বাংলাদেশের কোন প্রধানমন্ত্রীই কখনো মন্দিরের সামনে হাতজোড় করে হিন্দুদের মতো দাঁড়াননি। কিংবা হিন্দুদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে হিন্দুদের মত বেশ ধরেননি। আসলে এটার প্রয়োজন ও নেই। লোক দেখানো অসাম্প্রদায়িকতার চেয়ে কাজে অসাম্প্রদায়িকতাই বেশি জরুরি। সেটা হলেই চলে।
তবে এটাও সত্য বাংলাদেশের কোন প্রধানমন্ত্রী যদি হিন্দুদের কোন ধর্মানুষ্ঠানে গিয়ে হিন্দুদের মতো কিছু একটা করে বসতেন, তাতে ঐ প্রধানমন্ত্রী বরং দেশের সিংহভাগ জনতার চোখে বিরাগভাজন হতেন। হিন্দুয়ানী বলে আমজনতা ওই প্রধানমন্ত্রীকে বর্জনের ডাক দিতেন। দেখা যেত পরবর্তী নির্বাচনে ঐ দল হেরেই যেত। হিন্দুয়ানী দলকে কেউ ভোট দিত না।
কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ আবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে খুব পছন্দ করেন। কেননা তিনি হিন্দু হয়েও হিজাব পরেন, দুই হাত তুলে মোনাজাত ধরেন, বিসমিল্লাহ বলেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন অমুসলিম নেতা বা বিখ্যাত কেউ ইসলামি সংস্কৃতি ফলো করলে তাতে আমজনতা ভিতরে ভিতরে খুশি হন। কিন্তু কোন মুসলমান নেতা ভিনধর্মী ভাব ধরলে বা ফলো করলে, তাতে জনতা রাগে ঘৃণায় ফুসে উঠেন।
এখন কথা হলো, এভাবে নিজেদের পাওনা বুঝে নিয়ে অন্যদের ব্যাপারে বিরোধী হয়ে উঠলে মিলেমিশে বসবাসের পরিবেশ কী বিঘ্নিত হবে না? এভাবে কী সবাই মিলে মিশে থাকার পরিবেশটা নষ্ট হয়ে যাবে না?