Courtesy-Kartik Krishna Roy
হাজার হাজার মন্দির ভাঙলেও, আগে কখনও শোনা যায় নি, মন্দির রক্ষা করতে গিয়ে একজন হিন্দু নিহত হয়েছে, নিহত তো দূরের কথা, আহত হয়েছে, এমনটাও শোনা যায় নি। সেই বাঙালি হিন্দু জাতির উন্নতির কথা চিন্তা মাথায় আনলে, দাদু বলত আকাশ কুসুম চিন্তা করা বাদ দে। কিন্তু এখন সময়ের সাথে দিনের পরিবর্তন হয়েছে। হিন্দুরা মরতে শিখেছে,মারতে শিখেছে, সামান্য হলেও প্রতিবাদ করতে শিখেছে। ধর্মের সম্মান রক্ষার্থে বগুড়ার ঁসনাতন চন্দ্র প্রতিবাদ করে জীবন দেয়। সেই প্রতিবাদের আগুন এখনও জ্বলছে। আজ গিয়েছিলাম সেই হিন্দুবীরের গন্ডগ্রামে।
গত বছর বগুড়ার অদূরে গন্ডগ্রামে ২৪প্রহর ব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কিছু বিধর্মী ছেলে এসে হিন্দু মেয়েদের উতক্ত করে, এই সময় ঁশ্রী সনাতন চন্দ্র নামের এক হিন্দুবীর প্রতিবাদ করে, সেই সময়ই বিধর্মী ছেলের ছুড়িকাঘাতে ঁসনাতন পরলোকগত হয়, ঁসনাতন ছিল সদ্য বিবাহিত। আজ আবার সেই গন্ডগ্রামে ২৪প্রহর নামযজ্ঞ হচ্ছে, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সনাতন চন্দ্রের স্ত্রী বুকে যে শোক যজ্ঞ বছর ভরে হচ্ছে তা সবার দৃষ্টিশক্তির আড়ালে।এক বছর পেরিয়ে গেলেও চিহ্নিত অপরাধীরা সাজা পায় নি।
নামযজ্ঞ স্থলে ঁসনাতন চন্দ্রের নামে একটি ফলক তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই ফলক কি ষোড়শী বধূর বুকের হাহাকার, মায়ের বুকের ধনকে ফিরিয়ে দিতে পারবে?
হিন্দুরা আর আগের অবস্থায় নাই, ধর্মের মান রক্ষাতে মরতে শিখেছে, মরবে। তার সাথে সাথে মারবে। দ্রুত সনাতন চন্দ্র হত্যার বিচার চাই।