“বাঙ্গালীদের ভবিষ্যত আস্তানা”
“বাংলাদেশী এবং পশ্চিম বংগ বাসী হিন্দুরা নীচের ছবি থেকে বেচে থাকার উপায় খুজে নিতে পারেন”।
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
আজ যে শহরটাকে আমরা জানি ‘ইস্তানবুল’ বলে সেটাই এক সময় ছিলো ‘কনষ্টান্টিনোপল”। রোম স্ম্রাট কনষ্টান্টাইন খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহন করে চারিদিকে খ্রীষ্টান ধ্বজা ঊড়িয়ে দেন। বর্তমান তুরষ্ক খ্রীষ্টান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়। রাজধানী ( রোম ছাড়াও পুর্ব দিকে এই শহরটি আর একটি রাজধানী ছিলো।) এই সাম্রাজ্যের নাম ছিলো বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য।
খ্রীষ্টানরা সারা এশিয়া মাইনর (তুরষ্ক) জুড়ে বাস করতো। জেহাদি আগ্রাসন যখন খ্রীষ্টানদের পরাজিত করে তুরষ্কের দখল নিলো, তখন শুরু হলো এক ‘রক্ত গংগা’। সারা এশিয়া মাইনর থেকে খ্রীষ্টানদের তাড়াও, না হলে তাদের ‘শান্তির ধর্ম’ গ্রহন করতে হবে, না হলে মেরে ফেলো।
ঠিক যেমন আমাদের ভারতে হয়েছে ৭১২ সাল থেকে, আর বর্তমানে চলছে বাংলাদেশে পড়ে থাকা (আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান হিন্দু শুন্য হয়েছে আগেই) ঝড়তি পড়তি হিন্দুদের সংগে।
তা খ্রীষ্টান রা যাবে কোথায় ?????? বনে আগুন লাগলে ঈদুর কোথায় গিয়ে বেচে থাকে?????? মাটির ওপরে না হলেও মাটীর নীচে তো যাওয়া যায়। পাহাড়ের মধ্যে মধ্যে ছোট ছোট গর্ত করে পায়রার খোপ বানিয়ে থাকে যায়।
আজ আর বেশী খ্রীষ্টান নেই সারা তুরষ্কে। যারা আছে তারা তাদের পুরানো পাহাড়ী খোপ গুলোকে একটু আধুনিক করে আছে। সেখানে ভাড়া নিয়ে হোটেলের মতো থাকা যায়।
‘কাপাডোকিয়া’ তে দুই রাত ছিলাম আমি আর মিসেস দেবনাথ ওই রকম এক খোপে। তবে বেশ আরাম দায়ক এখন। ভাড়া ১৫ ডলার প্রতি রাতে।
নীচের ছবিতে দেখুন সেই রকম এক মাটির তলার শহর, যেখানে খ্রীষ্টান রা লুকিয়ে বেচে ছিলো খলিফার হাত থেকে, “শান্তির দুতেদের প্রেম থেকে” নিজেদের রক্ষা করার জন্য।
সময় নিয়ে দয়া করে সব ছবি দেখুন । আর খুব তাড়া তাড়ি খোন্তা আর কোদাল কিনুন। কাজে লাগবে।