পাকিস্থানের নির্বাচনে হিন্দু প্রার্থী মহেশ মালানী জয়লাভ করে ইতিহাস গড়লেন । তার সঙ্গে কতগুলো সত্যি ভাবনাও বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন । কোন মুসলিম রাস্ট্রে একজন হিন্দু যেখানে চৌকিদার হতে পারে না সেখানে গত সাত দশকে এই প্রথম সে দেশে একজন হিন্দু সাংসদ নির্বাচিত হলেন ।
এটাই ভারত আর পাকিস্থানের মধ্যে পার্থক্য । এটাই হিন্দু সমাজ আর মুসলিম সমাজের মধ্যে পার্থক্য । 2002 সালের আগে পাকিস্থানে হিন্দুদের কোন ভোটাধিকারই ছিল না । হিন্দু জনমতের প্রবল বিক্ষোভ আন্দোলনের ফলে হিন্দু ভোটাধিকার এবং নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার ফিরে পায় আর আজ সত্যি ইতিহাস সৃস্টি হোল ।
আমার প্রশ্ন সেই সব আঁতেল বুদ্ধিজীবীদের কাছে যারা ইসলামের মধ্যে শান্তি ঔদার্য খুঁজে পায় । একটা সার্বভৌম রাস্ট্র পাকিস্থানে শুধুমাত্র হিন্দু হবার কারনে কেন তাদের এতদিন বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল ? মুসলিম প্রধান দেশে হিন্দু কেন দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে লাথিঝাঁটা খেয়ে পড়ে থাকে ? অথচ হিন্দু প্রধান ভারতবর্ষে একজন মুসলমান নাগরিক দেশের রাস্ট্রপতি পর্যন্ত হতে পারে ?
গনতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা সমাজতন্ত্র সর্বধর্ম সমন্বয় সকলের জন্যে সমান অধিকার ( যদিও ভারতবর্ষে তোষন রাজনীতির কারনে মুসলিমরা হিন্দুর চেয়ে বেশী অধিকার পায় ) ……এই সব গালভরা মানবিক গুনের বিকাশ সেখানেই হওয়া সম্ভব যেখানে হিন্দু বেশী থাকে । গরিষ্ঠ হিন্দু সমাজ , সমাজে হিন্দুত্বের জীবনধারাই সকল মানবিক গুনের বিকাশের একমাত্র গ্যারান্টি ।
ভারতে গত সাত দশকে কত শত মুসলিম সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে আমরা কেউ অবাক হই নি । অথচ পাকিস্থানে একজন হিন্দু সাংসদ নির্বাচিত হতেই আমরা চমকে উঠি , ইতিহাস সৃষ্টি হয় , কাগজে খবর হয়ে ওঠে । মহেশ মালানীর জয়লাভ অনেকগুলো সত্য সামনে এনে দিল । তবু জানি এদেশের আঁতেল বুদ্ধিজীবীদের কোন হেলদোল হবে না ।
সৌজন্যেঃ শ্রী Chittaranjan Mukhopadhyay…