বিজ্ঞানময় ধর্ম, কথবকথন মোস্তফা ও আদিত্য। মোস্তফাঃ ইসলাম হচ্ছে বিজ্ঞানময় ধর্ম এবং কোরান হচ্ছে বিজ্ঞানের ভান্ডার। কোরান গবেষণা করেই বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন তত্ত্ব পেয়েছেন এবং আবিষ্কার করেছেন এবং করছেন ।
আদিত্যঃ কোরান গবেষণা করেই যদি বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন আবিষ্কার করে থাকে তাহলে বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা থেকে কোটি কোটি মাদ্রাসা বিজ্ঞানী বের হওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ পর্যন্ত মাদ্রাসা গুলো থেকে একজন বিজ্ঞানীও বের হয়নি। তার মানে আমাদের কি ধরে নিতে হবে যে, ইসলামিস্ট স্কলার এবং মাদ্রাসার হুজুরদের থেকে বিজ্ঞানীরা বেশি কোরান বুঝেন?
মোস্তফাঃ ঠিক তা নয়। তবে অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী রয়েছে যেমন, ইবনে সিনা, আল রাজি,আল বিরুনী,ইবনে হাইয়ান,ইবনে হাইসাম,আল খোয়ারেজমি ইত্যাদি এবং তারা অনেক কিছু আবিষ্কারও করেছেন।
আদিত্যঃ এসব মুসলিম বিজ্ঞানীরা কি কখনো বলেছেন যে,তারা এসব তত্ত্ব এবং আবিষ্কার কোরান থেকে করেছেন? শুধু কোরান হাদিস পড়েই তারা বিজ্ঞানী হয়েছেন?
মোস্তফাঃ না তা বলেননি।
আদিত্যঃ আচ্ছা বলুনতো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে?
মোস্তফাঃ আল্লাহ সাত আসমানের উপর আরশে(সিংহাসনে) বসে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন।
আদিত্যঃ কিন্তু বিজ্ঞান বলছে সাত আসমানতো দূরে থাক কোনো আসমানই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে নেই। আমরা যেটাকে আকাশ বলি সেটা মূলত মহাশূন্য। যেখানে কোটি কোটি তারা (বিজ্ঞানে তারাকে সূর্য বলা হয়) ,গ্রহ,উপগ্রহ, চন্দ্র, সূর্য ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। কোরানের সাত আসমান তত্ত্বের সাথে কিন্তু বিজ্ঞানের তত্ত্বের সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো।
মোস্তফাঃ না মানে, বিজ্ঞান এখনো সাত আসমান আবিষ্কার করতে পারেনি তাই সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে।
আদিত্যঃ তাই, পদার্থ বিজ্ঞান মতে, এই মহাবিশ্বে অপদার্থ বলে কিছু নেই সবকিছুই পদার্থ (বাংলায় অপদার্থ শব্দটি অন্য অর্থে ব্যবহার করা হয়)। আর সকল পদার্থের ভর (বাংলায় আমরা যেটাকে ওজন বলি বিজ্ঞানে তাকে ভর বলা হয়) রয়েছে। যার ভর রয়েছে তার মধ্যে শক্তি রয়েছে।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইন্সটাইনের তত্ত্বই (E=mc2) হচ্ছে প্রতিটি বস্তুর মধ্যে শক্তি রয়েছে। সেজন্য লক্ষ লক্ষ সূর্য, নক্ষত্র, গ্রহ,উপগ্রহের মধ্যে নিজস্ব আলাদা শক্তি রয়েছে। বেদে এবং গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি সর্বভূতে ( সকল কিছুর মধ্যে) অবস্থিত। আমরা শক্তির উপাসক বলেই আমাদের আরেক নাম শাক্ত ।
সংস্কৃতে দেবতা শব্দের অর্থ শক্তি। আইন্সটাইনের হাজার হাজার বছর আগে বেদে এবং গীতায় বলা হয়েছে, সকল কিছুর মধ্যে শক্তি (ভগবান) অবস্থিত। এ জন্য সনাতন ধর্মালম্বীরা বৃক্ষ,নদী,সমুদ্র,পশু,পাখি,মানুষ, আকাশ, বাতাস,চন্দ্র,সূর্য, গ্রহ,নক্ষত্র সবকিছুর মধ্যে ইশ্বর দর্শন করে থাকেন।
এক্ষেত্রে সনাতন ধর্মের তত্ত্বের সাথে বিজ্ঞানের তথা আইন্সটাইনের বিখ্যাত তত্ত্ব E=mc2 এর সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। কিন্তু আল্লাহ সাত আসমানের উপর আরশে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন এই তত্ত্বের সাথে আইন্সটাইনের E=mc2 তত্ত্বের সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে।
এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সনাতন ধর্মই হচ্ছে একমাত্র বিজ্ঞানময় ধর্ম এবং বেদ তথা সনাতন শাস্ত্রগুলো হচ্ছে বিজ্ঞানের ভান্ডার।
মোস্তফাঃ না মানে…ইয়ে মানে.. বিজ্ঞান সবসময় সঠিক হয় না
আদিত্যঃ (লেখক বাদল চন্দ্র রায়)
জন্মান্তরবাদ, কথবকথন মোস্তফা ও আদিত্য।
আর পড়ুন..
- ইয়াজিদি কি হিন্দু ধর্মের একটি শাখা? যারা হিন্দুদের মতন সংস্কৃতি নিয়ে আজও টিকে আছে আরব ভূমিতে।
- আপনি জানেন কি পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম কোনটি? বিসিএসের ছাত্রের কথবাকথন থেকে জানুন।
- প্রতিবেশিদের চোখে ভারত: চীন,পাকিস্তন ও নেপালের মানুষ ভারতকে কিভাবে দেখে?
- স্বাস্থ্য টিপস: আপনি কি কুমড়োর বীজের গুরুত্ব জানেন, দুধের সাথে প্রতিদিন দুই চামচ কুমড়োর বীজ খেলে কি উপরকার পাওয়া যায়?
- তেজস্বী সূর্য বলেছেন, ‘মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ঘরে ফিরতে হবে, মন্দির ও মঠকে দায়িত্ব নিতে হবে’