নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় একই মঞ্চে দেখা যাবে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের ওমর খালেদের সঙ্গে শিবসেনা নেতা তথা মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরেকেও। এই আদিত্য ঠাকরে বালা সাহেব ঠাকরের পৌত্র। মহারাষ্ট্রবাসীরা মনে করছেন উদ্ধব ঠাকরে নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদ বাঁচানোর জন্য কংগ্রেস ও এনসিপির কাঠপুতলিতে পরিণত হয়েছেন। এই ক্ষমতালিপ্সু মুখ্যমন্ত্রী ও তার পুত্র যে বিরোধী দলগুলোর কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন তা নিয়ে শিবসেনা কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই দল ছেড়ে দিয়েছেন। শিবসেনার অন্য অনেক নেতারা মনে করছেন বর্তমান ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে থাকলে তাদের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। শিবসেনা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে তা উপলব্ধি করছেন অনেকেই। বর্তমান শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের গদিপ্রেম ও আপত্য স্নেহ সমস্ত রাজনৈতিক বিচারধারার উর্দ্ধে স্থান পেয়েছে। উদ্ধব মনে করেন যে বিজেপির সঙ্গে থাকলে তিনি বা তার পুত্র কোনদিনও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না। তাই তিনি এখন কংগ্রেস ও এনসিপির মতো দুর্বল দলের সঙ্গে গাঁট বাঁধতে বেশি উৎসাহী। কিন্তু সমস্যাটা এই যে রাজনীতি হলো স্বাতন্ত্র্যের সাধনা। এই স্বাতন্ত্র্যকে ধরে রাখতে না পেরে তিনি ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা হারিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন খুব শীঘ্রই শিবসেনা দলের অধিকাংশ বিধায়করা দলছুট হতে চলেছেন। তিনদলীয় মহারাষ্ট্র সরকারের আয়ু আর বেশি দিন নেই বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দলের মধ্যেই বিদ্রোহের সুর চড়তে শুরু করেছে। অনেক বিধায়করাই ইস্তফা দেবার জন্য মুখিয়ে আছেন। পুণর্নিবাচন হলে শিবসেনার ভরাডুবির সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যে শিবসেনার আদর্শস্বরূপ বীর সাভারকারকে নিয়ে কংগ্রেস যেসব নোংরা ও কুরুচিকর প্রচার চালাচ্ছে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে নিজের গদি বাঁচানোর জন্য এর প্রতিবাদ না করায় দলের ভেতরেই ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। ঠাকরে পরিবারের পায়ের তলার মাটি যে ক্রমশ সরে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন দলের অন্যান্য নেতারা। শিবসেনার নিচুস্তরের কর্মীরা হতাশায় দল ছেড়ে দিচ্ছেন। আগের ভোটাররাও আর শিবসেনাকে ভোট দেবেন বলে মনে হচ্ছে না। শিবসেনার শবসেনা হওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।