সৌভিক সরকার কি আদৌও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, নাকি বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবেড়িয়া ধাঁচে জিহাদের নতুন ফাঁদ তৈরী করেছে জামাতি জঙ্গিরা ।

গত কয়েকদিন ধরে উওর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ঘটনা সমন্ধে কমবেশী আপনার সবাই অবগত । প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছে বাদুড়িয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ।

আসুন আজকে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখে পুরো ঘটনার একটু চুলচেরা বিশ্লেষণ করি…

সৌভিক সরকার নামে এক কিশোর ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকারী একটি পোষ্ট করে, যাতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের ধর্মানূভুতিতে আঘাত লাগে ।
প্রথম কথা হল, বাদুড়িয়ার ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের উচিত ছিল প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে অপরাধীর শাস্তির দাবী করা ।
প্রশাসন সৌভিককে গ্রেফতার করা সত্বেও কেন সৌভিকের বাড়ী ভাংচুর করা হল, কেন সৌভিকের বাড়ী ঘেরাও করা হল, কেন থানার গাড়িতে আগুন দেওয়া হল?
যারা এই ঘৃন্য কাজ করে বাদুড়িয়াকে উত্তপ্ত করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি করে তুলল তারা আইনি না গিয়ে কি করে বুঝল যে সৌভিক সরকার প্রকৃত দোষী ।

এমনও তো হতে পারে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সৌভিকের ফেসবুক হ্যাক করে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোষ্টটা করা হয়েছিল?  এমনও তো হতে পারে সৌভিকের পাসওয়ার্ড কেউ হাতিয়ে নিয়ে ওই পোস্টটি করেছিল?
আদালতে সেটা প্রমাণ হওয়ার আগেই কি করে সৌভিকের ফাঁসির দাবিতে থানা ঘেরাও করল ওরা ।
সৌভিক সরকার কি আদৌও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, নাকি বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবেড়িয়া ধাঁচে জিহাদের নতুন ফাঁদ তৈরী করেছে জামাতি জঙ্গিরা । কালকে যদি আরো কোনো মানষের ফেসবুক হ্যাক করে এসব উস্কানিমূলক ছবি পোষ্ট করা হয় তাহলে আবারও কি আগুন জ্বলবে?
প্রশ্নটা থেকেই গেল….

অত্যাধুনিক সাইবার হ্যাকাররা পাকিস্তান, বাংলাদেশে বসে দাঙ্গা লাগানোর জন্য এমনটা করতেই পারে, সেটা আদালতে বিচার হলেই প্রমানিত হবে আসল অপরাধীটা কে?

তাই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি দায়িত্বশীল নাগরিকের কাছে অনুরোধ ধর্মীয় উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট দেখলে আদালতের দ্বারস্থ হোন উপযুক্ত বিচার চাওয়ার জন্য, অযথা থানা ঘেরাও করে অগ্নি সংযোগ করে হিংসা ছড়াবেন না কারন এটা ভারতবর্ষ তাই সংবিধান, দেশের আইন ব্যাবস্থার প্রতি আস্থা রাখুন, শরীয়তি আইনে যার তার ফাঁসির দাবী আপনারা করতে পারেন না কারন সেটা ভারতের সংবিধান বিরোধী ।

এরপর যদি কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে উস্কানিমূলক পোষ্ট দেখে প্রশাসনের দ্বারস্থ না হয়ে যদি আবার থানা ঘেরাও করে, আগুন লাগিয়ে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন ইচ্ছাকৃতভাবে মনে রাখবেন সেদিন আর রেহাই পাবেন না ।

শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায় ত্রিশূলে কন্ডোম পরিয়ে হিন্দুদের ধর্মে আঘাত দিয়েছিল, হিন্দুরা সোশ্যাল মিডিয়াতে শ্রীজাত কে পাল্টা আক্রমণ করে এবং আইনের দ্বারস্থ হয়, কই হিন্দুরা তো শ্রীজাতর বাড়ি ভাংচুর করতে যায় নি, কারন বিচারটা আইনি পথে হবে, আপনার কি খুব বেড়ে গেছেন যে চটজলদি আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন?

মনে রাখবেন এটা ভারতবর্ষ, তাই ভারতীয়দের মতো থাকুন ।