ফাতেমা সানা শেখকে অনলাইনে ভার্চুয়ালভাবে দোররা মারা হচ্ছে…।

‘দাঙ্গাল’ খ্যাত তারকা ফাতেমা সানা শেখ সাঁতারের পোশাক পরে একটা ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে। এতেই মুসলিমরা ক্ষ্যাপে উঠেছে। রমজান মাসে একটা মুসলমান মেয়ে হয়ে সে কি করে এইরকম পোশাক পরে ছবি তুলল…। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ধুয়ে দিচ্ছে মুসলিমরা। ফাতেমা নামে মুসলমান কাজে না… ইত্যাদি ইত্যাদি…।

এই যে নামে নয় কামে মুসলমান হবার কথা বলা হয়, মুসলমানদের কাজ আসলে কি? হারামের যে সংজ্ঞা তাতে সিনেমায় অভিনয় করা ইসলাম সম্মত নয়। পর্দার যে বিধিনিষেধ তাতে কোন নারীর সিনেমা তো দূরের কথা সখ করে স্টুডিওতে গিয়ে ফটো তোলাও নিষেধ। এমন কি কোন নারী মুখ না দেখিয়ে গান গাইলেও সেটা কোন বেগানা পুরুষের কানে গেলে তাও হারাম।… আসলে  মুসলমানদের কাজ হচ্ছে মসজিদে গিয়ে নামাজ পরা আর ছাগলের পাল চড়ানো। আফগানিস্থানে তালেবানরা ফুটবল খেলোয়ারদের ধরে বেত মেরেছিল কারণ তারা উরুর উপরে কাপড় পরে খেলছিল যা ইসলামের পুরুষদের জন্য হারাম!

ফাতেমা সিনেমায় অভিনয় করছে, সাঁতারের পোশাক পরেছে, রমজান মাসে সেই ছবি প্রকাশ করেছে…। এখানে তিনটি ধাপ। ভারতের মত দেশে সুবিধা করতে পারেনি বলেই রমজান মাসের দোহাই দিচ্ছে। এরচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলে সাঁতারের পোশাকের পিছনে লাগত। আর তালেবান পর্যায় আসতে পারলে ফাতেমাদের সিনেমায় অভিনয়ই বন্ধ করে দিবে…।

ইউরোপে ‘প্লিজ রেসপেক্ট রামাদান’ লিখে লোকজনের সামনে যে ইতরামিটা করা হয় সেটা হচ্ছে জিহাদের একটা ধাপ। যখন বাংলাদেশের মত শক্তি অর্জন করবে তখন দোকানে দোকানে ঢুকে খাবারের মধ্যে বালু দিয়ে আসবে। জোর করে দোকান বন্ধ করা হবে। আর আফগান সিরিয়া সৌদি মিশরের মত ইসলামী শাসক কায়েম করতে পারলে শরীয়া আইন জারি করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে ফেলবে…। সানিয়া মির্জার পোশাকের পিছনে এক সময় লেগেছিল জাকির নায়েক। এখন ফাতেমা সানা শেখকে অনলাইনে ভার্চুয়ালভাবে দোররা মারা হচ্ছে…।