মানষিক শক্তি পারে বর্তমান আমাদের এই সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে।

ধর্ম পালন করতে নিরামিষাহার বা আমিষাহার হতে হবে এমন কোন কথা নাই। ধর্ম পালন করতে আমাদের মনটা থাকলেই যথেষ্ট। যে রথ আমাদের দেহের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যেখানে আত্মা হলেন মহারথী, বুদ্ধি হলেন সারথি, আর মন হলেন এর ঘোড়া। আর এই ঘোড়া নামক মনটির পাঁচটি ঘোড়া বিদ্যমান। এই পাঁচটি ঘোড়া হলেন আমাদের পাঁচটি ঈন্দ্রীয়। যদি সারথি ( বুদ্ধি) দ্বারা রথটিকে ঘোড়ার (মন) দ্বারা সঠিক পথে রেখে ধর্ম পালন করি, তাহলে সেটাই হবে পরম ধর্ম। এখানে আমিষাহার বা নিরামিষাহার কোন কথা আসাটাই ঠিক মনে করি না। আমি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করছি মাত্র।
একটি সত্য ঘটনা চট্টগ্রামের হিংস্র পাঠাবলী প্রসংগে।
কেলিশহর দক্ষিন চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার একটি ৯৫ পারসেন্ট হিন্দু অধ্যুষিত ইউনিয়ন ছিল ১৯৭১ সালে।
সেখানে পাক বাহিনীর কোনো এক অভিযানের সময় মুক্তিকামী সাহসী হিন্দুরা দুইজন খানসেনাকে খড়গ দিয়ে  বলী করে দেয় এবং তাদের বিভৎষ এই মুন্ড এবং ধর খানা কেলিশহরের কোনো এক প্রবেশ দ্বারে ঝুলিয়ে রাখে। এর পর পুরো নয় মাসের ভয়াবহ যুদ্ধে পাক বাহিনী হিন্দু অধ্যুষিত এই জনপদ ঢোকার সাহস করেনি দ্বিতীয়বার।
যা চট্টগ্রামের মানুষের লোকমুখে শোনা যায় আজো।এখনোঅব্দি এই কেলিশহর হিন্দু অধ্যুষিত জনপদ এখানকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিন্দু।পার্শবতীর্ আরো একটি হিন্দু অধ্যুষিত ইউনিয়ন ব্রিটিশ বিপ্লবের সুতিকাগার ধলঘাট গ্রামে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে অন্যতম শক্তি পীঠস্থান বুড়োকালী মন্দিরে পাক বাহিনী অভিযানের সময় অজ্ঞাত  কারনে পথ ভুলে  যায়।পরে রাজাকার বাহিনী বুড়োকালী মন্দিরে লুন্ঠন করতে এলে একজনও লুন্ঠন করতে পারেনি বুড়োকালী মন্দিরের দেবোত্তর অলংকার।সকলেই অজ্ঞাত কারনে অন্ধ হয়ে যায়।

Scroll to Top