বাঙ্গালার সাথে সম্পর্কহীন আরবজাত সংস্কৃতিকে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বলে প্রচারের প্রচেষ্টা চলছে প্রতি নিয়ত।

আমাদের রাজ্যের ঠিক পাশেই বাংলাদেশ নামে যে স্বাধীন দেশটি রয়েছে তা বাঙ্গালীর নিকট সবচেয়ে বড় হুমকি। দেশটি বাঙ্গালীর কত ক্ষতি প্রতি নিয়ত করে চলেছে তা অনুমান করাও কঠিন। অনুপ্রবেশের কথা বলছি না। অনুপ্রবেশ একটা বড় সমস্যা মানি, কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষতি বাঙ্গালী সত্ত্বার চুরি। জনসংখ্যাধিক্যের জন্য সমগ্র বিশ্বের কাছে এই আরবপন্থী ইসলামিক দেশটি বাঙ্গালীর নতুন বিকৃত পরিচিতি প্রচার করছে। বিশ্ব তাদেরকেই বাঙ্গালী ভাবছে।


    তারা বাঙ্গালা ভাষাটির মোটামুটি দফা রফা করে রেখেছে। তৎসম তদ্ভব প্রভৃতি শব্দকে সরিয়ে আরবি শব্দ বাঙ্গালা অক্ষরে লিখে ভাষাটির মাধুরী সম্পূর্ণ বিনাশ করছে। রোমান হরফে লেখা ইতালিয়ান বা ফরাসী যেমন ইংলিশ বা জার্মান ভাষা নয়, তেমনি আসমানি গোসল ইত্যাদিও বাঙ্গালা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ঐগুলিকেও বাঙ্গালা বলে মেনে নিচ্ছে ‘শিক্ষিত’ জনেও।
  বাঙ্গালী মানে দুর্গাপুজো, বাঙ্গালী মানে রামায়ণ গান, বাঙ্গালী মানে সন্ধ্যা প্রদীপ, বাঙ্গালী মানে নববর্ষে ভগবতী জ্ঞানে গোয়ালঘরে গোসেবা। যেহেতু এর প্রতিটিই ইসলাম বিরোধী, তাই বাংলাদেশে ব্রাত্য। বহির্বিশ্বে বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রসারে এগুলিকে সযত্নে এড়িয়ে চলে এই সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালাভাষী। বাঙ্গালার সাথে সম্পর্কহীন আরবজাত সংস্কৃতিকে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বলে প্রচারের প্রচেষ্টা চলছে প্রতি নিয়ত।
   এভাবেই চুরি হয়ে যাচ্ছে বাঙ্গালীর সংস্কৃতি।

   বাঙ্গালায় যারা দখলদার, তাদের এরা নায়ক বানায়। বখতিয়ার খলজি, শাহজালালের মতো হানাদারদের জাতীয় বীর বলে প্রচার করে। ভারত ভেঙে পাকিস্তানের দাবিদার মুজিবর রহমানকে বানায় ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী’! অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বাদ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বাদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাদ… শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে শেখ মুজিবর! 
  উইকিপিডিয়া থেকে শুরু করে অনলাইন বাঙ্গালা পোর্টালগুলোতে এই আরবমুখী বাঙ্গালাভাষীদের আধিপত্য। অর্ধসত্য ও অসত্য তথ্যে ভরিয়ে রেখেছে সে সব। লক্ষ্য একটাই – ইসলামের জয়গান। বাঙ্গালীর স্বাভাবিক ধর্ম নাকি ইসলাম! বৌদ্ধ যুগের পরেই এরা বখতিয়ারকে সামনে রেখে ইসলামী বাঙ্গালাকে দেখায়। হিন্দুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এদের দৃষ্টিতে বাঙ্গালী প্রথমে ছিল অনার্য (অর্থাৎ অহিন্দু মূলনিবাসী), তারপর বৌদ্ধ, এখন ইসলামী। হিন্দুরা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। এই মূলনিবাসী তত্ত্বকে সামনে রেখে এরা বাঙ্গালার ইসলামীকরনের কাজ এখনো করে চলেছে। ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য প্রভৃতি গোষ্ঠীকে একাসনে রেখে বাকিদের প্রতিনিয়ত উস্কে যায় তাদের বিরোধীতা করার জন্য। কমিউনিস্ট শাসিত বাঙ্গালীও মুর্খের ন্যায় সেই ফাঁদে পা দিয়ে চলেছে প্রতিদিন। 

বাংলাদেশে আজ অবধি প্রায় ৩০ লক্ষ ( হ্যাঁ, ৩০ লক্ষ) হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশকে ইসলামী দেশ করতে ও বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে আরবকে বঙ্গভূমিতে প্রতিষ্ঠা করতে।হিন্দু যত দিন, বাঙ্গালীও তত দিন। বাঙ্গালীকে শক্তিশালী করতে হিন্দুত্বের আন্দোলনে যুক্ত থাকুন। না হলে ‘কমল নস্কর’ কখন যে ‘কামাল লস্কর’ হয়ে যাবে ‘ধরতে পারবেন না’।