দিপিকা পাড়ুকোন ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের সিনেমা ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। সোনাক্ষী সিনহা তার দ্রাবাং সিনেমার প্রাচরণা চাইতে নাগরিক বিলের বিরোধিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রেসের কাছে মন্তব্য করলেন। বলিউডের শীর্ষ এইসব অভিনেত্রী, অভিনেতা, পরিচালক, লেখক, শিল্পী যখন ভারতে যে কোন ইস্যুতে সরব তখন বাংলাদেশের বালেশ্য বাল স্টাররা বালুতে মুখ দিয়ে কিছু না দেখার ভান করে আছে।
তবে এইসব বালেশ্ব বাল তারকারা ক্রিকেটের সময় ভারত বিরোধিতা নিয়ে সরব হয়। তাদের একজনকেও পাওয়া যায়নি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক পক্ষে সরব হতে। তারা কেউ নারী সমতা বিলের পক্ষে দাঁড়ায়নি। তাদের একজনকেও পাওয়া যাবে না শরিয়ত বয়াতীর জন্য প্রতিবাদী হতে। মমতাজ বেগম তো এখন এমপি সে কেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না? ফোক ফেস্টিভালে যাওয়া আমাদের তারকাদের এখন একজন বাউলের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা। তারা নাচাগানা করলেও একেকজন ঈমানদার মুসলমান তাই নাস্তিক কোপানোর সময় এদের পাওয়া যায়নি মানলাম কিন্তু একজন বাউল যখন তাদের মতই সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ তখন কি তাদের নিরবতার অজুহাত থাকে?
একটা কাক মরলেও শত শত কাক জড়ো হয়ে চিৎকার করে। সুবর্ণা মুস্তফা ক্রিকেট বিশ্বকাপে এত সরব ছিলেন, ভারত থেকে মাগনা খান না, মাগনা চিকিৎসা নেন না ইত্যাদি জনপ্রিয় ভারত বিদ্বেষপূর্ণ যুক্তি আওড়াতে দেখলাম। কিন্তু কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তারা অবস্থান নেন না। ব্লগারদের বাক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াননি। বাংলাদেশের অভিনেতা অভিনেত্রী তারকা মহাতারকারা ওমরা করে আসেন। তাদের একমাত্র সামাজিক দায়িত্ব ক্রিকেট খেলার সময় দাদাদের ধুতি খুলে নেয়া!
এটা অর্গাজমের মত তাদের সুখ দেয়। নিজেরা নাচাগানা করে পয়সা কামাই করলেও গানবাজনা নাচানাচি ধরাধরিকে হারাম মনে করে। এদের ভেতর একটা করে মোল্লা বাস করে। সেই মোল্লাই নাস্তিক বিরোধিতা থেকে দাদাদের ধুতি খুলে নেয়া, সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক, শরিয়ত বয়াতী সবার জন্যই তাদের নিরব বিরোধিতা!