ব্রাহ্মণদের গালি দেওয়া এক ধরণের হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বিস্তারিত পড়ুন। বর্তমানে কিছু জাত-পাত ভেদাভেদ করা মানুষ বিশেষ করে ব্রাহ্মনদের গালিগালাজ করতে শুরু করেছে, এই পোষ্টটি সেই সব বিভেদকামী মানুষদের উদ্দেশ্যে দিলাম দয়া করে পড়বেন. . . . . . . .
অনেকেই আমাকে বলে, “আপনি শান্তিবাদীদের বিরুদ্ধে লেখেন, কিন্তু ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে কিছুই লেখেন না।”
পূর্ববঙ্গের যে গ্রামাঞ্চলে আমি বেড়ে উঠেছি,সেখানে কয়েকঘর ব্রাহ্মণ দেখেছি। এখন সেখানকার মানুষের অবস্থা ফিরেছে, তবে প্রায় অর্ধশত বছর আগে আমি যে ব্রাহ্মণদের দেখেছি,
তাদের পেটে খাবার ছিল না, হাড্ডির উপরে মাংস ছিল না, মাথার উপরে পাতার ছাউনি ভেদ করা বর্ষার জলে হামেশাই মাটির ঘর ভেসে যেত।
ব্রাহ্মণ পুরুষেরা ছেঁড়া কাপড়ের লেংটি পড়ে লজ্জা নিবারণ করত, পর্যাপ্ত কাপড়ের অভাবে উঠতি বয়সী কুমারী মেয়েরা, সহসা ঘরের বাইরে বের হতো না। বছরের বিশেষ পূজা-পার্বণের দিনে, পুরোহিতেরা সারা দিন উপোস থেকে, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে পুজো করে,
দিন শেষে গুনে দেখতো- সাকুল্যে আড়াই টাকা কি তিন টাকা দক্ষিণা পেয়েছে – সে সম্পর্কে গ্রামের বাজারে তাদের বহুবার হা-হুতাশ করতে শুনেছি। হিন্দুরা এই ব্রাহ্মণদের ভীষণ ঘৃণা করতো।
ঠাকুরমশাই বলে সম্বোধন করলেও কথায় কথায় এদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত; মুখের উপর লোভী-চশমখোর ইত্যাদি বাক্যবাণে তাদের জর্জরিত করত।”
ব্রাহ্মণরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতো, তারা অসহায়, লোক-নিন্দার ভয়ে অন্য কোন কায়িক কাজ-কারবার করতে পারছে না। আসলে কায়িক পরিশ্রম করার মতো শক্তি তাদের গায়ে ছিল না।
পুষ্টিকর খাবার খেতে পায়না, শরীরে শক্তি আসবে কোথা থেকে। সমাজে মধ্যবর্ণের একচ্ছত্র আধিপত্য। সালিশি-দরবারে ব্রাহ্মণরা একদম পাত্তা পায় না।
সমাজে ব্রাহ্মণরা যখন অত্যাচারিত হয়, অপমানিত হয়- তাদের ফরিয়াদ কেউ কানে তোলে না। এতক্ষণ পূর্ববঙ্গের কথা বললাম, এবার পশ্চিমবঙ্গের কথায় আসি। পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি এলাকার কথা অন্তত কেউ বলুন, যেখানে ব্রাহ্মণরা সমাজের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে।
আমি পশ্চিমবঙ্গের বহু এলাকা চষে বেড়িয়েছি, সমাজ-বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করেছি; কোথাও ব্রাহ্মণ-আধিপত্য চোখে পড়েনি।
তাহলে এই অসহায় ব্রাহ্মণরা আমার কিংবা সমাজের এমন কোন ক্ষতিটা করেছে, যে আমি তাদের বিরুদ্ধে লিখব! তাছাড়া, এই ব্রাহ্মণদের হাতে কখনোই অর্থ-সম্পদ বা রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিল না। অর্থ-সম্পদ না থাকলে সামাজিক প্রতিপত্তি আসে না এবং রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়া সামাজিক বিধি-বিধান প্রণয়ন করা সম্ভব নয়।
ব্রাহ্মণরা তো জোর করে আপনার বাড়িতে পুজো করতে যাচ্ছে না, আপনার কাছ থেকে বলপূর্বক দক্ষিণা আদায় করছে না।
আপনি আপনার বাড়িতে তাদের পুজো করতে ডাকলেন না, ল্যাটা চুকে গেল। তাছাড়া আপনাকে ব্রাহ্মণ-পুরোহিত হতে কে বাধা দিয়েছে!
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ : যে কোন বর্ণের হিন্দু পুরুষ ও নারী, ব্রাহ্মণ-পুরোহিত হতে পারবে এবং হচ্ছেও। প্রসঙ্গক্রমে বলি, একজন জেলেনীর বিবাহবহির্ভূত সন্তান (শ্রদ্ধাভাজন) বেদব্যাস, ক্ষত্রিয় সম্রাট এবং (পতিত) ক্ষত্রিয় অবতারের ইচ্ছায় ও আনুকূল্যে- বর্তমানে প্রচলিত সনাতন ধর্মের প্রধান প্রধান শাস্ত্রসমূহ সংকলিত করেছেন।
শান্তির ধর্মের লোকেরা আমার নিজের বাড়ি সহ, অগণিত হিন্দু বাড়ি লুট করেছে,পুড়িয়ে দিয়েছে। অগনিত হিন্দু নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, হিন্দুদের জমিজমা বসতভিটা জবরদখল করে নিয়েছে।
এটি কেবল পূর্ববঙ্গের দৃশ্যপট নয়, পশ্চিমবঙ্গে এসেও দেখছি, হিন্দু সংখ্যালঘিষ্ঠ অঞ্চলে শান্তির ধর্মের লোকেরা, পূর্ববঙ্গের মতোই হিন্দুদের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন-লুন্ঠন চালাচ্ছে।
হাজার বছর ধরে শান্তির ধর্মের লোকেরা, হিন্দু জাতির উপর এই বীভৎস নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমি কেন শান্তির ধর্মের অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে না লিখে, অসহায় দরিদ্র ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে লিখব?
একবার ভ্রমণ পথে ঢাকা শহরের একজন ইমাম সাহেবের সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। মসজিদ কমিটি, ঐ ইমাম সাহেবকে মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন দেয়।
হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ-পুরোহিতরা ঘৃণিত, মুসলিম সমাজে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সম্মানিত। হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ-পুরোহিতরা দরিদ্র, মুসলিম সমাজে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা দরিদ্র থাকবে কিভাবে! ইসলাম ধর্মে জাকাত সিস্টেম আছে – ধনী মুসলমানরা গরীব মুসলমানদের সাহায্য করে। খুবই সুন্দর সিস্টেম।
দুর্ভাগ্যবশত হিন্দুদের মধ্যে এমন কোনো প্রথা নেই। মহান দার্শনিক সক্রেটিসের কিছু উক্তি এখানে উদ্ধৃত করা সঙ্গত মনে করছি ― মহামতি সক্রেটিসকে এক লোক এসে একদিন উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, “আপনার এক বন্ধুর সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলতে চাই।
” সক্রেটিস বললেন, “আমি আপনার সমস্ত কথাই শুনব, তবে তার আগে আমি আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই। আপনি যদি অন্তত একটি প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেন, তাহলেই কেবল আপনার সব কথা শুনবো।
” লোকটি বলল, “ঠিক আছে।” তখন সক্রেটিস বললেন, “আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে যা বলতে এসেছেন- তা কি আপনি নিজের কানে শুনেছেন বা নিজের চোখে দেখেছেন; নাকি অন্যের মুখে শোনা।” লোকটি বলল,
“আমি অন্যের কাছ থেকে শুনেছি।” সক্রেটিস বললেন,”যেহেতু আপনি অন্যের মুখে শুনেছেন, তাই আপনি কি যাচাই করে দেখেছেন, যে বিষয়টি সত্যি না মিথ্যা।” লোকটি বলল, “না।
আমি বিষয়টির সত্য-মিথ্যা একদম যাচাই করে দেখিনি।” সক্রেটিস বললেন,”আপনি কি আমার বন্ধুর প্রশংসা করতে এসেছেন,নাকি তার নিন্দা করতে এসেছেন।” লোকটি বলল, “আমি আপনার বন্ধুর নিন্দা করতে এসেছি।
” সক্রেটিস বললেন, “আপনি আমার বন্ধুর যে বিষয়ে নিন্দা করতে এসেছেন, আপনি তা নিজের চোখে দেখেননি, নিজের কানেও শোনেননি; অন্যের মুখে শুনেছেন, অথচ যাচাই-বাছাই করে দেখেননি যে বিষয়টি সত্যি না মিথ্যা।
আচ্ছা এবারে বলুন দেখি, আপনি যা বলতে এসেছেন, তা বললে আপনার কি কোন লাভ হবে? অথবা তা শুনলে আমার কি কোনো উপকার হবে?
নাকি সমাজের কোনো লাভ বা উপকার হবে?” লোকটি নিজের ভুল বুঝতে পারলো এবং লজ্জিত হলো। তখন সক্রেটিসের এক শিষ্য বলল, “গুরুদেব, তাহলে মানুষ কেন হরহামেশাই অন্যের নিন্দা করে।
” সক্রেটিস বললেন,”নিন্দা করা অত্যন্ত সহজ কাজ। মানুষ মনে করে অন্যের নিন্দা করে সে রাতারাতি মহান বনে যাবে।
অর্থাৎ সে কোনো পরিশ্রম না করেই নিজেকে মহান প্রতিপন্ন করতে চায়। কিন্তু অন্যের নিন্দা করে কখনো মহান হওয়া যায়না।”
ত্রেতা যুগে ক্ষত্রিয়দের হাতে শাসন ক্ষমতা ছিল, মহাভারতের সময়কালে যাদব ও ক্ষত্রিয়দের হাতে শাসন ক্ষমতা ছিল, এরপর দলিত, মৌর্য্য, বৌদ্ধদের হাতে শাসন ক্ষমতা ছিল, তারপরে ৬০০ বছর আরব লুটেরা মুসলিম বাদশাহদের হাতে ভারতের শাসন ক্ষমতা ছিল,
তারপরে প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশদের হাতে শাসন ক্ষমতা ছিল, এরপর ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৭০ বছর ধরে আম্বেদকরের সংবিধানের হাতে ভারতের শাসন ক্ষমতা রয়েছে.
এরপরও কথা আসে যে সমাজে সবচেয়ে বেশী অত্যাচার নাকি ব্রাহ্মনদের দ্বারা করা হয়েছে. . . . .
বর্তমানে ব্রাহ্মনদের গালি দেওয়া, অপমান করা একটা ট্রাডিশনে পরিনত হয়েছে, কেউ কেউ ব্রাহ্মনদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তো কেউ আবার ব্রাহ্মনদের মন্দির থেকে বের করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে ।
কিছু তথাকথিত মানুষ আজও অভিযোগ করে ব্রাহ্মনদের কারনেই নাকি উনারা পিছিয়ে পড়া জাতিতে পরিনত হয়েছে, কেউ আবার বলে সমাজে পিছিয়ে পড়ার মূলে ব্রাহ্মনরা দায়ী, দেশে অন্ধবিশ্বাসের মূলেও নাকি ব্রাহ্মনরা দায়ী. . . .
আজ সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য লিখতে বাধ্য হলাম, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিবিদ কৌটিল্য ব্রাহ্মন ছিল।
যিনি মগধ রাজ্যকে সংকট থেকে মুক্তি দিয়েছিল এবং জনহিতৈষী সরকার স্থাপনা করেছিলো, ভারতের সীমানা ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলো এবং কালজয়ী অর্থশাস্ত্র রচনা করেছিল যেটা আজ সারা বিশ্ব পড়ছে।
আদি শঙ্করাচার্য যিনি সমস্ত হিন্দু সমাজকে এক সূত্রে বাঁধার জন্য চেষ্টা করেছিলো, যার ফল স্বরুপ চারধাম যাত্রা শুরু করেন চারটি মঠ নির্মান করে সেই আদি শংকরাচার্যও কিন্ত ব্রাহ্মন ছিলেন ।
আজ কর্নাটকের যে লিঙ্গায়েতদের কংগ্রেস হিন্দুদের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছে সেই লিঙ্গায়েতদের গুরু এবং লিঙ্গায়েতদের সংস্থাপক বাসব একজন ব্রাহ্মন ।
ভারতের সামাজিক ও বিচারগত উত্থান, ভিন্ন জাতির সমানতা, ছুত-অচ্ছুত ভেদভাবের বিরুদ্ধে সমাজকে এক করার জন্য ভক্তি আন্দোলন করার মূল পথপ্রদর্শক সন্ত রামানন্দ একজন ব্রাহ্মন ছিলেন ।
আজ দিল্লীর অক্ষরধাম মন্দিরে সব জাতির প্রবেশ অবাধ সেই মন্দির স্থাপনাকারী স্বামী নারায়ন সম্প্রদায়ের ছিল যার জনক ঘনশ্যাম পান্ডেও একজন ব্রাহ্মন ছিল ।
আর্য সমাজ ও ব্রহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীও ব্রাহ্মন ছিলেন । সতীদাহ প্রথা থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়ার মূল কারিগর রাজা রামমোহন রায় একজন ব্রাহ্মন ছিলেন ।
বিধবা বিবাহ আইন চালু করার মূল কারিগর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও ব্রাহ্মন ছিলেন । ভগবান শ্রী রাম চন্দ্রের মহিমা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন “রামচরিত মানসে”র রচয়িতা তুলসীদাসও একজন ব্রাহ্মন ছিলেন ।
বন্দেমাতরমের মত গান লিখে দেশপ্রেম জাগানো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন ব্রাহ্মন ছিলেন । নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পদত্যাগ করেন এবং কাশ্মীরকে রক্ষা করার জন্য প্রান দিয়েছিলেন সেই জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ব্রাহ্মন ছিলেন ।
হিন্দু সমাজের একতা এবং হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে তৈরী সংগঠন “রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের” প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একজন ব্রাহ্মন ছিলেন ।
সঙ্ঘের দ্বিতীয় সর-সঙ্ঘচালক ডঃ গোলওয়ালকরও একজন ব্রাহ্মন ছিলেন । একাত্ম মানবতাবাদের জন্মদাতা পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ও একজন ব্রাহ্মন ছিলেন ।
১৯৪৬ সালে “দ্যা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং” থেকে হিন্দুদের রক্ষাকর্তা গোপাল মুখোপাধ্যায়ও একজন ব্রাহ্মন ছিলেন । দেশের সহ আর দুটিদেশের জাতিয় সংগিত রচিয়তা এবং বিশ্ব কবি তিনিও একজন ব্রাহ্মন।
এব ভাবে যদি বলা শুরু করি তবে শেষ হবে না, সনাতনী সমাজে আর এমন কোন সম্প্রদায় পাবেনা যে তারা সনাতনী সভ্যতার জন্য এতো কিছু দিয়েছে। মজার বিষয় এনারা কেউ রাজা ছিলেনা।
এরপরও যদি কেউ মনে করেন ব্রাহ্মনরা শুধু মন্দিরে ঘন্টা বাজাতেই কাজে লাগে তারা জেনে নিন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘোড়সওয়ার বীর যোদ্ধা যিনি ২০ বছরে কোনো যুদ্ধে হারেননি, যিনি মুসলিম শাসকদের আতঙ্কিত করে রেখেছিলেন সেই বাজীরাও বল্লাল একজন ব্রাহ্মন ছিলেন যাকে “বাজীরাও মস্তানী” ফিল্মে দেখে আপনারা হাততালী দিয়েছিলেন. . . . . .
ব্রাহ্মনদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচার শুরু করেছিল শান্তিবাদিরা কারণ তারা বুঝেছিল ভারতকে খণ্ডিত করতে হলে এই ব্রাহ্মনদের কেই আগে ধ্বংস করতে হবে। তারা অনেকটা সফল। তাদের এই সড়যন্ত্রের অংশিদার হয়েছে বামাতিরা। এই দুই অপশক্তি মিলে ৪৭ সালে পর থেকে হিন্দু সমাজকে ধ্বংস করার জন্য মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে চলেছে।
আর সেটা আমাদের গিলিয়েছে। সেই ঘৃনা থেকেই আজ আমরা জেনে না জেনে পুরো ব্রাহ্মণ সমাজকে গলি দিয়ে যাচ্ছি। অথচ যদি আমরা ঠিক মতন ইতিহাস চর্চা করতাম তবে দেখতে পেতাম যে এ ব্রাহ্মনরাই কি কররেছে সনাতনী জাতিকে রক্ষার জন্য।
ব্রাহ্মনরা সমাজকে একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করে গেছেন, ব্রাহ্মনরাই জাত পাতের বিরুদ্ধে প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, ব্রাহ্মনরাই সমাজের কুসংস্কারকে দূরে সরানোর জন্য প্রতিবাদ করে গেছেন তাই হিন্দুদের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি ঢোকানোর জন্য ব্রাহ্মনদের গালি দেওয়া, অপমান করা বন্ধ করুন । সকলে মিলে এই বিদেশি বরাহদের প্রতিহত করুন।
ধন্যবাদ- কৃত্তিবাস ওঝা
আরো পড়ুন..