মুসলমানদের ইন্দ্রিয়াসক্ত নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কিছু দৃষ্টিভঙ্গী বইয়ে পাওয়া যায়।

মুসলমানদের ইন্দ্রিয়াসক্ত নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কিছু দৃষ্টিভঙ্গী বইয়ে পাওয়া যায়-
১) রবীন্দ্রনাথের কাছে মুসলমানদের নবী মগা ডাকাতের জীবন চরিত্র কখনই ভালোলাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় সন্ত্রাসী ধর্ম ইসলাম ও তার শিশুকামী, বহুগামী নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলেন, ‘কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বিধর্মীদের প্রতি অকারণ অসহিষ্ণুতা এবং মাত্রারিক্ত ভায়োলেন্সের নির্দেশের জন্য বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের মরুদস্যু তথাকথিত নবীর মাত্রারিক্ত ইন্দ্রিয়াসক্ত জীবন চরিত্রও ভালো লাগেনি। [তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]”

২) উপন্যাস ‘গোরা’ তে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন: ইসলাম ভালো মানুষী ধর্ম নয়; ইসলাম দুষ্ট মানুষেরর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি। খুন, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ সবই তিনি করেছেন।”

৩) প্রবন্ধ ‘বীর গুরু’তে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন: “দেব দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ স্বৈরচারীর মতো নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।”
উল্লেখ্য মুখে ব্রাহ্ম ধর্ম বলে দাবি করলেও রবীণ্দ্রনাথ ছিলেন অসম্ভব রকমের মানবতাবাদী। এজন্য তিনি নিজ এলাকা সংখ্যাগুরু হিন্দুদের মনে আঘাত না দেওয়ার জন্য মুসলমানদের প্রকাশ্যে শিলাইদহে গরু জবাই করতে নিষেধ করেছিলেন এবং হিন্দু মুসলমান উভয়ের সম্প্রীতির স্বার্থে সার্বজনীন দূর্গা পূজার ব্যয় সাধ্যমত বহন করতে হিন্দু মুসলমান উভয় প্রজাদেরকে অনুরোধ করেছিলেন। (সূত্র: বাংলা একাডেমীর ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার” পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ়১৩৯৩) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণসহ বিবরণ দিয়েছেন।)
অনেকে সেকুলার হিন্দুই এটা জানেন না যে, ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলিম বিভেদ সূচনা হয়েছিলো কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের সরাসরি নির্দেশ অনুসারেই। মুসলমান সুলতানদের অর্থায়নে সূচিত হয়েছিলো ‘হিন্দুদের ধর্মান্তরিতকরণ’। বর্তমানে পশ্চিম বাংলায় তথাকথিত হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতি এবং সেকুলারিজমের যতই চর্চা করা হোক না কেন, ইতিহাসের পাতা থেকে ভারতীয় মুসলমানদের জিহাদি চরিত্র এবং জিহাদি কর্মকান্ড এবং মুসলমানদের ইন্দ্রিয়াসক্ত নবী মুহাম্মদের অসৎ চরিত্র এবং কোরআনের অকারণ বিধর্মী হত্যার নির্দেশ কখনই মুছে যাবে না। বরং পশ্চিম বাংলা ভারতের দ্বিতীয় কাশ্মীর হবে।

Rezaul Manik