ক্রিকেট ও রাষ্ট্রদ্রোহ

ক্রিকেট ও রাষ্ট্রদ্রোহ: কোহলিকে ভালোবেসে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে’, ১০ বছরের জেল পাকিস্তানি ভক্ত উমরে।

ক্রিকেট ও রাষ্ট্রদ্রোহ: কোহলিকে ভালোবেসে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ’, ১০ বছরের জেল পাকিস্তানি ভক্ত উমরে। পাকিস্থানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা জেলার উমর দারাজ (২২)।

সে ভারতীয় ক্রিকেটার ভিরাট কোহলির একজন অন্ধভক্ত ২০১৬ সনের ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ভারত- অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-২০ ম্যাচ চলছে।

সে ম্যাচে কোহলি একাই অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তুলাধুনা করে। ফলাফল ভারত ৩৬ রানে জিতে। এবং ডাইহার্ড ফ্যান হিসেবে উমর আবেগের বশবর্তী হয়ে তার বাসার ছাদে ভারতের পতাকা উড়ান।

স্থানীয় এক প্রতিবেশী তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পুলিশ উমরকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ এই কাজটিকে “পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী” বলে অভিহিত করেছিল। পুলিশ তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির 123-A ধারা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার অধীনে মামলা দায়ের করেছিল। ধারা 123-A (দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করার কাজ) সর্বোচ্চ 10 বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড বহন করে।

এর আগে, সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উমর বলেছিলেন: “আমি বিরাট কোহলির একজন বড় ভক্ত। কোহলির কারণে আমি ভারতীয় দলকে সমর্থন করি। বাড়ির ছাদে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রতি আমার ভালবাসা প্রকাশ করেছি মাত্র।”

তিনি বলেছিলেন যে তিনি কি অপরাধ করেছেন তার কোন ধারণা নেই তার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাকে ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কারণ তাকে “একজন ভারতীয় ক্রিকেটারের ভক্ত” হিসাবে দেখা উচিত।

কোহলির পোস্টার সাইজের ছবিও তার বাড়ির দেয়ালে সাঁটানো পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ পতাকা এবং কোহলির পোস্টার ও ছবি বাজেয়াপ্ত করেছিল।

দীর্ঘ এক বছরের মামলার শুনানি শেষে পাকিস্তানি পিনাল কোর্টের অনুচ্ছেদ নং ১২৩ এর ক ধারায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমানিত হয়। এবং তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। সেই থেকেই উমর এখন অব্দি জেল খাটছে।

এখন বাংলাদেশে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটা নিয়ে পুরো বাংলাদেশে জুড়ে ঝড় বইছে, অনেকেই বলছে বাংলাদেশে বুঝি এমন কোন আইনি নাই, যারা পাকিস্তানের জয়ে এদেশে পাকিস্তানের পতাকা তুলা সহ আতশবাজী জ্বালায় তাদের  বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমুলক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

আর পুড়ন….. ক্রিকেট ও রাষ্ট্রদ্রোহ, ক্রিকেট ও রাষ্ট্রদ্রোহ