নুনের পুতুল সাগর মাপতে গিয়েছিল , শেষে নিজেই বিলীন হয়ে গেল সাগরে।

বিষয়ঃ অনুপ্রবেশ — ২ ।।
  
                                      অসহিষ্ণুতার কারনে দেশ ভাগ হয়েহিল । হিন্দুরা কখনো দেশ ভাগ চায়নি । কারন ভারতের মুসলমানরা অখন্ড জাতি সত্বায় বিশ্বাস করেনি । তারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করে নিয়েছিল । দেশভাগ হলেও ভারতের পক্ষে লোকবিনিময় হয়নি বিশেষতঃ এই বাংলায় । পূর্ব বাংলা থেকে প্রায় দু  কোটি হিন্দু এসেছে এই বাংলায় , আর এখান থেকে যে লাখ খানিক মুসলমান যারা সেচ্ছায় চলে গিয়েছিল ওপার বাংলায় তারা পুনরায় ফিরে এসেছে এপারে বিশেষত ১৯৭১ সালের পর । শুধু তারা নয় তাদের সঙ্গে চলে এসেছে আরও কয়েক লাখ মুসলমান । অথছ পশ্চিমবঙ্গ বা আসাম থেকে একজন হিন্দুও আর ফিরে যায়নি পূর্ববাংলায় বা বাংলাদেশে ।এর ফলে সত্তর বছর ধরে কংগ্রেসের দিশাহীন ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি এখন দেশে এক জটিল সমস্যার সৃ্ষ্টি করেছে । নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে , ১৯৭১ সালে ইন্দিরা—মুজিব চুক্তি গোপন রাখা হয়েছে । বাংলাদেশকে এক হতদরিদ্র চাষা ভুষার দেশ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে । তার শক্তি ও বুদ্ধিকে খাটো করে দেখেছে । বিপদটা এসেছে সেখান থেকেই । শেখ মুজিবর ইসলামকে রাস্ট্র ধর্ম ঘোসনা করার পর বাংলাদেশ পুরো লুঙ্গী খুলে দেখিয়ে দিয়েছে দেখে নাও আমাকে । ৪৫ বছর ধরে জিয়াউর রহমান , এর্শাদ , খালেদা জিয়া , শেখ হাসিনা আরবের ঘোড়া ছুঁটিয়ে দিয়েছে মায়ানমার থেকে আসাম কুচবিহার হয়ে গংগার ধার বরাবর । হাজারে হাজারে বেগার খাটা মুসলমান বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ছুঁটে এসেছে এই ঘোড়ার পিছন পিছন । ঢুকে পড়েছে আসামে পশ্চিমবংগে । মানুষের ভারে উপছে পড়েছে সীমান্তের জেলাগুলি । এখানেই প্রশ্ন এরা কারা ?
           অনেক উদার পন্ডিত মাঝে মাঝে বলেন যূক্ত বাংলার কথা ; কোন কোন পলিটিক্যাল পার্টির হিডেন এজেন্ডা এটা । যুক্ত বাঙ্গালা ,বিশ্ববাংলা , শুধু বাংলা এগুলি মিউচুয়াল কোর্টশিপের এক একটি ধাপ মাত্র । ১৯৪০সালে মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে শের ই বাংলা ফজলুল হকের পেশ করা গ্রেটার বাংলার(মুঘলিস্তান) নীল নক্সার প্রতিলিপি নিয়ে দুই বাংলার  মানুষের কাছে একটা বারতা দেওয়ার অছিলা মাত্র । তাদের যুক্তি দুই জার্মানি , দুই ভিয়েতনাম যদি এক হতে পারে তবে দুই বাংলা এক হতে বাঁধা কোথায় ? এর উত্তর শ্যামাপ্রসাদ তার জীবন দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন । বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এক হতে পারে কারন ওদের ধর্ম ও সংস্কৃতি এক ; ভাষা আলাদা হলেও উর্দু বুঝতে কারুর অসুবিধা হয় না পাঠ্য পুস্তকের পাতায় পাতায় আরবি উর্দুর আধিক্য এখন যথেষ্ট । ওখানে দুই পাকিস্তান এক হবার জন্য আন্দোলনও হয় ।
         ১৯৭১ সাল থেকে কংগ্রেস ও কমুনিস্টদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ থেকে লাগাতর অনুপ্রবেশ ভারতের একত্বের আদর্শকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে । অনুপ্রবেশকারী ও তাদের আশ্রয়দাতারা প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুমকি দিচ্ছে , “একজন অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করলে সিভিল ওয়ার শুরু হয়ে যাবে ! শুরু তো অনেক আগেই হয়েছে খাগড়াগড় , ঘুলাগড় , বসিরহাট , ক্যানিং দেগংগা প্রভৃতি অনেক জায়গায় ওয়ারের প্রক্সি হয়ে গেছে । আসামে ২০১২তে বিশাল ওয়ার হয়েছে —- ওখানে শ্লোগান উঠেছিল লড়কে লেংগে হিন্দুস্তান । আসামে মায়ানমারের মত সালভেশন আর্মি তৈরীর পরিকল্পনা হয়েছিল , কেরালাতেও এমন একটা জঙ্গী গ্রুপ তৈরি হয়েছে । আজ অতি সহজ কথা যারা বাংলাদেশে অত্যাচারিত হয়ে এসেছে তারা হিন্দু , আর যাদের টাকা পয়সা , কিতাব দিয়ে উন্নত জীবনজাপন ও সাম্রাজ্য বিস্তারে পাঠ দিয়ে পাঠিয়েছে তারা কখনো শরনার্থী হতে পারে না ।
            যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রশাসন টাকাপয়সা দিয়ে মায়ানমার থেকে রহিঙ্গা মুসলিমদের হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে সুদুর জম্বু কাশ্মীরে পাঠিয়েছে , সেই একই প্রক্রিয়ায় ১৯৭১ সাল থেকে ক্রমাগত হাজারে হাজারে বাংলাদেশী মুসলমানের অনুপ্রবেশ ঘটেছে পশ্চিমবংগ , আসাম , বিহারের বিভিন্ন স্হানে । হাওড়া থেকে দিল্লী , হাওড়া থেকে বম্বে , পাটনা , ভুবনেশ্বর হাজার হাজার মাইল জাতীয় সরক ও রেলের লাইন ধারে এদের বসতি গড়ে উঠেছে , হয়েছে ঝকঝকে মসজি্দ । পশ্চিমবংগ , আসামের সর্বত্র গিজ গিজ করছে মানুষ , লুঙ্গী , জালিটুপি আর বোরখা হিজাবে গিজগিজ করছে এরা । দেখার কেঊ নেই ব্যবস্তা নেবারও  কেউ নেই আঢ়কাঠিরা সর্বদা নজরদাড়ি চালাচ্ছে । দক্ষিনেশ্বর থেকে বেলঘরিয়া যে এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে তার ডানপাশে হাজার হাজার তাঁবুর বস্তি গড়ে উঠেছে , কয়েক বছর আগে একটা ঝক ঝকে মসজিদ মাথাতুলে দাঁড়িয়েছে । কার জায়গা কিভাবে এগুলি হল এই নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার কারুর নেই । আসাম পশ্চিমবংগের সীমান্ত জেলাগুলিতে বিভিন্ন খারিজি মাদ্রাসায় হিন্দী উর্দু ভাষা শিক্ষার কেন্দ্র খোলা হয়েছে , যাতে অনুপ্রবেশকারীরা অতি সহজেই ভারতের যে কোন প্রান্তে ছড়িয়ে যেতে পারে । আমি হালফিলের কোন ডাটা দেব না , পুরনো একটা ডাটা দিচ্ছি তাহলে অনুপ্রবেশের ব্যাপকতা কতো গভীর সেটা উপলব্ধী হবে । ১৯৯১ সালে বর্তমান কাগজে প্রকাশিত একটি সংবাদে লেখা হয়েছিল , ১৯৯১ সালে জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্ত দিয়ে পনের হাজার মুসলমান অনুপ্রবেশকারী ডুয়ার্স অঞ্চলে অতি নির্জন স্হানে বসতি গড়ে তোলে , যেমন মাঁরিচ ঝাঁপিতে বাংলাদেশের নমঃশুদ্র , মালো সম্প্রদায়ের হিন্দুরা বসতি গড়ে ছিল (পড়ে জ্যোতি বসু মুসলমান গুন্ডা লাগিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে উচ্ছেদ করে) ।  পাঁচ বছর পরে ডুয়ার্সে ১৯৯৫ সালেই সেই সংখ্যাটা দাড়িয়েছিল পঁয়তাল্লিশ হাজারে । ঐ একই সময়ে জ্যোতি বসুর আমলে সাল তারিখটা ঠিক আমার মনে নেই , কোলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ থেকে পুসব্যাক করা ছ হাজার উর্দু ভাষী মুসলমান , মুজাহিদিন নাম দিয়ে নাগরিকত্বের দাবি নিয়ে অবস্হান করেছিল । আনন্দবাজার পত্রিকায় সে খবর বড় করে ছাপা হয়েছিল । পুরো ব্যাপারটার অপারেটর ছিল জ্যোতি বসুর ডান হাত কমরেড কলিমুদ্দীন সামসের , বন্দর এলাকায় সে সময়ের ডিসি বিনোদ মেহেতাকে নশিংসভাবে খুন করিয়েছিল সে । ডুয়ার্সে এই অনুপ্রবেশকারীরা অল্প সময়ের মধ্যেই চাষবাস , ব্যবসা বানিজ্য , চোরাচালান করে যথেষ্ট সম্পন্ন হয়ে উঠেছিল , মসজিদ উঠেছিল ছয়টি ।সে সময় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল , সেখানে দেশ বিরোধী কাজকর্ম চলছে অস্ত্র ও চোরা চালানের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে ডুয়ার্স অঞ্চল (বর্তমান ২৩।১।১৯৯৬) ।
            বাংলাদেশ প্রশাসনের একাংশের মদতে কট্ট্রর ইসলামিক সংগঠনগুলি গরীব মুসলমান পরিবার ও দুস্হ অবাঞ্ছিত পরিবারগুলিকে টাকা পয়সা দিয়ে হাতে কলমে জিহাদী পাঠ শিখিয়ে দুদেশের সীমান্তবর্তী মসজিদ ও মাদ্রাসার মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে ক্ষেপে ক্ষেপে  বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে অনুপ্রবেশ করিয়েছে । বাধা দিলে বিএসএফ এর উপর হামালা হয়েছে একাধিকবার ।সীমান্তে বিএসএফ , পুলিশকে কিভাবে নিষ্কৃয় রাখা হয় তা দগদগে ঘায়ের মত আমাদের সকলের মনে আছে । ঘটনাটা ঘটেছিল ২০১১ সালে বসিরহাট-হাসনাবাস-টাকিতে দূর্গাপুজার বিসর্জনের দিন ! মাঝ নদীতে দুপার থেকে শুরু হয়েছিল বিসর্জন । সেই সময় হঠাৎ হাজার হাজার বিশাল আকৃতির নৌকা মানুষ বোঝাই করে ঢুকে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের জলসীমার মধ্যে একেবারে উপকুলে , অনেকে এসেছিল সাঁতরে । কিলবিল পিলপিল করে হাজার হাজার মানুষ ঢুকে পড়ল এ বাংলায় । পরের দিন বিজয়া উপলক্ষে এ বঙ্গের বাংলা কাগজছিল বন্ধ । তাই সেই ঘটনা সেভাবে প্রচার পায়নি । পরের দিন কাগজে বেড়িয়েছিল ্সেই ঘটনায় অনুপ্রবেশের সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার , এখনো বসিরহাটের মানুষ বলে এই সংখ্যাটা ছিল দেড় লক্ষ ।সে রাতেই তাদের দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য প্রস্তুুত ছিল ম্যাটাডোর , ভ্যান , অন্যান্য দ্রুতগামী গাড়ী । পুলিশ সম্পূ্ণ নিষ্কৃয় ছিল , কোন ব্যবস্হাই নেয় নি । সেই সময় এক পুলিশ কর্তা বলেছিলেন , ‘কিছু করতে পারব না , উপর থেকে নির্দেশ আছে । তার কয়েক বছর পরেই বসিরহাট-দেগংগায় ঘটে গিয়েছিল হাড়হিম করা দাঙ্গা । কয়েকশো বাড়ী , বড় ছোট দোকানে আগুন ধরিয়ে লুটপাট করা হয়েছিল । কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস ও লুটপাট হয়েছিল । তথাগত রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দুর্গতস্হলে ।
           ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের উদ্বাস্তু সাজিয়ে একটা আন্তর্জাতিক মাত্রা দেবার চেষ্টা হচ্ছে । পার্লামেন্টকে অচল করে দেওয়া হচ্ছে । সংবিধানকে অস্বীকার করা হচ্ছে । অথছ অনুপ্রবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আছে , সেখানে তারা একবারও যাবার কথা বলছে না ।দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে । পূর্ব ভারতে সেভাবে লোকবিনিময় হয় নি । তার সুযোগ নিয়েছে পাকিস্তান বাংলাদেশ । তাদের দেশের নাগরিকদের বরাবরই ডবল  একাউন্ট , ভারত তাদের ফিক্সিড একাউন্ট ; সকলের নমিনি করা আছে  । যখন খুশি যা খুশী করা যাবে ভরতে । নেহেরু তার সব ব্যবস্হা করে দিয়ে গেছে । গ্রামে শহরে পরিকল্পিত ভাবে মুসলমানরা অনুপ্রবেশকারীদের সংগে নিয়ে  হিন্দুদের উপর প্রকাশ্যে আক্রমন চালাচ্ছে । ১৯৪৬ নোয়াখালি থেকে শুরু এই আক্রমন , এখনো চলছে । জেলার পর জেলা জমি বেচে হিন্দুরা চলে আসছে শহরে ।
           ১৯৪৭ সালের পর থেকে হিন্দুর শরনার্থী জীবনের শুরু । ভুমি , নারী আর বিত্ত হারিয়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নিয়েছে ভারতে । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এক কোটি শরনার্থিকে আশ্রয় দিয়েছে ,এক বছর পর বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তারা ফিরে নিজ দেশে , আবার কিছুদিন পরে শুরু আবার নি্র্যাতন , পুনরায় হিন্দুদের আসার ঢল নামে ভারতে , ভারতই তাদের একমাত্র আশ্রয় স্হল । ১৯৫১ সালে চীন তিব্বত দখল করার পর লক্ষ লক্ষ অত্যাচারীত তিব্বতীদের তাদের প্রধান দলাইলামা সহ সন্মনের সংগে আশ্রয় দিয়েছে ভারত ।যেদিন তিব্বত স্বাধীন হবে সেদিন তারা ফিরে যাবে নিজ দেশে । ইহুদিরা হাজার বছর ধরে শরনার্থী হয়ে আশ্রয় পেয়েছিল পথিবীর বিভিন্ন দেশে , ভারতও তাদের আশ্রয় দিয়েছিল । দেশ স্বাধীন হবার পর তারা ফিরে গেছে নিজের দেশে । ভারত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দুকোটি হিন্দু বাংগালীকে আশ্রয় দিয়েছে । এখন ভারত যদি এই দুকোটি ফিরিয়ে নেবার কথা বলে তাহলে তো বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকবে না । অথবা যদি এই দু কোটি মানুষের জন্য আলাদা ভুখন্ডের দাবী করে তাহলেও পথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশই মুছে যাবে । এখনই  ভারতবাসীর বাংলাদেশের কাছে দাবী করা উচিত ,  হয় অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নাও নয় শরনারথীদের ফিরিয়ে নাও । এই দুটি অপশন ছাড়া বাংলাদেশকে দেবার মত তৃতীয় কোন আপশন নেই ।বাংলাদেশ ইসলামিক ষ্টেট ঘোষিত হবার পর থেকে হিন্দুদের উপর প্রবল অত্যাচার নেমে আসে ।  এরশাদ আসার পর শরনার্থীর প্রবল ডেউ আছরে পড়তে থাকে পশ্চিমবংগ , আসামে । আর তখন থেকেই  জামাতে ইস্লামি , বিএনপি , হেফাজত বাংলা , লসকর ই তৈবা ,  সিমির সমর্থক ফজলুল হক , মৌলানা ভাসানীর নক্সা অনুযায়ী “বৃহৎ মুঘলিস্হান” গঠনের ঝাঁপিয়ে পরে শুরু হয় অনুপ্রবেশকারীদের সাথে সাথে টেররিষ্টদের পাঠান ।একই সংগে শরনার্থী ও য়াচশঅনুপ্রবেশকারীদের ঝাঁকে ঝাঁকে  ঠেলে দেওয়া হতে থাকে ।
            বাঙ্গাদেশে হিন্দু ক্লি্নজিং শুরু হয়েছে ১৯৪৭ সাল তারপর ১৯৫০ , ৬৫ , ৭১ , ১৯৯৫ , তার পর ক্ষেপে ক্ষেপে কখনও প্রবল আকারে কখনো বিক্ষিপ্তভাবে এবং মিডিয়ার দৌলতে আজকের দিন পর্যন্ত ।এর সাথে সাথে গ্রেটার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা মুসলমানরা ঢুকে পরছে তাদের  ধর্ম , ইসলামি সংস্কৃতি ও আদর্শ নিয়ে । শরনার্থীরা এসেছে নারী , ভুমি ,  সম্পদ হারিয়ে । অনুপ্রবেশকারীরা এসেছে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে ; ভুমি দখল করতে , সম্পদ লুঠ করতে , মসজিদ বানাতে জিহাদ আর অরাজকতা সৃষ্টি করতে । অনুপ্রবেশের চাপ আমরা এখন প্রতিমুহু্র্তে টের পাচ্ছি । দেশের প্রতিটি নাশকতার সাথে বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক যুক্ত । যারা সিভিল ওয়ারের ভয় দেখাচ্ছেন তাঁরা যেন ভুলে না যান , যে  মায়ানমারেও বাংলাদেশী রোহিংগা মুসলিমরা সালভেশন আর্মি গড়ে করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল , শ্রীলংকায় খৃস্টান তামিলরা দ্বীপ থেকে আলাদা রাস্ট্রের জন্য জীবনপন দীর্ঘ লড়াই করেছিল , কাশ্মীরে ৭০ বছর ধরে চলছে এই একই খেলা । কারুরই স্বপ্নপূরণ হয় নি । খালেদা জিয়ার আমলে এই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ রোখাকে কেন্দ্র করে গ বিডিয়ার আমাদের ৬জন জওয়ানকে অপহরণ করে , তার পর নৃশংসভাবে হত্যা ও অঙ্গহানী করে ফেরত পাঠিয়েছিল ত্রিপুরার মাটিতে । কমরেড মানিক সরকার তখন মুখ্যমন্ত্রী । সেসব কথা এখনো ভোলেনি ভারতবাসী ।বাংলাদেশ সর্বদা অনুপ্রবেশকারী ও শরনাথীদের নিয়ে  মুখ মুছে ফেলেছে । সব সময় বলে থাকে ,’এটা ভারতের অভ্যন্তরিন ব্যাপার , এসব চালবাজী আলতাকিয়া কথা শুনে আসছি বহু কাল থেক , এখনও অস্বীকার করবে  এটা আমাদের জানা কথা । ফজলুল হক , সুরাবর্দি , মৌলানা ভাসানী , মুজিবর রহমান , জিয়া , খালেদা জিয়া থেকে শেখ হাসিনা এবং এপার বাংলার কিছু মানুষ গ্রেটার বাংলার স্বপ্ন দেখে আসছেন বহুকাল থেকে । আর আমরা এও জানি যে বাংলাদেশকে ঘিরে  আছে চারটে কাফের রাষ্ট্র্ নেপাল , ভুটান , মায়ানমার কিছু দূরে থাইল্যান্ড ।
           এখন একটাই কথা , দূর্বল মায়ের দূর্বল সন্তান । বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের  ফরসেফ করে , একটা বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম হয়েছিল । বিকলাঙ্গরা কখনো দীর্ঘজিীবী হয় না । আমার তো মনে হয় আগামি ২৫ বছরের মধ্যেই হয় তো পৃথিবীর মানচিত্র থেকে  মুছে যাবে বাংলাদেশ । আরব পেট্রডলারের সেলাইনে বেশীদিন টিঁকে থাকতে সে পারবে না ।শ্রী রামকৃষ্ণের কথায় , নুনের পুতুল সাগর মাপতে গিয়েছিল , শেষে নিজেই বিলীন হয়ে গেল সাগরে ।