অগ্নিকুণ্ড মহাদেব মন্দির : বাংলাদেশে শিব মন্দিরের অগ্নিশিখা, যা কখনই নিভে যায় না, অমীমাংসিত ধাঁধা। বর্তমানে, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের প্রাচীন শিবমন্দির নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। এই শিব মন্দির অলৌকিক। এই মন্দিরের গর্ত থেকে প্রতিনিয়ত যে অগ্নিশিখা বের হচ্ছে তা কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দু ধর্মের আরাধ্য দেবতা শিব শঙ্করকে অলৌকিকতার অধিপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুধু ভারতেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলিতেও মহাদেবের বহু মহাদেবের মন্দির বিদ্যমান।
হোক সেটা পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের একটি প্রাচীন শিব মন্দির সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এই প্রাচীন শিব মন্দিরে উপস্থিত অগ্নিকুণ্ডের শিখা দেখে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ভক্তরা এই শিব মন্দিরে ভিড় করছে, যা মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্রস্থল,
এবং এই ঈশ্বরিক শিখা, যা মন্দিরের কুন্ডে ক্রমাগত জ্বলতে থাকে। না এর উৎস জানা যায় নি, না এতে জ্বালানী আছে, না এতে কোন প্রকৃতিক গ্যাস বা তেলে খনির সংযোগ আছে। এটি একটি অলৌকিক ঘটনা হিসাবে বলছে সেখানকার দর্শনার্থীরা।
https://twitter.com/UnityCouncilBD/status/1440362189173395469?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1440362189173395469%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fbeinnews.in%2Fagnikund-mahadev-temple-in-bangladesh-viral-on-social-media-has-constant-flame-without-any-source-pratp%2F
অগ্নিকুণ্ড মহাদেব মন্দির টুইটারে শেয়ার করা ছবি
অনেকেই এই বিস্ময়কর মন্দির সম্পর্কে জানত না। বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ যখন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে মন্দিরের ছবি শেয়ার করেছে, তখন থেকেই দর্শকরা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
এই মন্দিরটি সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠছে। বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ শিব মন্দিরের ছবি শেয়ার করার সময় লিখেছে- ”অগ্নিকুণ্ড মহাদেব মন্দির”।
এটি মহাদেবের একটি প্রাচীন মন্দির, যা চট্রগ্রামে অবস্থিত। এই মন্দির থেকে সর্বদা আগুনের শিখা বের হয়। এখন পর্যন্ত কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক এই আগুনের উৎস খুঁজে বের করতে পারেননি। মন্দিরটির নাম রাখা হয়েছে ‘অগ্নিকুণ্ড মহাদেব মন্দির‘।
বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য অগ্নিকুণ্ড মহাদেব মন্দির টুইটা
অলৌকিক মন্দিরের শিখা হয়ে গেল অমীমাংসিত ধাঁধা
কাউন্সিল (বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ) তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছে যে, প্রত্নতাত্ত্বিকরাও আগুনের উৎস জানতে পারেনি। ছবিতে, মন্দিরের অগ্নিকুণ্ডে শিখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
লোকেরা এই পোস্টে ‘হর হর মহাদেব’ লেখা শুরু করে, অন্য দিকে কিছু লোক মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের প্রাচীন শিব মন্দির (অগ্নিকুন্ড মহাদেব মন্দির) ছাড়াও শ্রীলঙ্কা এবং কম্বোডিয়ায় অনেক বিশাল শিব মন্দির রহযেছে।
শ্রীলঙ্কায় একটি আড়াই মাইল লম্বা এবং ৫০ ফুট চওড়া শিব মন্দির রহয়েছে, মন্দিরটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে গণ্য করা হয়। একই সময়ে, কম্বোডিয়ায় ভগবান বিষ্ণুর মন্দির এখনও পূজা করা হয় এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে একটি।
আর পড়ুন………
- দেশভাগ: যখন ভারত ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়েছিল, তখন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ সিন্ধু কেন ভারত থেকে পৃথক হয়েছিল।
- আফগানিস্তানের ইতিহাস: আফগানিস্তানের ইতিহাসের ১৩ আশ্চর্যজনক তথ্য যা, জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
- মুসলিম মেয়েরা কি হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর অনুশোচনা করে যেমন অনেক হিন্দু মেয়েরা আফসোস করে এবং ভালোবাসার জন্য ইসলাম গ্রহণ করার পর কষ্ট পায়?