেষ করার বিধি, তা সত্ত্বেও উত্তর ভারতে ও বাংলায় কেন রাতে যজ্ঞ করা হয় এবং বর রাতে কনের বাড়ীতে যাওয়ার নিয়ম হলো। কারণ রাতের অন্ধকারে কুমারী কন্যাকে পাত্রস্থ করে মুসলমানদের অগোচরে শ্বশুর বাড়ী পাঠিয়ে দেবার জন্যই এই বিধি প্রচলিত হয়। পক্ষান্তরে দাক্ষিণোত্যে মুসলমানদের অনুপ্রবেশ কম হওয়ায় আজও দিনের আলোতেই সেখানে বিবাহ অনুষ্টান ও যজ্ঞ সম্পন্ন করা হয়।

মুসলমান শাসকরা তো বটেই, তাদের অনুচররা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলমানরা সিন্ধুকী (গুপ্তচর) লাগিয়ে হিন্দুর ঘরের সুন্দরী মেয়েদের খোঁজ খবর নিতো এবং গায়ের জোরে তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে লুটের মালে পরিণত করতো।

এ ব্যাপারে ড: রমেশ চন্দ্র মজুমদার লিখেছেন, “দীনেশ চন্দ্র সেন হিন্দু মুসলমানের প্রীতির সম্বন্ধে উচ্ছাসিত ভাষায় প্রশংসা করেছেন। কিন্তু তিনিও লিখেছেন যে , মুসলমান রাজা  ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন সিন্ধুকী (গুপ্তচর) লাগিয়ে ক্রমাগত সুন্দরী হিন্দু ললনাদের অপহরণ করেছেন।

ষোড়শ শতাব্দীতে ময়মনসিংহের জঙ্গলবাড়ীর দেওয়ানগণ এবং শ্রীহট্টের বানিয়াচঙ্গের দেওয়ানগণ এই রূপে শত শত হিন্দু কন্যাকে যে বল পূর্বক বিয়ে করেছিলেন তার অবধি নাই। ঢাকার শাঁখারী বাজারের গোপন কুঠুরী ঘর তৈরীর পিছনেও এই ট্রাজেডি বিদ্যমান তা আপনারা সবাই জানেন।

Courtesy Rezaul Manik

আর পড়ুন…..