অনেকেই চুতিয়া হয়।আর চুতিয়াদের দায়ভার বহন করা ভারতের দায়ীত্ব নয়।

দুটো ঘটনা বলি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে।তখন সবে ফেসবুক শুরু করেছি একটি ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশী ছেলের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। সত্যি বলছি তখন বাংলাদেশ নিয়ে আমার ধারনা যথেষ্ট উচ্চমানের ছিল। ভারতের বিশেষ  বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবেই বাংলাদেশকে চিন্তা করতাম। যদিও সেই ধারনা আজ আর নেই। যাইহোক একদিন ছুটির দিনে হঠাৎ সুদূর ফ্রান্স থেকে সেই বাংলাদেশী ছেলেটা আমাকে ফোন করে, ফেসবুক থেকে নাম্বার নিয়ে, ফোন করে বলে, তার দাদা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, আমি কিছুটা অবাক ভাবেই কথা বলা শুরু করি। ভদ্রলোক আমাকে জানান তার এক ভাতিজা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে মুসলিম নাম লুকিয়ে  হিন্দু নাম নিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্বের সকল প্রমাণ ও পাসপোর্ট বানিয়ে কুয়েতে যেতে গিয়ে ইমিগ্রেশনে ধরাপরে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। আমাকে তারা অনুরোধ করে আমি যেন সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করি।

এই অদ্ভুত ঘটনা শুনে আমি সেইসময় এতোটা অবাক হয়ে ছিলাম তা বলে বোঝাতে পারবোনা। আমি নিজের অপারগতার কথা তাদের জানিয়ে ফোন রেখেদি। কিন্তু এক উকিল বন্ধুর সাহায্যে বারাসাত আদালতে খবর নিয়ে খবরের সত্যতা যাচাই করি, সেই বন্ধুর কাছথেকে জানতে পারি এটা একটি সামান্য ঘটনা প্রতিনিয়ত এইরকম  হাজার হাজার ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনায় ঘটে চলছে।

দ্বিতীয় ঘটনা বছর চারেক আগে ফেসবুকে এক বাংলাদেশী যুবকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে, শিক্ষিত, সুদর্শন তারপর প্রচণ্ড হিন্দুবাদী। এরপর কলকাতায় ব্যবসার কাজে এলে দুবার দেখাও হয়, দারুণ দারুণ পরিকল্পনা, দারুণ উৎসাহ আমাকে মুগ্ধ করে। এরপর একদিন শুনলাম ছেলেটি ভারতীয় নাগরিকত্বের কাগজপত্র তৈরি করেছে পাকাপাকি ভাবে ভারতেই থাকবে, ঘটনা শুনে খারাপ লাগেনি ভালোই লেগেছিল। এরপর ছেলেটি উত্তর ২৪ পরগনায় বসবাস শুরুকরে, একটি ভারতীয় মেয়েকেও বিবাহ করে তারপর দুচারমাস পরে ভারতে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে স্ত্রীকে কিছু না বলেই একদিন বাংলাদেশ ফিরে যায়, সেখান থেকে জীবন গড়তে সোজা ফ্রান্স।

এই দুটি ঘটনার Moral সব বাংলাভাষীই বাঙালিনা, অনেকেই চুতিয়া হয়।আর চুতিয়াদের দায়ভার বহন করা ভারতের দায়ীত্ব নয়।