এগুলিই হিন্দুসমাজের বিকৃতি ও অনৈক্যের অন্যতম কারন প্রধান বলে মনে হয় ।

হিন্দুজাতি এবং হিন্দুত্বকে রক্ষা করবার জন্য আজ কেন আমরা এত বিচলিত হয়ে পরেছি । ভারতে ১২৫ কোটি মানুষের মধ্যে ৮৫ কোটি হিন্দু , বাকিরা বিভিন্ন শাখার মোট ১০৫ কোটি । দেশভাগের পর যেখানে হিন্দুর সংখ্যা ১১০ কোটি হওয়ার কথা ছিল , সেখানে হিন্দুর সংখ্যার এই ব্যাপক হ্রাসের কারন কি ? দেশ ভাগে মহত্মা গান্ধীর নীরব সমর্থনের একটা বড় কারণ ছিল হিন্দু জনসংখ্যা নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর ও প্রতিক্রিয়াশীল উক্তি ।যা দেশবাসীর কাছে নিজের জীবনকে নিজেই কালিমালিপ্ত করেছেন ।এই কপট উক্তিই ভারতবর্ষের জীবনের সবচাইতে বড় ট্রাজেডি এনে দিয়েছে  । ১৯৩৪সালের পর থেকে জিন্নার নেতৃত্বে মুসলমানদের দেশব্যাপি দাংগাহাংগামা বাধানোর পরথেকে তিনি মুসলমানদের হয়ে গাওনা শুরু করে দিয়েছিলেন ।লাহো্র ও এলাহাবাদে ব্যাপক দাংগার পর হিন্দুদের মধ্যে যে ভয়ের ও আতংকের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল তাতে তিনি হিন্দুদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টে একটা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়ে বসেছিলেন । তিনি বলেছিলেন , ”ভারতে হিন্দুদের সংখ্যাগরিস্ততা মাত্র “খাতায় কলমে নিবদ্ধ (জাস্ট পেপার মেজরিটি)”। এই উক্তিই জহরলাল , জিন্না ও বিটিশের সাম্প্রদায়ীক রাজনীতিতে সাহস জুগিয়েছিল , “খাতা কলমে” হিন্দুর এই সন্দেহজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বুঝতে পেরেছিলেন , ভারতে ২৭ কোটি হিন্দু প্রকৃতপক্ষে একটা সংঘবদ্ধ সম্প্রদায় নয় ।বিভিন্ন বিভিন্ন বর্ণ , গোত্র , সম্প্রদায় ও কৌমের সমাহার । সকলের চরিত্র আলাদা , বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত , পারস্পারিক বিদ্বেস ও নিজের জাতির গৌরবেই তাদের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত , হিন্দুত্ব , ভারতীয়ত্ব এই কথাগুলি তাদের চরিত্রে লেখা ছিল না  । বর্তমানে যে রাজনীতি করে মুলায়েম , লালুপ্রসাদ , মায়াবতীরা করে খাচ্ছে , সে পথের সন্ধান দিয়েছিলেন ‘গান্ধি এ্যান্ড কোম্পানী’ সে পথ ধরেই কংগ্রেসের  ৬৫ বছরের মন্ডল , কমুন্ডলের রাজনীতি । এই জাতিবাদের কারনেই হিন্দুর সংখ্যাহ্রাস । জাতিভেদের আত্যাচার , স্বধর্মচ্যুতি , কুসংস্কারের প্রাবল্য , তার ফলে হিন্দু সমাজে যে বিকৃতি এসেছে , তার মধ্যেই হিন্দুর অধঃপতনের মুল কারনগুলি লুকিয়ে আছে ।এই বিকৃতির জন্যই হিন্দুসমাজ আজ আর একটি সংঘবদ্ধ সংখ্যাগরিস্ট সম্প্রদায় নয় , বহু সংখ্যালঘিষ্ঠ সম্প্রদায়ের সমষ্ঠী মাত্র । গত সেন্সাস রিপো্র্ট অনুযায়ী এই সংখ্যালঘিষ্ঠ সম্প্রদায়গুলির সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি । এদের মধ্যে অধিকাংশই পরস্পরের প্রতি সহানুভুতিহীন , পরস্পর বিরধী । জাতি , উপজাতি , শাখাজাতি , এইভাবে হিন্দুসমাজ ক্রমাগত বিভক্ত , খন্ডিত , বিচ্ছিন্ন হতে হতে আজ এই পর্যায়ে এসেছে ; এর উপর গোদের উপর বিষফোড়ার মত এসে জুঠেছে কম্যুনিষ্ট নামধারী  বেজম্মার বাচ্চারা , তারা হিন্দু সমাজকে একবারে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে । এই বিকৃতির ফলেই হিন্দুসমাজে প্রায় তিরিশ কোটি দলিত ও আদিবাসী হিন্দুসমাজে নামে মাত্র আছে । তারা এখনও হিন্দুদের মধ্যে একটা বড় অংশের কাছে  আস্পৃশ্য ও আন্তজ বলে ব্রাত্য ।আর প্রায় ২০ কোটি মানুষ হিন্দুসমাজ থেকে বেড়িয়ে গিয়ে মুসলমান ও খৃস্টান হয়ে গেছে । এ সমস্তই নিষ্ঠুর সত্য । এগুলিই হিন্দুসমাজের বিকৃতি ও অনৈক্যের অন্যতম কারন প্রধান বলে মনে হয় ।।