বেঙ্গালুরুর দুই বিজ্ঞানীর অভিনব আবিষ্কার আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

 প্রত্যন্ত, দুর্গম অঞ্চলে যুদ্ধ করেন সৈনিকরা। আহত হলে অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসারও সুযোগও থাকে না। সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পেতে লেগে যায় অনেকটা সময়। ততক্ষণে হয়তো দেখা যায় রক্তপাতে ভেসে গিয়েছেন আহত সৈনিক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রাণসংশয়ও হয়। এবার সে পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে। মাত্র ৯০ সেকেন্ডেই বন্ধ হবে রক্তপাত। বেঙ্গালুরুর দুই বিজ্ঞানীর অভিনব আবিষ্কার আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

সৈনিকদের সাহায্যের জন্য এর আগেও ব্যবস্থা ছিল। তবে তাতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হতে অন্তত ৩-৪ মিনিট সময় লেগে যেত। এবার বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন, তাতে এর অর্ধেক বা তার কম সময়েও বন্ধ হবে রক্তক্ষরণ। বেঙ্গালুরুর জ্যোতি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ইনকিউবেশন, ইনোভেশন, রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সির দুই বিজ্ঞানীর এই অভিনব আবিষ্কার। সন্তোষ ও দিবাকর নামে ভারতীয় বিজ্ঞানীর এই প্রোডাক্টটি গোটা বিশ্বের চিকিৎসা পরিষেবাতেও নয়া দিগন্ত দেখাতে পারে। এটি আসলে ‘কার্বোক্সিল লিঙ্কড গ্রাফিন স্পঞ্জ’। অতীতে যা ব্যবহার করা হত অনেকটা তারই মতো। তবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে গ্রাফিন, যাতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড। এছাড়া আছে একটি জৈব প্রোটিন, যা একটি গাছ থেকে সংগৃহীত। এই দুয়ের সংমিশ্রণেই রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ে। ফলে খুব কম সময়ে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। যেহেতু এ দুটি রাসায়নিক কম খরচেই মেলে, তাই পুরো প্রোডাক্টটির বাণিজ্যাক সম্ভাবনাও বেশ ভাল। ফলত সেনাবাহিনী বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও এটি ব্যাপক ব্যবহার করা যেতে পারে।