এটা তো কেবল আমাদের হিন্দুদের মধ্যে আরেকটি দৃঢ়
বিভাজন রেখা তৈরি করার ব্রিটিশ অপকৌশল মাত্র। ‘আদিবাসী’ শব্দটি শুনলেই,
মনেমনে এই ধারনা বদ্ধমূল হতে বাধ্য যে, এই নামের কৃষ্ণকায় অনুন্নত পিছিয়ে
পড়া মানুষগুলিই বুঝি ভারতের আদিম অধিবাসী।
আসলে, ব্যাপারটা হল…
আর্যদের বহিরাগমন তত্ত্বকে বৈধতা দিতে গিয়েই ব্রিটিশ তথা বৈদেশিক ভারত
বিরোধী শক্তি আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রোপাগান্ডা চালান, যার তীব্র
বিরোধিতা করেন বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকর! অথচ দুঃখের বিষয়, আজও এর কোন পরিবর্তন হল না।
প্রকৃত অর্থে কথাটা “আদিবাসী” না হয়ে হওয়া উচিৎ ছিল – “বনবাসী”।
আর সেই সূত্র ধরেই “বনবাসী-নর”… বা “বানর” শব্দটির বহুল প্রয়োগ
হয়েছে,… যাদের আমরা রামায়নের পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সহযোদ্ধারূপে
পাই। আর তাদেরই নেতা ছিলেন বীর হনুমান। এখন একমাত্র তার লেজের কাল্পনিক
ধারনাটি বাদ দিলেই কিন্তু বাকি চিত্রটি পরিষ্কার হয়ে আসে। নইলে, বানর বা
হনুমান আবার কি ভাবে যুদ্ধে লড়াই করে..?
অর্থাৎ, আজ আমরা যাদের “আদিবাসী” বলে সম্বোধন করছি, তারাই কিন্তু আমাদের আদি-অকৃত্তিম…..অতি আদরের “রাম-সেনা”…।।
কি বন্ধুরা?.. কিছু বোঝা গেল…??