শত বাধা পেরিয়েও ফিরদৌসরা ফিরবেই।

মাত্র কয়েক মাস আগে, ওডিষ্যা কেন্দাপাড়া জেলার গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় পাঁচ বছরের মুসলীম মেয়ে ফিরদৌস প্রথম হয়ে চমকে দিয়েছিলো সবাইকে। চারিদিকে সাধু সাধু রব। ফিরদৌসের মা আরিফা বিবিও তার মেয়ের হাত ধরে গর্ব করে বলেছিলেন পরম সম্প্রীতির পরিবেশের কথা। তার গীতা পাঠ শিক্ষার কেন্দ্রস্থল তাদের প্রিয় বিদ্যালয় শোভানিয়া শিক্ষাশ্রমের কথা।
কিন্তু আসল চমক বাকি ছিলো। তিন মাস কাটতে না কাটতেই বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ হলো ফিরদৌসের। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, স্থানীয় মৌলভী এবং সৌদি আরবে কর্মরত ফিরদৌসের বাবা শেখ কুদ্দুসের কড়া অমতে এই সিদ্ধান্ত। ওই বিদ্যালয়ে আর পড়াশুনা করবে না ফিরদৌস। মুহুর্তে ফুটো হয়ে গেলো হাজার বছরে লক্ষ বার উড়ানো সম্প্রীতির ফানুস।

তবে আমি লক্ষ্য করছিলাম অন্য কিছু। গীতা স্তোত্র পাঠরত ফিরদৌসের ছবিটা। বন্ধ চোখ, আর সমস্ত মুখ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এক আধ্যাত্মিক দ্যুতি! ফিরদৌস নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী শিশু। ওর শরীরে রয়েছে শত পুরুষের আদি সনাতনী রক্ত। শত বাধা পেরিয়েও ফিরদৌসরা ফিরবেই। সারা ভারত জুড়েই ফিরদৌসদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি আমি।