ভারতবর্ষীয় ইতিহাসে সুলতান মাহমুদ থেকে তৈমুর লং এর জিহাদি কর্মকান্ডের একটি খন্ডিত ইতিহাস…..
আমরা যারা বাংলাদেশী মুসলিম পরিবার থেকে এসেছি, আমাদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হতো যে ইসলাম ভারতবর্ষে এসেছে শান্তির পায়রার ঠ্যাং ধরে। কিন্তু বড় হয়ে জানতে পারলাম কতোটা ডাহা মিথ্যা কথা।
আবার আমার মোডারেট ভাই বোনেরা প্রায়ই বলে থাকেন যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গনহত্যাকারীদের কেউই মুসলিম না। এটাও বিশাল মাপের এক মিথ্যাকথা। ইসলামের ভারতবর্ষে প্রবেশ ছিল মানবজাতির লিখিত ইতিহাসে সম্ভবত সবথেকে রক্তাক্ত অধ্যায়। আসুন, ইতিহাসের পাতা থেকে পর্যালোচনা করি এই রক্তাক্ত অধ্যায়ের।
১০২৬ খৃষ্টাব্দে সুলতান মাহমুদ ৩০ হাজার অশ্বারোহী ও অসংখ্য মুসলমান স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে বিশাল বাহিনী সহ সোমনাথ মন্দিরের সামনে উপস্থিত হলেন। চতুর্দিক থেকে বহু সংখ্যক রাজপুত যোদ্ধা ও রাজাগন সোমনাথ মন্দির রক্ষার্থে অগ্রসর হলেন। প্রায় পাচ হাজার হিন্দু সোমনাথ মন্দির রক্ষার্থে প্রাণ বিসর্জন দিলেন , কিন্তু মন্দির রক্ষা করতে পারলেন না। মন্দিরের পূজারী সহ বহু সংখ্যক ব্রাম্মনকে হত্যা করে মাহমুদের আদেশে মন্দির অপবিত্র করে মন্দিরের সকল বিগ্রহাদি ভেঙে ফেলা হল। এই মন্দির হতে দুই কোটি স্বর্ণমুদ্রা ও বিগ্রহের অলংকারাদি হতে প্রভূত পরিমান স্বর্ণ রৌপ্য মনি মুক্তা তিনি লুণ্ঠন করলেন।
সুলতান মাহামুদের পর মোহাম্মদ ঘোরী ভারত আক্রমন করেন। মোহাম্মদ ঘোরী ভাতিন্দা আক্রমণের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কালে পৃথ্বীরাজ তাকে ধাওয়া করেন। ধানেশ্বরের নিকট তয়াইন নামক স্থানে উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হল। ঘোরীর সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হল এবং ঘোরী স্বয়ং যুদ্ধে আহত হলেন ও বন্ধী হলেন।
পৃথ্বীরাজ হিন্দু অনুশাসান মতে ঘোরীকে ক্ষমা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিলেন। এই ভারতীয় নীতিই পৃথিরাজের জন্য ও ভারতের হিন্দুদের জন্য কাল হয়ে দাড়াল। হতভাগা পৃথিরাজ জানতেন না ভারতীয় নীতি আর কোরানের নীতি এক নয়। আর তাই পরের বছর (১১৯২) কোরানের আদর্শ মতে যুদ্ধের নীতি ভঙ্গ করে ঘোরী পৃথিরাজকে হত্যা করলেন।
এরপর ঘোরী স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন আজমীরের হিন্দু মন্দির ধুলিস্যাত করে সেখানে মসজিদ ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করলেন। তারপর হিন্দুর রক্তে রাঙিয়ে তিনি দিল্লী ও বেনারস অভিযান করেন। অসান দুর্গ দখল করে মুসলমানেরা নির্বিচারে হিন্দু হত্যা করতে করতে বেনারস পৌছায় এবং সেখানেও হিন্দু হত্যা চালাতে থাকে। ঐতিহাসিক হাসান নিজাম তার ‘তাজ উল মাসির’ গ্রন্থে এই বর্বরতা বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন, ” তার তরবারির ধার সমস্ত হিন্দুকে নরকের আগুনে নিক্ষেপ করল। তাদের কাটা মুন্ড দিয়ে আকাশ সমান তিন খানা গম্বুজ নির্মাণ করা হল এবং মাথাহীন দেহগুলো বন্য পশুর খাদ্যে পরিণত হল।”
এরপর ঘোরীর উত্তরসূরী কুতুবউদ্দিন এক হাজার ঘোরসওহার বিশিষ্ট বাহিনী নিয়ে কাশীর দিকে অগ্রসর হল। কাশী নগরী দখল করার পর কুতুবউদ্দিন মুসলমানদের আদেশ দিলেন , সকল হিন্দু মন্দির ধ্বংস করতে হবে। তারা প্রায় এক হাজার হিন্দু মন্দির ধ্বংস করল এবং সেই মন্দিরের ভিতের উপর মসজিদ নির্মান করল।
১১৯৬ সালে কুতবউদ্দিন গোয়ালিয়র আক্রমন করেন। এই ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে হাসান নিজামী তার ‘তাজ উল মসির’ – এ লিখেছেন – ” ইসলামের সেনারা সম্পূর্ণভাবে বিজয়ী হল। মূর্তি পুজার সমস্ত কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানকে (মন্দিরকে) ধ্বংস করা হল এবং সেখানে ইসলামের নিদর্শণ স্বরূপ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মান করা হল।”
১১৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে কুতুবউদ্দিন ও মোঃ ঘোরী গুজরাট আক্রমন করেন এবং পথে নাহারয়োলা দুর্গ আক্রমন করেন। মাউন্ট আবুর এক গিরিপথে রাজা করন সিং ও মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে করন সিং হেরে যান।
মিনহাজ লিখেছেন- “প্রায় পঞ্চাশ হাজার শব দেহের স্তুপ পাহাড়ের সমান উচু হয়ে গেল। বিশ হাজারেরও বেশি ক্রীতদাস কুড়িটি হাতি সহ এত লুটের মাল বিজয়ীদের হাতে এলো যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।”
১২০২ সালে কুতুব উদ্দিন কালিঞ্জর দুর্গ আক্রমন করেন।
এই প্রসঙ্গে মিনহাজ লিখেছেন –
” সমস্ত মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হল, ৫০ হাজার হিন্দুকে (নারী ও শিশু-সহ) ক্রীত দাস হিসেবে পাওয়া গেল এবং হিন্দুর রক্তে মাটি পীচের মত কালো হয়ে গেল।”
মুসলমানের হত্যাযজ্ঞে ভীত হয়ে প্রাণ রক্ষার্থে এবং জিজিয়া কর না দিতে পারার কারনে যারা মুসলমান হতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের উপর দয়া করেই মুসলমান শাসকগণ মন্দির গুলোকে ঘষে মেজে ও প্লাস্টার করে মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। এই সব নও মুসলমানদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে তারা নিয়মিত নামাজ রোজা পালন করে খাটি মুসলমান হলে তাদেরকে উচ্চ রাজকর্মচারী পদে নিযুক্ত করা হবে। কিন্তু সাধারন সৈনিকের কাজ ছাড়া অন্য কোন বৃত্তি গ্রহনের সুযোগ না পাওয়ায় এবং তাদেরকে দিয়ে হিন্দু মন্দির ধ্বংস, হিন্দু হত্যা ও হিন্দু নির্যাতন করালে মুসলমানদের আচরণে বীতশ্রদ্ধ হতে তারা পূনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার উদ্যোগ নিলে গুজরাট হতে ফিরবার পথে সম্রাট আলাউদ্দিনের আদেশে এক দিনে ২০ হাজার নও-মুসলিমে হত্যা করে নারকীয় পৈশাচিকতার পরিচয় দেন।
১৩০৩ খৃষ্টাব্দে আলাউদ্দিন চিতোর আক্রমন করেন। চিতোর আক্রমনের প্রত্যাক্ষ কারন ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজপুত রানা রতন সিংহের অন্যন্যা সুন্দরী রানী পদ্মিনীকে হস্তগত করা । রতন সিংহ বীরদর্পে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত পরাজিত ও বন্ধি হলেন । রাজপুত বীর গোরাচাদ ও বাদল অসাধারণ বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করলেন । কিন্তু বিশাল সুলতানী বাহিনীকে পরাজিত করা অসম্ভব দেখে রাজমহলের নারীগন জহরব্রত অর্থাৎ অগ্নিকুন্ডে ঝাপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিলেন । এভাবে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তারা মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়ে অপমানিত হওয়া থেকে পরিত্রান পেলেন।
কাজী মুগিস উদ্দিন বলেছেন সম্রাট আলাউদ্দিন কার্যসিদ্ধির মানে ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য ন্যায় অন্যায় বা নীতি আদর্শের কোন ধার ধারতেন না ।
অর্থের প্রাচুর্য্য থাকলেই বিদ্রহের মনোবৃত্তি ও সামর্থ্য জন্মে- এই ছিল আলাউদ্দিনের ধারণা । এজন্য তিনি ধনবান হিন্দুদের নানাভাবে শোষণ করে তাদের অর্থবল নাশ করলেন ।
তিনি দোয়াব অঞ্চলের হিন্দুদের নিকট হতে উতপন্ন ফসলের অর্ধাংশ রাজস্ব হিসেবে আদায় শুরু করলেন এবং হিন্দু জনসাধারণের উপর এমন অসহনীয় করভার স্থাপন করলেন যাতে তারা এই করমুক্তির আশায় দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে ।
এই কার্যকলাপে মুসলমান মাওলানাগণ খুব খুশি হয়েছিলেন । মিশরের জনৈক বিখ্যাত ইসলামী আইন বিশারদ আলাউদ্দিন খিলজীকে এক পত্রে লিখেছিলেন-
“শুনলাম আপনি নাকি হিন্দুদের এমন অবস্থা করেছেন যে, তারা মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করছে । এরূপ কাজ করে আপনি ইসলামের অশেষ উপকার করেছেন। একমাত্র এই কাজের জন্যই আপনার সকল পাপের মার্জনা হবে ।”
আলাউদ্দিনের পদাঙ্ক অনুসরন করে সম্রাট গিয়াসউদ্দিন ও হিন্দুরা যেন মুসলমানদের বাড়ীতে ভিক্ষা করে বেড়ায় সেজন্য বিভিন্ন নির্দেশ জারী করলেন। এর পর ক্ষমতায় আসলেন ফিরোজ শাহ । তিনি ক্ষমতায় এসেই নবীজির আদর্শ অনুসরণ করে বিভিন্ন মন্দিরকে মসজিদে রুপান্তর ও মন্দির সমূহকে অপবিত্র করতে লাগলেন । তিনি পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ দেবের মন্দির অপবিত্র করলেন এবং জগন্নাথ দেবের মূর্তিটি মুসলমানগন দ্ধারা পদদলিত করবার উদ্দেশ্যে দিল্লী নিয়ে গেলেন।
“Firuz reached puri, occupied the Raja’s palace and took the great idol, which he sent to to be trodden under foot by the faithful.” [Cambridge History of India. WI-Ill. 171 ]
১৩৬০ সালে ফিরোজ শাহ উড়ুষ্যা অভিযান করেন এবং পুরীর জগন্নাথের পুনরায় তৈরী হওয়া বিগ্রহ নিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেন । ফেরার পথে জাজনগরে এসে শুনতে পেলেন সেখানকার লোকেরা ভয়ে সমুদ্রের একটি দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে । ফিরোজ শাহ সৈন্য নিয়ে সেই দ্ধীপে গেলেন এবং এক লক্ষ বিশ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে এক তুঘলকি কান্ড ঘটালেন । ফিরোজ শাহ খাটি মুসলমান । এ কারনে অমুসলমান প্রজাবর্গের উপর নানা ধরনের কর আরোপ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করতে লাগলেন। অমুসলমান প্রজাদের ধর্মের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাও ছিলোনা । তিনি ইসলামী আদর্শে পৌত্তালিকতার বিনাশ সাধান পরম ধর্ম বলে মনে করতেন। তিনি কোরানের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে অনাচ্ছাকৃতভাবে অমুসলমান প্রজাদের উপর অত্যাচার, জিজিয়া কর স্থাপন, নও মুসলিমদের (নতুন মুসলিম) জন্য মন্দিরগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করে মসজিদে রূপান্তর এবং হিন্দুদের নানাভাবে নির্যাতন করে মুসলমান হতে বাধ্য করতে লাগলেন ।
এরপর ভারত আক্রমন করলো তৈমুর লঙ । ‘দিল্লীর সুলতনগন পৌত্তালিকতার উচ্ছেদ সাধন না করে পৌত্তালিকদের প্রতি উদারতা প্রদর্শন করছে,’ এই অজুহাতে তিনি দিল্লী আক্রমন করলেন । দিল্লী অভিমুখে যাত্রাপথে দীপালপুর, ভাতনেইর প্রভৃতি স্থান লুন্ঠন করে এবং অসখ্য নর-নারীর প্রাণ নাশ করে দিল্লীর উপকণ্ঠে এসে উপস্থিত হলেন ।
সেখানে তিনি প্রায় এক লক্ষ হিন্দু বন্দীকে হত্যা করে এক নারকীয় কান্ড ঘটালেন । এরপর তৈমুর দিল্লী পৌছালে তার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হিন্দু নাগরিকগন আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে এক ব্যপক হত্যাকান্ড শুরু হয় । তৈমুরের দুর্ধষ বাহিনী অগনিত হিন্দু নর নারীর রক্তে দিল্লী নগরী রঞ্জিত করলো । দিল্লী নগরীতে কয়েকদিন ধরে পৈশাচিক হত্যাকান্ড ও লুণ্ঠনের পর তৈমুর সিরি, জাহাপনা ও পুরাতন দিল্লী সহ আরো তিনটি শহরে প্রবেশ করে অনুরূপ লুণ্ঠন ও হত্যাকান্ড ঘটান ।
দিল্লী হত্যাকান্ড এমন পৌশাচিক এবং এত পরিমান মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল যে, এই হত্যা কান্ডের পরবর্তী দু’মাস পর্যন্ত দিল্লীর আকাশে কোন পাখি উড়ে নাই ।
ঐতিহাসিকদের মতে তৈমুর মোট ১৭ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছিলেন যা সেই সময়ের হিসাবে সারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫-৭% ।তৈমুর তার আত্ম জীবনীতে লিখেছেন-দিল্লিতে আমি ১৫ দিন ছিলাম। দিনগুলি বেশ সুখে ও আনন্দে কাটছিল।দরবার বসিয়েছি, বড় বড় ভোজ সভা দিয়েছি। তারপরেই মনে পড়ল কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই আমারহিন্দুস্থানে আসা। খোদার দয়ায় আমি সর্বত্রই আশাতীত সাফল্য পেয়েছি। লক্ষ লক্ষ কাফের হিন্দু বধ করেছি।তাদের তপ্ত শোনিতে ধৌত হয়েছে ইসলামের পবিত্র তরবারি——–তাই এখন আরাম-আয়েসের সময় নয় বরংকাফেরদের বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধ করা উচিৎ।
এই হত্যকান্ড এত পৈশাচিক হয়েছিল যে, বিভিন্ন স্থানে মুসলমান রাজকর্মচারীরা এই খবর প্রচার করে করে হিন্দুদেরকে ইসলাম গ্রহন করতে নির্দেশ দেয়; নির্দেশ না মানলে তৈমুরের বাহিনীকে খবর দেবে, এই ভয়ও দেখানো হয় । ফলে বিভিন্ন স্থানে ভয়ার্ত মানুষ দলে দলে মুসলমান হতে লাগল । সেজন্য বাংলায় এখনো “শুনে মুসলমান” কথাটি প্রচলিত আছে ।
সিকান্দার শাহ ছিলেন অত্যান্ত ধার্মিক মুসলমান । তিনি হিন্দুদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাতেন । তারই আদেশে মথুরার বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরটি ধুলিস্যাত করা হয়েছিল । তিনি হিন্দুদের যমুনা নদীতে স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন । জৈনক ব্রাম্মন “হিন্দু ধর্ম ইসলাম ধর্ম অপেক্ষা কোন অংশেই হীন নহে“- এই কথা বলার অপরাধে সুলতানের আদেশে প্রণ হারিয়েছিলেন । তিনি ছিলেন প্রচণ্ড হিন্দু বিদ্বেষী ও ইসলাম ধর্ম মতে পরম ধার্মিক মুসলমান শাসক । তার অত্যাচারে এবং আদেশে কাশ্মীরের হিন্দুগন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছিলেন ।
তথ্যসুত্রঃ
১। [Elliot & Dowson, VII-183-184
২। [R.C.Majumdar, B.V.B, p-132]
৩। [ N Oak, Tajmahal-The true story, p-207]
৪। [Trans-Arc. Soc. Agra. 1978. Jan-June, VIII-IX]
৫। ‘তাজ উল মসির’হাসান নিজামী
[৬। Cambridge History of India. WI-Ill. 171 ]
৭। ‘Travels in the Moghal Empire’barnier
৮। [Trans-Arc. Soc. Agra. 1978. Jan-June, VIII-IX]
৯। সুত্রঃ- ভারত ইতিহাস কথা, ডক্টর কে সি চৌধুরী, পৃ-১৩৭
(সংগৃহীত)