বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে তথাকথিত ‘সেকুলারদের হৃদয় কি ব্যথিত হবে না? রন্তিদেব সেনগুপ্ত: বাংলাদেশে নির্বাচন পর্ব সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠীর উপর হামলা নেমে এসেছে। সংবাদে প্রকাশ, বাংলাদেশের ৯টি জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ চূড়ান্ত দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওই সমস্ত জেলাতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা ঘরবাড়ি ছেড়ে স্থানীয় মন্দির, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন।
আদৌ তারা তাদের গৃহে আর ফিরতে পারবেন কি না—তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সংবাদেই প্রকাশ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, লালমণিরহাট, গাইবান্ধা, রাজশাহি, চট্টগ্রাম এবং যশােরের বিস্তীর্ণ এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলছে। ঢাকা থেকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে—“বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা অব্যাহত। বুধবার সকালে নেত্রকোণা জেলায় একটি কালীমন্দিরে তাণ্ডব চালায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী।
এরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তাতে।” পিটিআই আরও জানাচ্ছে, নির্বাচনের পর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মন্দিরে হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ওই সূত্রে এও জানা গিয়েছে, নিৰ্যতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে চলে আসার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর এই নির্যাতনের ঘটনায় যদি অনুপ্রবেশের ঢল নামে, তাহলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর চাপ বাড়বে। আবার ভারতের ভিতর পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমকে এই অনুপ্রবেশের ধাক্কা বেশি সামলাতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই, বাংলাদেশের এই সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবিষয়ে একটি নােট তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের কাছে সেই নােটটি পাঠানােও হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠীর উপর এই হামলার ঘটনা নতুন নয়। বলা যায়, বাংলাদেশ জন্মের আগেই তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানেই সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠীর উপর হামলা শুরু হয়। এই বিরতিহীন নির্যাতনের ফলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠী অতীতের ৩০ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। আর ক’বছর পর এই হারও যে অনেক কমেই আসবে—তা বলাই যায়।
সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠীর উপর হামলা শুরু করেছে কট্টর মৌলবাদী জামাত-ই-ইসলাম এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। বিএনপি জন্মাবধি মৌলবাদ ঘেঁষা একটি দল এবং জামাতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও নিবিড়। মৌলবাদী জামাতের সমর্থন নিয়ে খালেদা এক সময় বাংলাদেশে সরকারও চালিয়েছেন। সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত—
অর্থাৎ, পূর্ব পাকিস্তান থেকে বর্তমানের বাংলাদেশ ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে উগ্র এবং কট্টর মৌলবাদীরা সংখ্যালঘু হিন্দু জনগােষ্ঠীর উপর লাগাদার আক্রমণ বজায় রেখেছে একটিই কারণে। কারণটি হল, এই মৌলবাদীরা একটি ক্লিনজিং অপারেশন চালাতে চায় বাংলাদেশে। এরা চায়
—বাংলাদেশে একটি হিন্দু পরিবারেরও অস্তিত্ব থাকুক। আর এ কারণেই এই ধারাবাহিক আক্রমণ। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর এই নির্যাতন যে শুধুমাত্র সে দেশের পক্ষেই শঙ্কার বিষয়—তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে এর প্রভাব এই উপমহাদেশে, এমনকী সমগ্র বিশ্বে পড়তে বাধ্য। প্রথমত, এর ফলে ভারত সীমান্তে যদি অনুপ্রবেশের ঢল নামে—তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে চাপ পড়বে-এ যেমন অনস্বীকার্য; তেমনই বাংলাদেশে এরকমই ক্লিনজিং অপারেশন যদি নির্দ্বিধায় চালিয়ে যেতে থাকে মৌলবাদীরা—তাহলে এই উপমহাদেশে শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিস্থিতিটাই নষ্ট হবে।
এমনিতেই পাকিস্তানে উগ্র মৌলবাদীরা যথেষ্ট শক্তিশালী, ওই রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্রটিকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করে; তদুপরি বাংলাদেশেও যদি মৌলবাদীরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে—তাহলে ভারতের শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে বৈকি।
পাকিস্তানি আই এস আই এবং বাংলাদেশি মৌলবাদীদের প্ররােচনায়, উসকানিতে এবং প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ সহায়তায় ভারতের অভ্যন্তরে মৌলবাদী শক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে—এমন ঝুঁকি থেকেই যায়। বাংলাদেশে এই সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার রয়েছে। প্রথমত, ধর্মের বিচারে না গিয়েও বলতেই হয়—যারা বাংলাদেশে নির্যাতিত হচ্ছে—তারা জাতিগতভাবে বাঙালি।
বাঙালির নির্যাতনে বাঙালির উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক ছিল। দ্বিতীয়ত, মৌলবাদীদের আক্রমণে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারগুলি যদি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে চায়, তাদের প্রথম ঠিকানা হবে পশ্চিমবঙ্গই। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের ধাক্কা সবথেকে বেশি সামলাতে হবে পশ্চিমবঙ্গকে। এক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গের উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠাই, স্বাভাবিক ছিল।
কিন্তু পশ্চিবঙ্গের শিক্ষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী সমাজ, এ রাজ্যের প্রশাসন বা প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলি—কেউই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু গােষ্ঠীর উপর মৌলবাদীদের হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়। বলা ভালাে, কোনও উদ্বেগ তারা প্রকাশ করেনি কোনওদিন। ১৯৪৭-এর পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু জনগােষ্ঠী নানাভাবে নিপীড়িত হলেও, এপারের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীসমাজ বা রাজনৈতিক শক্তিগুলি—কেউই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু গােষ্ঠীর উপর মৌলবাদীদের হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়।
বলা ভালাে, কোনও উদ্বেগ তার প্রকাশ করেনি কোনওদিন। ১৯৪৭-এর পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু জনগােষ্ঠী নানাভাবে নিপীড়িত হলেও, এপারের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীসমাজ বা রাজনৈতিক শক্তিগুলি এনিয়ে কখনও মুখ ফুটে রাটি কাড়েনি। বরং, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় উদাসীন থেকে অতীতে পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে এক চপল আবেগ এরা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে বরাবর এদের এই আবেগী চর্চায় সত্যটি বরাবরই চাপা পড়ে থেকেছে।
ওপরের হিন্দুরা নির্যাতিত হলে এপারের এই নীরবতার প্রকৃত রহস্যটি কী? রহস্যটি আর কিছুই নয়। তথাকথিত সেকুলার সেজে থাকার যে অসুখ সেই ব্রিটিশ-ভারতের সময় থেকে শিক্ষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী সমাজকে গ্রাস করেছিল—অদ্যাবধি তা থেকে তাদের মুক্তি ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারী তার একটি প্রবন্ধে অতীব সুন্দর একটি বিশ্লেষণ করেছিলেন। মহানামব্রত ব্রহ্মচারী লিখেছিলেন—ব্রিটিশের আগেও ভারত মুসলমান শাসকদের অধীনে ছিল। কিন্তু তখনও হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের ধর্মভাবনা থেকে বিচ্যুত করতে পারেননি মুসলমান শাসকরা। ব্রিটিশশাসক কিন্তু হিন্দুসমাজের শিক্ষিত অংশকে হিন্দুত্ব সম্পর্কে বিমুখ করে তুলতে পেরেছিল। এই শিক্ষিত বাঙালি সমাজ এবং
তাদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক শক্তিগুলি এই ভ্রান্ত সেকুলারিজমের বশবর্তী হয়েই বরাবর সংখ্যালঘু তােষণটিকেই ধর্মনিরপেক্ষতা বলে বাজারে চালাতে চেয়েছে। এরা মনে করেছে, বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের পক্ষে সরব হলে বােধকরি এদেশের সংখ্যালঘু মুসলিমসমাজ ক্ষুন্ন হবে। এক্ষেত্রেও এক ভ্রান্তির বশবর্তী হয়েছে তারা।
কিছু মৌলবাদী সংগঠন, কয়েকজন উগ্র মৌলবাদী মুসলিম নেতাকেই এরা মুসলমানসমাজের প্রতিনিধি মনে করছে। এই মৌলবাদী সংগঠনগুলি বা মৌলবাদী নেতারা যে সমস্ত মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি নয়—এ বােধটাই এপারের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সমাজ বা রাজনৈতিক শক্তিগুলির হয়নি। এই বােধ হয়নি বলেই, কলকাতার মতাে শহরে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনকে জনসভা করার অনুমতি দিতে কুণ্ঠা বােধ করে না প্রশাসন।
পরন্তু হিন্দু হিসাবে নিজেদের পরিচয় না দিতে চাওয়ার অহেতুক লজ্জা এপারের হিন্দু বুদ্ধিজীবী সমাজকে অনেকদিন পূৰেই গ্রাস করেছে। যে কারণে লেবাননে ইরাকে, ইরানে, আফগানিস্তানে মানুষ গৃহহীন হলে, দাঙ্গায় সর্বস্বান্ত হলে এরা শােকপ্রকাশে যত তৎপর হয়, প্রতিবাদে যত মুখর হয়; বাংলাদেশে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটিকে তারা বর্জনীয় এবং নিন্দনীয় বলেই মনে করে। এপারের শিক্ষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলির এই ধরনের অসৎ মানসিকতার কারণেই বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুরা। এপার থেকে আজ পর্যন্ত কোনও সহানুভূতি পাননি।।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু উৎখাতে যদি মৌলবাদীরা ‘ক্লিনজিং অপারেশন চালায়; দশকের পর দশক ধরে বাংলাদেশে যদি হিন্দু সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হতে থাকে—তাহলে বিশ্বদরবারে তার প্রতিবাদ হবে না কেন? কেনই বা হিন্দুদের উপর এই অত্যাচারের প্রতিবাদে অন্তত হিন্দুসমাজ সরব হবে না?
হিন্দুসমাজ যদি সরবই হয়—তাতে অন্যায়ের সত্যই কি কিছু আছে? এপ্রসঙ্গে একটি উদাহরণ অবশ্যই টানা যেতে পারে। গুজরাত দাঙ্গাপরবর্তী সময়ে সেই ঘটনার নিন্দায় এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এবং মুসমিল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সরব হয়েছিলেন। সেদিন কিন্তু তাদের সেই ভূমিকা নিয়ে কেউ কোনও প্রশ্ন তােলেনি। প্রশ্ন তােলা বাঞ্ছনীয় হত না।
তেমনই ‘আজ যদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুনির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দুসমাজের ভিতর আলােড়ন উঠে, হিন্দুসমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সে ঘটনার নিন্দায় সরব হন—তাহলে তাও নিশ্চয়ই অন্যায় হবে না। গুজরাত দাঙ্গার নিন্দা করে যদি মুসলিম বিশিষ্ট জনেরা ‘সাম্প্রদায়িক আখ্যা না পান; আশা করা যায়—হিন্দু নির্যাতনের নিন্দা করে হিন্দু সমাজের বিশিষ্টরাও সাম্প্রদায়িক’ তকমা পাবেন না।
আসলে, হিন্দুসমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের ভিতর থেকে একটি প্রতিবাদ আসা উচিত ছিল। দুঃখেরতা আসেনি। কেন আসেনি তার কারণ পূর্বেই বলেছি। শিক্ষিত হিন্দুসমাজ হিন্দুপরিচয়ে অযথা লজ্জিত হতে শিখেছে। অথচ, হিন্দুত্ব বিষয়টি লজ্জার নয়। তা বুঝে ছিলেন সিস্টার নিবেদিতার মতাে বিদেশীও। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ১৮৯৯ সালে। প্রবুদ্ধ ভারত পত্রিকায় নিবেদিতা লিখেছিলেন—“হিন্দুত্ব একটি উদার ধর্মভাবনা। যা বিশাল বৃক্ষের মতাে সকলকে আশ্রয় দেয়। প্রাচ্যের এই উদার হিন্দু দর্শনের কাছে পাশ্চাত্যের শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে।”
মনে রাখতে হবে, ভারত সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদেরই দেশ। হিন্দুধর্মের ঔদার্যই ভারতের ধর্ম এবং সমাজ ভাবনার মূল ভিত্তি। একথাও স্বীকার করতে হবে—ইসলাম। এবং খ্রিষ্টধর্ম দুটিই বাইরে থেকে ভারতে এসেছে। ভারতের মাটিতে ওই দুটি ধর্মভাবনার জন্ম হয়নি। এই উদার হিন্দুদর্শন ভারতের মূল ভিত্তি বলেই এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অত্যাচারিত হয়ে দেশত্যাগ করতে হয় না।
হিন্দুদর্শন তার ঔদার্যের কারণেই, কখনও অন্য ধর্মের প্রতি আগ্রাসী হয় না। এই দর্শনটিকে বুঝলে। নিজের হিন্দুপরিচয়ে অযথা লজ্জিত হওয়ার কারণ ঘটে না। বাংলাদেশের অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিন্দুসমাজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা একটি মানবিক কর্তব্য।
শুধু হিন্দুসমাজ নয়, সমাজের প্রত্যেক স্তরের ভিতর থেকে দাবী উঠুক, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর স্বার্থরক্ষা করতে প্রয়ােজনে রাষ্টসংঘ হস্তক্ষেপ করুক। বাংলাদেশে এবং বিশ্বের অন্যত্রও উগ্র মৌলবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে এক প্রবল জনমত গড়ে উঠুক। আগামীদিনে এই কট্টর, অন্ধ মৌলবাদই যে মানবসভ্যতার বড় বিপদ—এ বােধ জাগ্রত হােক সকলের হৃদয়ে।
আর, বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুর যন্ত্রণায় ধর্মমতনির্বিশেষে সমগ্র মানবহৃদয় একবার অন্তত আলােড়িত হােক। ব্যথিত হােক।
এর পর থেকে পড়ুন..
সৌজন্য : বর্তমান। ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪